কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ

কোমর এবং পায়ে ব্যথার কারণ অনেক, ভিন্ন ভাবেও হতে পারে এবং সাধারণত এই সমস্যা কিছু নির্দিষ্ট কারণের ফলাফল হতে পারে। এই কারণগুলো অন্যান্য শরীরের অংশ সম্পর্কেও সংশ্লিষ্ট হতে পারে।

কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ

কোমর ব্যথা একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা যা মানুষের জীবনের বিভিন্ন কারণে দেখা যায়। কোমর ব্যথা অনেক সময় অস্থায়ী হতে পারে এবং কিছুক্ষণ থেকে কিছু সপ্তাহের জন্য থাকতে পারে। কিছু প্রধান কারণসমূহ নিম্নরূপ:

মাংশপেশীর সমস্যাঃ

কোমরে ব্যথার মূল কারণ হতে পারে মাংশপেশীর সমস্যা। এটি হতে পারে মাংশপেশীর সংক্রমণ, শীতলতা, খিচখিচি, মাংশপেশীর সংক্রমণ বা আঘাতের ফলাফলে হতে পারে।

কোমরের অস্থিরতাঃ

কোমরের অস্থিরতা বা স্থানান্তর হলে ব্যথা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, হার্নিয়েটেড ডিস্ক, স্পিনাল স্টেনোসিস, স্পন্ডিলোসিস ইত্যাদি কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে।

খাদ্য পুষ্টি সমস্যাঃ

অনির্বাণ খাদ্য ও মনোনিয়মিত পুষ্টির ফলে কোমরে ব্যথা হতে পারে। অন্যান্য পুষ্টি সমস্যাও কোমরে ব্যথার কারণ হতে পারে।

ক্রমবর্ধমান বয়সঃ

বয়সের সাথে সাথে কোমরে ব্যথা হতে পারে। ক্রিম্পড মাংশপেশী, স্পাইনাল অস্থিরতা, অস্থিসংক্রমণ বা অন্যান্য মাংশপেশী ও স্পাইন সমস্যার জন্য বৃদ্ধির সঙ্গে কোমর ব্যথা একটি সাধারণ কারণ হতে পারে।
এই সকল ব্যথার জন্য সাধারণত বিশ্রাম, ব্যাবস্থাপনা, শারীরিক অভ্যাস এবং সম্পূর্ণরূপে পুনরায় যোগাযোগের মাধ্যমে চিকিৎসাকের সাথে পরামর্শ নেওয়া উচিত। গুরুত্বপূর্ণ কেসগুলোতে চিকিৎসক প্রদত্ত পরামর্শের মধ্যে ক্ষমতায় পরামর্শ দিতে পারেন।

কোমর ব্যথা চিকিৎসাঃ

কোমর ব্যথা ব্যাধি মানুষের জীবনে একটি সাধারণ সমস্যা হতে পারে। কোমর ব্যথার কারণ বিভিন্ন হতে পারে, যেমন মাসিক ব্যথা, পিঠ ব্যাথা, মানসিক তন্দ্রা, শারীরিক অবস্থার অস্থিরতা, কাজের মাধ্যমে সংগৃহীত কাজের ভার ইত্যাদি। কোমর ব্যথার চিকিৎসা এবং ব্যথা কমাতে নিম্নলিখিত কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:

বিশ্রাম নিনঃ

ব্যথা অনুভব করলে প্রাথমিকভাবে বিশ্রাম নিন। মালিশ করতে পারেন বা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে গরম বা ঠান্ডা কম্প্রেশন ব্যবহার করতে পারেন।

শারীরিক ব্যায়ামঃ

পাঠ্যপুস্তকের পক্ষে দিনকের বেশি সময় বসে আছেন তা নিয়ে চিন্তিত হন। প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম করুন যেন মাংসপেশী শক্তি পায় এবং শারীরিক অবস্থাকে সুস্থ রাখে।

গরম পানির কম্প্রেশনঃ

ব্যথা কমাতে ও সাধারণ রাহাত পাওয়ার জন্য গরম পানির কম্প্রেশন ব্যবহার করতে পারেন। কার্যক্রমটি নিম্নলিখিত ভাবে করতে পারেনঃ

  • একটি পাত্রে গরম পানি নিন।
  • একটি টোয়েল বা কম্প্রেশন প্যাড গরম পানিতে ভিজিয়ে ঢেকে রাখুন।
  • গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখা টোয়েল বা প্যাডটি আপনার কোমরে প্রেস করুন।
  • ব্যথা কমাতে পর্যায়ক্রমে তাপমাত্রা প্রয়োগ করুন।

যদি প্রয়োজন হয়, অ্যানটি-ইনফ্লামেটরি পেশীর মাধ্যমে সাহায্য নিতে পারেন। কিছু জিলটামাইন বা পানিশ্রঙ্খলন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন যাতে আপনি সঠিক তাপমাত্রা ও সময় পরিবর্তন করতে পারেন।

পায়ে ব্যথা একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা যা মানুষের জীবনের বিভিন্ন কারণে দেখা যায়। কিছু প্রধান কারণসমূহ নিম্নরূপ:

 মাংশপেশী সমস্যাঃ

পায়ের মাংশপেশীতে সমস্যা হলে ব্যথা হতে পারে। এটি হতে পারে মাংশপেশীর সংক্রমণ, শীতলতা, খিচখিচি, পেশীর ফাঁপ ইত্যাদি কারণে হতে পারে।

জন্ডিসঃ

জন্ডিসের কারণে পায়ে ব্যথা হতে পারে। এটি হতে পারে হট জন্ডিস বা এলভিশিয়াল জন্ডিসের ফলাফলে হতে পারে।

পায়ের অস্থিরতাঃ

পায়ের কোনো অস্থি বা অস্থিরতা সমস্যা থাকলে ব্যথা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অস্থিভঙ্গ, অস্থির অবস্থান ইত্যাদি কারণে হতে পারে।

পেশীর সংক্রমণ বা আঘাতঃ

পায়ে পেশীর সংক্রমণ বা আঘাতের কারণে ব্যথা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পাঁজর পেশী সংক্রমণ, পেশীর চপের আঘাত ইত্যাদি কারণে হতে পারে।

পাঁজর বা অস্থির সমস্যাঃ

পাঁজর বা অস্থির সমস্যার ফলে পায়ে ব্যথা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অস্থিভঙ্গ, অস্থির অবস্থান বা অন্যান্য অস্থি সমস্যার জন্য পায়ে ব্যথা হতে পারে।
এই সকল ব্যথার জন্য সাধারণত বিশ্রাম, পায়ের আদর্শ বিন্যাস, শারীরিক অভ্যাস ও সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নেওয়া উচিত। গুরুত্বপূর্ণ কেসগুলোতে চিকিৎসক প্রদত্ত পরামর্শের মধ্যে চিকিৎসা দিতে পারেন।

স্পাইনাল প্রবলেমঃ

কোমরের ব্যথা হতে পারে যদি স্পাইনের কোনো সমস্যা থাকে। উদাহরণস্বরূপ, স্পন্ডিলোসিস, হেরনিয়েটেড ডিস্ক, স্পাইনাল স্টেনোসিস ইত্যাদি কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে।

অস্বাভাবিক অবস্থান বা ভ্রমণঃ

কোমর একটি স্থিরবিশেষ অংশ হলেও, পরিবর্তনশীলতা বা অস্থিরতা এর কারণে অস্বাভাবিক অবস্থান বা ভ্রমণের ফলে কোমরে ব্যথা হতে পারে। ধরা যাক, দীর্ঘদিন ধরে একটি অস্থির অবস্থানে বসে থাকলে কোমরে ব্যথা হতে পারে।

এই ব্যথাগুলো অনেক জন্য অস্থায়ী হতে পারে এবং অন্যদিকে কিছু জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার প্রতিশ্রুতি হতে পারে। কোনো অস্থায়ী ব্যথা যদি দীর্ঘদিন ধরে থাকে বা গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণের সাথে যুক্ত হয়, তাহলে সেটি নিয়মিত চিকিৎসা এবং পরামর্শের জন্য চিকিৎসকের সাথে আলাপ করা উচিত।

পায়ে ব্যাথা চিকিৎসাঃ

যদি পায়ে ব্যাথা আঘাতের ফলে হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাধারণতঃ প্রাথমিক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এই ধরনের চিকিৎসা প্রবল ব্যাথা কমিয়ে দেয় এবং জঘন্য ক্ষতি বন্ধ করে তুলে।
অন্যান্য সাধারণ পায়ে ব্যাথার জন্য আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেনঃ

  • প্রথমেই প্রাথমিক বিশ্রাম নিন। ব্যাথার কারণ নির্ণয় করুন এবং প্রযোজ্য কোন ক্রিয়া নেওয়া উচিত তা নির্ধারণ করার জন্য একটি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • আপনার পায়ে উচ্চতম সম্ভব আরাম দেবার জন্য নরম এবং সমর্থক জুতা বা ফুটওয়িয়ার ব্যবহার করুন।
  • পায়ে ব্যাথা কমাতে গরম পানির স্প্রে করতে পারেন এবং হট পানি বোতল ব্যবহার করতে পারেন। যেহেতু কম্প্রেশন ব্যবহার করার আগে বা পরে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • ব্যাথা কমাতে বা প্রতিরোধ করতে হলে, পায়ে পাতার নিচে নরম কিছু রাখা উচিত হতে পারে। এটি অস্থির পাথর অথবা স্ট্রেচার ব্যাবহারের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
  • প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য পূর্ণ করুন যা পায়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

মনে রাখবেন, এই পরামর্শগুলি সাধারণ সমস্যার জন্য প্রযোজ্য। যদি আপনার ব্যাথার কারণ গুরুত্বপূর্ণ হয় বা প্রচণ্ড হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করে সেবা নিতে পারেন।

 

পরিচালনায়ঃ
ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ) , এমপিটি ( অর্থোপেডিকস ) – এন.আই.পি.এস , ইন্ডিয়া
পিজি.সি. ইন আকুপাংচার , ইন্ডিয়া
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন ওজন থেরাপি , ইউ.এস.এ এবং ওজোন ফোরাম , ইন্ডিয়া ।
ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট , ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার ।
পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা) 
ফেসবুকঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার 
এপয়েন্টম্যান্ট নিতে ক্লিক করুনঃ
https://visionphysiotherapy.com/appoi..

visionphysiotherapy
visionphysiotherapy
Articles: 147