হাঁটু ব্যথা হলে করনীয় কি জেনে নিন

হাঁটুতে ব্যথা হওয়া একটি সাধারণ বিষয় এবং এটি সাধারণত গুরুতর কিছু লক্ষণ নয়। অনেকগুলি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে, যা একটি সাধারণ পেশীর স্ট্রেন বা টেন্ডোনাইটিস থেকে শুরু করে এক ধরণের আর্থ্রাইটিস পর্যন্ত হতে পারে। কখনও কখনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।

হাঁটু ব্যথা খুব বেশি গুরুতর না হলে বাড়িতে চিকিৎসা করা যেতে পারে এবং আপনি কয়েক দিন পরে ভাল বোধ করা শুরু করতে পারেন।

আপনার বয়সের সাথে সাথে হাঁটুতে ব্যথা হওয়া আরও সাধারণ হয়ে উঠতে পারে। আপনার ওজন বেশি হলে হাঁটুতে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। হাঁটু ব্যথা কখনও কখনও খেলাধূলা বা অন্যান্য আঘাতের ফলেও হতে পারে।

হাঁটু ব্যথা হলে করণীয়

হাঁটু কিভাবে গঠন করা হয় ?

হাঁটু আপনার শরীরের সবচেয়ে বড় জয়েন্ট। এটি চারটি প্রধান জিনিস নিয়ে গঠিত হাড়, লিগামেন্ট, তরুণাস্থি এবং টেন্ডন।
আপনার হাঁটু জয়েন্ট গঠিত হয় যেখানে তিনটি হাড় মিলিত হয়। এগুলি আপনার:
উরুর হাড়, যা ফিমার নামেও পরিচিত
শিনবোন, যা টিবিয়া নামেও পরিচিত
হাঁটু ক্যাপ, যা প্যাটেলা নামেও পরিচিত।
লিগামেন্ট এগুলি হাড়কে অন্য হাড়ের সাথে যুক্ত করে। আপনার হাঁটুতে চারটি প্রধান লিগামেন্ট রয়েছে। তারা আপনার হাড় একসাথে ধরে রাখতে এবং আপনার হাঁটু জায়গায় রাখতে শক্তিশালী দড়ির মতো কাজ করে।

হাঁটু ব্যথা হলে করনীয়

অনেক অবস্থা এবং আঘাত আপনার হাঁটু ব্যথার কারন হতে পারে। হাঁটু ব্যথার সাধারন কারন গুলোর মধ্যে আছে বাত, আঘাত।এছাড়া যে কারনে হাঁটুর ব্যথা হয়। অনেক সময় হাঁটু ব্যথা একটু যত্ন বা হাঁটু ব্যথায় ঘরোয়া চিকিৎসা নিলে সেরে যায়। আপনার হাঁটু ব্যথা হলে করনীয় গুলো জেনে নিতে পারেন।

  • সারাদিন খুব বেশি বিশ্রাম করবেন না। অত্যধিক বিশ্রাম আপনার পেশীকে দুর্বল করে দিতে পারে, যার ফলে হাঁটুর ব্যথা হতে পারে। আপনার হাঁটুর জন্য নিরাপদ একটি ব্যায়াম অনুশীলন করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে পেশী বা  জয়েন্টগুলো শক্তিশালী হয়। তাছাড়া  ফিজিওথেরাপিস্টের সাথে কথা বলে আপনার জন্য যে ব্যায়ামগুলো উপকারী হবে সেগুলো করতে পারেন।
  •  আপনার হাঁটুকে কিছুটা বিশ্রাম দিন, ফোলা কমাতে বরফ লাগান, একটি সংকুচিত ব্যান্ডেজ পরুন এবং আপনার হাঁটু বসা বা ঘুমানোর সময় উঁচুতে রাখুন।
  • অনেক বেশি ওজন হাঁটু ব্যথার কারন হতে পারে। কারন ওজন বেশি হলে হাটুতে চাপ পড়ে। আপনার ওজন কমলে আপনার হাঁটুতে চাপ কম পড়বে।
  • হাটুঁতে বেশি ব্যথা হলে বা চাপ দিতে সমস্যা হলে একটি ক্রাচ ব্যবহার করতে পারেন এর ফলে হাঁটু স্থিতিশীল থাকবে এবং হাঁটুর উপর চাপ কম হওয়ার ফলে ব্যথা কম হবে।
  • আকুপাংচার  যার মধ্যে শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টে সূক্ষ্ম সূঁচ ঢোকানো হয়, অনেক ধরনের ব্যথা উপশম করতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং হাঁটুর ব্যথায় সাহায্য করতে পারে।
  • হাঁটুতে আঘাতের পর হিটিং প্যাড বা গরম পানির ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। দিনে তিন বা চার বার ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য দিতে পারেন।
  • আপনার পায়ে সহনশীল এমন হিল দেওয়া জুতা ব্যবহার করুন ফলে হাটুঁতে চাপ কম পড়বে। বেশি হিল ব্যবহার করলে আপনার হাঁটুতে চাপ পরতে পারে।
  • গরম জলে স্নান করতে পারেন ফলে শরীর ঝরঝরা হয় এবং হাঁটু ব্যথায় পাওয়া যায় আরাম।

হাঁটু ব্যথা হলে করণীয়

কখন ডাক্তার দেখাবেন

হাঁটুর ব্যথা সাধারণত ঘরোয়া চিকিৎসায় বা  স্ব-সহায়ক ব্যবস্থা ব্যবহার করলে সেরে যায়, পরবর্তীতে চিকিৎসা ছাড়াই ব্যথা চলে যায়। তবে অনেক সময় গুরুত্বর ব্যথা হলে আপনি প্রথমে একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিবেন। আপনি কখন বুঝবেন আপনার ব্যথা গুরুত্বর? যদি নিচের লক্ষন বা উপর্সগ আপনার মধ্যে থাকে তাহলে অবশ্যই একজন ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে যান।

– হাঁটুতে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে।
– হাঁটু ফুলে গেলে।
– হাঁটু একস্থান থেকে অন্যস্থানে সরাতে না পারলে।
– ব্যথা কয়েক সপ্তাহ পাড় হয়ে গেলে।
– হাঁটুতে ভর বা ওজন না রাখতে পারলে।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহঃ

[sc_fs_multi_faq headline-0=”h3″ question-0=”হাঁটুর ব্যথা কি দূর হতে পারে ?” answer-0=”হাঁটুর ব্যথা সাধারণত ঘরোয়া চিকিৎসায় বা  স্ব-সহায়ক ব্যবস্থা ব্যবহার করলে সেরে যায়, পরবর্তী চিকিৎসা ছাড়াই ব্যথা চলে যায়। তবে অনেক সময় গুরুত্বর ব্যথা হলে আপনি প্রথমে একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ অবশ্যই নিবেন।” image-0=”” headline-1=”h3″ question-1=”হাঁটু ব্যথার জন্য কোন ফল ভালো ?” answer-1=”আনারস এবং পেঁপে, দারুণ স্বাদের এবং এতে ব্রোমেলিন থাকে যা জয়েন্টের ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। শুকনো খেজুর, বরই এবং ডুমুরও হাঁটু ব্যথা উপশমের জন্য দুর্দান্ত খাবার। ” image-1=”” headline-2=”h3″ question-2=”কোন বয়সে হাঁটু ব্যথা স্বাভাবিক ?” answer-2=”এটি যে কোনও বয়সে যে কাউকে প্রভাবিত করতে পারে, তবে এটি ৫০ বছরের বেশি লোকেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ” image-2=”” count=”3″ html=”true” css_class=””]

 

 

পরিচালনায়ঃ
ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ) , এমপিটি ( অর্থোপেডিকস ) – এন.আই.পি.এস , ইন্ডিয়া
পিজি.সি. ইন আকুপাংচার , ইন্ডিয়া
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন ওজন থেরাপি , ইউ.এস.এ এবং ওজোন ফোরাম , ইন্ডিয়া ।
ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট , ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার ।
পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা) 
ফেসবুকঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার 
এপয়েন্টম্যান্ট নিতে ক্লিক করুনঃ
https://visionphysiotherapy.com/appoi..

Visionphysiotherapy Centre
Visionphysiotherapy Centre
Articles: 74