আকুপাংচার হচ্ছে অনেক পুরনো একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি চীন দেশে শুরু হয়েছিল এবং প্রায় ২০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে, শরীরের কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় ছোট ছোট সূঁচ ঢুকিয়ে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার চিকিৎসা করা হয়। আকুপাংচার কোন কোন চিকিৎসায় কাজ করে তা নিয়ে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করা হয়েছে।
চীনা চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, আমাদের শরীরের ভেতরে “কিউ” (Qi) নামে একটি শক্তি আছে, যা শরীরের বিভিন্ন নালী দিয়ে চলাচল করে। এই শক্তির প্রবাহ যদি ঠিক থাকে, তাহলে শরীর সুস্থ থাকে। কিন্তু কোনো কারণে এই প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। আকুপাংচার এই বাধাগুলো দূর করে শরীরকে সুস্থ করতে সাহায্য করে।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানেও আকুপাংচারের গুরুত্ব বাড়ছে। এটি শুধু ব্যথাই কমায় না, মানসিক চাপ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসাতেও ব্যবহার করা হয়। মাথা ব্যথা, মাইগ্রেন, ঘুম না হওয়া, বিষণ্ণতা, কাঁধের ব্যথা এবং পক্ষাঘাতের মতো কঠিন রোগেও আকুপাংচার বেশ কার্যকর। এছাড়া, অপারেশনের পর জটিলতা কমানো এবং প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এটি সাহায্য করে।
বর্তমানে, সারা বিশ্বেই আকুপাংচারকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ধরা হয়। এর অনেক উপকারিতা এবং তেমন কোনো ক্ষতিকর দিক না থাকার কারণে, এটি আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি একটি ভালো বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কোমর ব্যাথা নিরাময়ে আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।
আকুপাংচার সাধারণত কোন কোন রোগের চিকিৎসায় কাজ করে?
ব্যথাজনিত সমস্যা
পিঠ ব্যথা
পিঠ ব্যথা এমন একটি সাধারণ সমস্যা যা প্রায় সবাইকেই কোনো না কোনো সময়ে ভোগ করতে হয়। আকুপাংচার এই ব্যথা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত। এটি শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টে সূঁচ প্রবেশ করিয়ে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, পেশি শিথিল করে এবং প্রদাহ কমায়। এর ফলে, প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হরমোন (এন্ডোরফিন) নিঃসৃত হয়, যা ব্যথা উপশমে সহায়ক। এই পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যথা কমানো সম্ভব, যা দীর্ঘমেয়াদে উপকারী।
ঘাড় ব্যথা
ঘাড় ব্যথা সাধারণত পেশির টান, ভুল অঙ্গভঙ্গি বা অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে হয়ে থাকে। আকুপাংচার ঘাড়ের পেশি শিথিল করতে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ঘাড়ের শক্ত হয়ে যাওয়া বা ফ্রোজেন শোল্ডারের মতো সমস্যার সমাধানেও কার্যকর। নির্দিষ্ট পয়েন্টে সূঁচ প্রবেশ করানোর মাধ্যমে ঘাড় ব্যথা দ্রুত উপশম করা যায় এবং ঘাড়ের নড়াচড়া সহজ হয়।
মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেন
মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের সমস্যায় এটি মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে এবং প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে। নিয়মিত আকুপাংচার সেশন মাথাব্যথার তীব্রতা এবং ঘনত্ব কমাতে পারে, যা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দেয়।
আর্থ্রাইটিস
আর্থ্রাইটিসের কারণে গাঁটের ব্যথা ও শক্ত হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আকুপাংচার এই ব্যথা কমাতে সহায়ক, কারণ এটি প্রদাহ কমায় এবং গাঁটের চারপাশে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে শরীরের ব্যথানাশক হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা আর্থ্রাইটিসজনিত সমস্যাগুলো উপশম করতে পারে। এর ফলে, গাঁটের নড়াচড়া সহজ হয় এবং ব্যথার তীব্রতা কমে আসে।
হাঁটু ব্যথা
হাঁটু ব্যথা, বিশেষত অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা আঘাতজনিত কারণে এটি হাঁটুর চারপাশে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, প্রদাহ কমায় এবং পেশিগুলোকে শিথিল করে। নিয়মিত আকুপাংচার হাঁটুর কার্যক্ষমতা বাড়াতে এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে, যা হাঁটাচলা এবং দৈনন্দিন জীবনে স্বস্তি আনে।
ফ্রোজেন শোল্ডার
ফ্রোজেন শোল্ডার বা কাঁধ শক্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যায় আকুপাংচার দারুণভাবে কাজ করে। এটি কাঁধের প্রদাহ কমিয়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং পেশি শিথিল করে। পাশাপাশি, এটি শরীরের প্রাকৃতিক নিরাময় প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে, যা কাঁধের নড়াচড়া সহজ করতে সহায়ক। নিয়মিত থেরাপি ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যাকে দ্রুত উপশম করতে পারে এবং কাঁধের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনে।
ফিজিওথেরাপি কেন দেওয়া হয় ও এর উপকারিতা জানতে এই পোস্টটি পড়ে নিন।
স্নায়বিক সমস্যা
স্নায়বিক সমস্যার জন্য
পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিসের চিকিৎসায় এটি পক্ষাঘাতগ্রস্ত অংশে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, পেশি শক্ত হওয়া কমায় এবং স্নায়ুর কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। ব্রেন স্ট্রোকের পর পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের জন্য এটি একটি কার্যকর বিকল্প থেরাপি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নিয়মিত থেরাপি রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে।
অনিদ্রার জন্য
অনিদ্রা বা ঘুমের সমস্যা দূর করতে আকুপাংচার একটি কার্যকর পদ্ধতি। এটি মস্তিষ্কে সেরোটোনিন এবং এন্ডোরফিন নিঃসরণ বাড়িয়ে মানসিক প্রশান্তি আনে, যা গভীর এবং স্বাভাবিক ঘুম নিশ্চিত করে। অনিদ্রার কারণে সৃষ্ট ক্লান্তি ও মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত আকুপাংচার সেশন অত্যন্ত উপকারী।
মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের জন্য
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে এই পদ্ধতি দারুণভাবে কাজ করে। এটি শরীরের স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল) কমিয়ে মানসিক প্রশান্তি আনে এবং মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে। উদ্বেগজনিত শারীরিক উপসর্গ যেমন বুক ধড়ফড় করা বা শ্বাসকষ্ট দূর করতেও এটি কার্যকর। নিয়মিত আকুপাংচার মানসিক চাপের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান দিতে পারে।
বিষণ্নতার জন্য
মানসিক বিষণ্নতা দূরীকরণে আকুপাংচার পদ্ধতি মস্তিষ্কে ডোপামিন এবং সেরোটোনিন নিঃসরণ বাড়িয়ে মন ভালো রাখে এবং বিষণ্নতার উপসর্গগুলো কমায়। দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতার ক্ষেত্রে আকুপাংচার মানসিক শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
স্নায়ুর ব্যথা (ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া) এবং ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি
স্নায়বিক সমস্যাগুলোর চিকিৎসায় ব্রেন স্ট্রোকের পর সৃষ্ট পক্ষাঘাত, ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া, এবং ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির মতো সমস্যায় এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। আকুপাংচার স্নায়ুর কার্যক্ষমতা উন্নত করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং শরীরের প্রাকৃতিক নিরাময় প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। এটি পেশি শক্ত হওয়া বা দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।
পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা
বমি বমি ভাব
বমি বমি ভাবের সমস্যা সমাধানে আকুপাংচার পদ্ধত পেটের অস্বস্তি কমিয়ে বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মহিলাদের সকালের দুর্বলতা, কেমোথেরাপি বা সার্জারির পরবর্তী বমি বমি ভাব কমাতে আকুপাংচার ব্যবহৃত হয়। শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশে সূঁচ প্রয়োগের মাধ্যমে বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। এটি পেটের পেশী শিথিল করে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে, যার ফলে বমি বমি ভাব কমে আসে। এই পদ্ধতিতে শরীরের প্রাকৃতিক নিরাময় ক্ষমতাকে সক্রিয় করে তোলা হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য
নিয়মিত আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করা সম্ভব। এটি অন্ত্রের মাংসপেশির কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে, যা মলত্যাগে সহায়তা করে। এই পদ্ধতিতে, শরীরের নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্টে সূঁচ প্রয়োগ করা হয়, যা অন্ত্রের নড়াচড়া বৃদ্ধি করে এবং মলত্যাগ সহজ করে। এটি অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং শরীরের প্রাকৃতিক নিরাময় প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। এই পদ্ধতিটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
প্রজনন স্বাস্থ্য
বন্ধ্যাত্ব
বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় এটি প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আকুপাংচার শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, যা গর্ভধারণে সহায়ক। এটি ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং শুক্রাণুর মান উন্নত করতে সাহায্য করে। আকুপাংচার মানসিক চাপ কমায়, যা প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিয়মিত আকুপাংচার সেশন বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় ভালো ফল দিতে পারে।
মাসিকের ব্যথা
আকুপাংচার শরীরের প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা মাসিকের ব্যথা কমাতে সহায়ক। এটি পেটের পেশী শিথিল করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, যার ফলে ব্যথা কমে আসে। নিয়মিত আকুপাংচার সেশন মাসিকের ব্যথা কমাতে এবং মাসিকের সময় জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে।
অন্যান্য জটিলতা নিরসন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলা হয়। আকুপাংচার এই প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এই পদ্ধতিতে, শরীরের নির্দিষ্ট কিছু বিন্দুতে খুব ছোট সূঁচ প্রবেশ করানো হয়, যা স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। এর ফলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় কোষ এবং রাসায়নিক পদার্থের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত আকুপাংচার চিকিৎসা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
অস্ত্রোপচারের পরবর্তী জটিলতা দূরীকরণ
অস্ত্রোপচারের পর, অনেক রোগীর বিভিন্ন ধরণের জটিলতা দেখা দিতে পারে, যেমন ব্যথা, বমি বমি ভাব, ফোলা, এবং দুর্বলতা। আকুপাংচার এই জটিলতাগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই পদ্ধতিতে, শরীরের নির্দিষ্ট কিছু বিন্দুতে সূঁচ প্রবেশ করানোর মাধ্যমে ব্যথা এবং ফোলা কমানো যায়। এছাড়াও, আকুপাংচার বমি বমি ভাব এবং অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে। এটি রোগীর দ্রুত সুস্থ হতে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করে।
উপসংহার
আকুপাংচার একটি বহুমুখী চিকিৎসা পদ্ধতি, যা শারীরিক, মানসিক এবং দীর্ঘস্থায়ী বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি এই প্রাচীন পদ্ধতিটি মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, আকুপাংচার চিকিৎসা ব্যথা কমাতে, মানসিক চাপ কমাতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং পুরনো রোগের লক্ষণগুলোও কমাতে সাহায্য করে। এমনকি, অপারেশন বা অস্ত্রোপচারের পর যে সমস্যাগুলো হয়, সেগুলো কমাতেও এই চিকিৎসা বেশ উপকারী। এর মাধ্যমে রোগীরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। আধুনিক চিকিৎসার সাথে যদি আকুপাংচার চিকিৎসা যোগ করা হয়, তাহলে রোগীদের জন্য এটা একটা পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা হতে পারে।
এই পুরনো চিকিৎসা পদ্ধতি শরীরের ভেতরের শক্তি প্রবাহকে ঠিক রাখে, যার ফলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। এখনকার ব্যস্ত জীবনে, যখন নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়, তখন আকুপাংচার একটা নিরাপদ ও ভালো উপায় হিসেবে অনেকের কাছেই পছন্দের হয়ে উঠেছে। তাই, আকুপাংচার শুধু একটা চিকিৎসা নয়, সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপনের একটা পথও বটে।
লিখেছেন-
ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ), এমপিটি ( অর্থোপেডিকস ) – এন.আই.পি.এস, ইন্ডিয়া
পিজি.সি. ইন আকুপাংচার, ইন্ডিয়া
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন ওজন থেরাপি, ইউ.এস.এ এবং ওজোন ফোরাম, ইন্ডিয়া।
ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট, ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার।
পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা) এই নম্বরে কল করুন এবং এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নিন।
আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার