ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকায় কি কি রাখা যায়?

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোগীদের অবশ্যই নিষিদ্ধ খাবার এবং সঠিক খাদ্য তালিকা সম্পর্কে ভালোভাবে জানা জরুরি। কারণ, অস্বাস্থ্যকর খাবার ডায়াবেটিস রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে, যা শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু খাবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যেগুলি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট খাদ্য তালিকা অনুসরণ করা প্রয়োজন। ডায়াবেটিস একটি বহুল প্রচলিত রোগ, যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। অনেকেই ডায়াবেটিসকে গুরুত্ব সহকারে নেন না। ডায়াবেটিস হলে জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা অপরিহার্য, কিন্তু অনেকেই সেই পরিবর্তনগুলো করেন না। ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা রোগীদের মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। আমরা আমাদের আগের পোস্টে ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছিলাম।

যদিও ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য নয়, তবে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে অনিয়মিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে আজ প্রায় প্রতিটি ঘরে ডায়াবেটিস রোগী দেখা যায়। তাই, যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে অবশ্যই নিষিদ্ধ খাবারগুলোর তালিকা জেনে রাখুন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। ডায়াবেটিস থাকলে খাদ্যাভ্যাসে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলা জরুরি হয়ে পড়ে। রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে হয়। ডায়াবেটিস রোগীরা অনেক কিছুই খেতে পারেন না।

তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কী খাচ্ছেন তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি কখন খাচ্ছেন সেটাও অত্যন্ত জরুরি। শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে না, সঠিক সময়ে খাবার খাওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পেট খালি থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন, এবং বাইরের খাবার এড়িয়ে চলা— এসব নিয়ম ডায়াবেটিস রোগীদের মেনে চলতেই হয়। নয়তো শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এগুলির পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়াও খুবই জরুরি। খাবার গ্রহণে অনিয়ম বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

উন্নতমানের ফিজিওথেরাপি সেন্টারে ভিশন ফিজিওথেরাপি সেবা পেতে আজই এপয়েন্টমেন্ট নিন অথবা +8801932-797229 এই নম্বরে কল করুন।

ডায়াবেটিস রোগীর বিশেষ নিষিদ্ধ খাদ্য তালিকা

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, এবং কিছু নির্দিষ্ট খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, এসব খাবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি হলো সুষম খাদ্যতালিকা অনুসরণ করা। মাখন, ঘি, মিষ্টি, চিনি, মধু, গুড়, লজেন্স, আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি, ফলের রস, নরম পানীয়, অ্যালকোহল, তেলেভাজা খাবার ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও চর্বি থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। এর পরিবর্তে, সবজি, ফল, পুরো শস্য, মাছ এবং মুরগি (তেল ছাড়া) ইত্যাদি খাওয়া উচিত। নিয়মিত ব্যায়াম এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলে ডায়াবেটিসকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে নিচে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিষিদ্ধ কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলোঃ

ডায়াবেটিস রোগীর অতিরিক্ত চিনি খাওয়া যাবে না

ফিজিওথেরাপি কোর্স কোথায় করা যায় এবং এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে নিন।

১) চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিনি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই ধরনের খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়, যা ডায়াবেটিসের বিভিন্ন জটিলতা যেমন হৃদরোগ, কিডনি রোগ, এবং স্নায়ুর ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অতিরিক্ত চিনি শুধু ডায়াবেটিস নয়, হৃদরোগ, স্থূলতা এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়। আবার, চিনি যুক্ত খাবারগুলোতে প্রায়শই প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমন প্রোটিন এবং ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে। ফলে, শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং ডায়াবেটিস রোগীর স্বাস্থ্য আরও খারাপ হতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিনি এবং চিনি যুক্ত খাবার, যেমন চকলেট, মিষ্টি, কেক, বিস্কুট ইত্যাদি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলা জরুরী। চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়, যা ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণ কঠিন করে তোলে। ইনসুলিন হল একটি হরমোন যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। চিনি খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়লে, প্যানক্রিয়াসকে অতিরিক্ত ইনসুলিন তৈরি করতে হয়। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চলতে থাকলে প্যানক্রিয়াস ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে এবং ফলে ইনসুলিনের অভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়াও, চিনি ওজন বৃদ্ধি করে, যা ডায়াবেটিসের জটিলতা বাড়াতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিনির পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর বিকল্প রয়েছে। ফল, সবজি এবং পুরো শস্যে প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি উপাদান থাকে। এই খাবারগুলোতে ফাইবারও থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে সাহায্য করে। ডায়েটেটিশিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা তৈরি করে ডায়াবেটিসকে সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

ফিজিওথেরাপি দিতে কত টাকা লাগে তা নিয়ে বিস্তারিত জানতে এই পোষ্টটি পড়ুন।

অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টারে উন্নতমানের ফিজিওথেরাপি সেবা পেতে আজই এপয়েন্টমেন্ট নিন অথবা +8801932-797229 এই নম্বরে কল করুন।

২) চর্বিযুক্ত / তেলভাজা খাবার

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চর্বিযুক্ত ও তেলভাজা খাবার এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও চর্বি আমাদের শরীরের জন্য কিছুটা উপকারী, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া ওজন বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত চর্বি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন করে তোলে এবং ডায়াবেটিসের জটিলতা বাড়াতে পারে। এছাড়াও, চর্বিযুক্ত খাবার হৃদরোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।

এক গ্রাম চর্বি থেকে প্রায় ৯ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়, যা অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের তুলনায় অনেক বেশি। অর্থাৎ, চর্বিযুক্ত খাবার খুব কম পরিমাণে খেলেও শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যোগ হয়ে যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই অতিরিক্ত ক্যালরি ওজন বৃদ্ধি এবং ইনসুলিন রোধের কারণ হতে পারে। ইনসুলিন রোধ হলে শরীরের কোষগুলি ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলে, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

তবে, সব ধরনের চর্বিই ক্ষতিকর নয়। অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো এবং বাদামে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের জন্য উপকারী। এই ধরনের চর্বি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই, ডায়াবেটিস রোগীদের এই ধরনের স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া উচিত এবং পরিশোধিত চর্বি ও তেলভাজা খাবার যেমন বাটার, গাড়ি, বিস্কুট ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত।

ফিজিওথেরাপি কি এবং ফিজিওথেরাপি কিভাবে দেওয়া হয় জানতে এই পোস্টটি পড়ে নিন।

দুধের তৈরি খাবার বেশি খাওয়া যাবে না

) দুধের তৈরি খাবার

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার বিষয়ে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কারণ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকলেও, অনেক দুগ্ধজাত খাবারে উচ্চ মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এই ধরনের চর্বি রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

তবে, সব দুগ্ধজাত খাবারই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয়। কম চর্বিযুক্ত দুধ এবং দই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। দিনে এক গ্লাস কম চর্বিযুক্ত দুধ খাওয়া সাধারণত নিরাপদ। দুধের গন্ধ যদি পছন্দ না হয়, তাহলে তাতে অল্প পরিমাণে দারুচিনি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং দুধের স্বাদও ভালো করে।

কোন দুগ্ধজাত খাবার এবং কত পরিমাণে খাওয়া উচিত, তা নির্ধারণের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীর শারীরিক অবস্থা আলাদা হয় এবং তাই তাদের জন্য খাদ্যতালিকাও আলাদা হওয়া উচিত। ডাক্তার রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে তাকে উপযুক্ত পরামর্শ দিতে পারবেন।

পিঠে ব্যথা কিসের লক্ষণ কি, ব্যথা কমাতে করণীয় কি কি জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে

) লবণ

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লবণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের মতো গুরুতর জটিলতার একটি প্রধান কারণ। তাই, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে লবণের পরিমাণ কমানো অত্যন্ত জরুরী।

কিছু গবেষণা ইঙ্গিত করে যে, বিট লবণ সাধারণ লবণের তুলনায় ডায়াবেটিস এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আরও ভালো ফলাফল দিতে পারে। বিট লবণে নাইট্রেট থাকে, যা রক্তচাপ কমাতে এবং শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তবে, এই বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।

যদিও বিট লবণের কিছু সম্ভাব্য উপকারিতা রয়েছে, তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লবণের পরিমাণ এবং ধরন নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসক রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থা, অন্যান্য ওষুধ সেবন এবং অন্যান্য কারণ বিবেচনা করে লবণের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন।

হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা ও রোগীর খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।

ড্রাই ফ্রুট বা শুঁকনো ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে

) শুকনো ফল

শুকনো ফল স্বাস্থ্যকর মনে হলেও, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জিং খাবার। কারণ শুকনো ফলে চিনির পরিমাণ অত্যধিক। উদাহরণস্বরূপ, ৫০ গ্রাম শুকনো খেজুরে প্রায় ২৫ গ্রাম চিনি এবং ৪৩ গ্রাম কিশমিশে প্রায় ২৫ গ্রাম চিনি থাকে। এই পরিমাণ চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে এবং ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণকে কঠিন করে তোলে।

শুকনো ফলে ফাইবার থাকলেও এবং ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করলেও, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এগুলি না খাওয়াই ভালো। কারণ শুকনো ফলের মধ্যে থাকা চিনি খুব দ্রুত শোষিত হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, শুকনো ফলের ক্যালরি মূল্যও বেশি হয়।

তাই, ডায়াবেটিস রোগীদের শুকনো ফল, বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় ফল যেমন খেজুর, কিশমিশ ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত। যদি আপনি শুকনো ফল খেতে চান, তাহলে আপনার ডায়েটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করে খুব সীমিত পরিমাণে এবং অন্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মধ্যে পার্থক্য জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।

প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া যতটা সম্ভব কমাতে হবে

) প্রক্রিয়াজাত মাংস

প্রক্রিয়াজাত মাংস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এই ধরনের মাংসে অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা তাজা মাংসে পাওয়া যায় না। এই রাসায়নিক উপাদানগুলি শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া, প্রক্রিয়াজাত মাংসে সোডিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়ায় এবং হৃদরোগ, স্ট্রোকের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। প্রক্রিয়াজাত মাংস তৈরির সময় অনেক পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।

ফলে, প্রক্রিয়াজাত মাংসে তাজা মাংসের তুলনায় পুষ্টির মাত্রা অনেক কম থাকে। অনেক গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রক্রিয়াজাত মাংসকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী খাবার হিসাবে ঘোষণা করেছে। তাই, সুস্থ থাকতে প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো। প্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন সসেজ, হ্যাম, বেকন, সলামি এবং মাংসের কেক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

এই ধরনের খাবারের পরিবর্তে তাজা মাংস, মাছ, মুরগি, শাকসবজি, ফল, বাদাম এবং বীজ খাওয়া উচিত। এই খাবারগুলোতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন খাবার আপনার জন্য উপযুক্ত, তা জানতে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

হার্ট অ্যাটাকের কারণ, লক্ষণ ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এই পোস্ট থেকে।

দুধ চা ও কফি বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে

৭) দুধ চা ও কফি

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দুধ ও চিনি যুক্ত চা এবং কফি খাওয়া খুবই ক্ষতিকর। এই ধরনের পানীয় রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়, যা ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণকে কঠিন করে তোলে। চা এবং কফিতে থাকা ক্যাফেইন হৃদস্পন্দন বাড়ায় এবং রক্তচাপকে প্রভাবিত করতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

দিনে দুই কাপের বেশি চা বা কফি পান করাও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন অস্থিরতা, ঘুমের সমস্যা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, ডায়াবেটিস রোগীদের চা-কফি পান সীমিত রাখা উচিত।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আয়ুর্বেদিক চা পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। অনেক আয়ুর্বেদিক চা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতাও প্রদান করে। তবে, কোন আয়ুর্বেদিক চা আপনার জন্য উপযুক্ত, তা জানতে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।

কিসমিস খাওয়া থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে

৮) কিসমিস

কিসমিস স্বাস্থ্যকর মনে হলেও, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জিং খাবার। কারণ কিসমিসে চিনির পরিমাণ অত্যধিক। চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণকে কঠিন করে তোলে।

এছাড়া, কিসমিস খাওয়া শরীরের ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। কারণ কিসমিসে ক্যালরির পরিমাণ বেশি হয়। অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে ফ্যাট হিসেবে জমে এবং ওজন বাড়ায়। কিছু লোকের ক্ষেত্রে কিসমিস হজমে সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।

যদিও কিসমিসে কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে, তবুও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি এড়িয়ে চলাই ভালো। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং স্বাস্থ্যকর থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করা উচিত।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপরে উল্লিখিত খাবারগুলো পরিহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যাভ্যাসে সঠিক পরিবর্তন আনলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে এবং জীবনযাপন মান উন্নত হবে।

সায়াটিকা সারানোর উপায়, ঔষধ, লক্ষণ, কারণ ও বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে এই পোস্টটি পড়ে জেনে নিন।

খাবারের ক্ষেত্রে কী কী বিশেষ খেয়াল রাখা যেতে পারে

ডায়াবেটিস রোগীরা খাবারের ক্ষেত্রে কী কী বিশেষ খেয়াল রাখা যেতে পারে?

১) ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই খাবারের সময়ের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় ধরে খাবার খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে যারা খাবারের আগে ইনসুলিন নেন, তাদের প্রতিদিন নির্দিষ্ট রুটিন মেনে খাবার খাওয়া উচিত।

২) শুধুমাত্র খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করলেই হবে না, নিয়মিত শরীরচর্চাও প্রয়োজন। ভারী ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই, প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যায়াম অত্যাবশ্যক।

৩) নিয়মিত রক্তের শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে, যাতে তা সঠিক সীমায় থাকে।

ডায়াবেটিস রোগীর বিশেষ খাদ্য তালিকা জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে নিন।

কোন কোন খাবার খেলে বেশি বিপদ হতে পারে

কোন কোন খাবার খেলে বেশি বিপদ হতে পারে?

ডায়াবেটিস রোগীদের মাখন, ঘি, মিষ্টি এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন: চিনি, মধু, গুড়, লজেন্স, আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি, ফলের রস, নরম পানীয়, অ্যালকোহল, তেলেভাজা খাবার, শিঙাড়া, কচুরি, চপ এবং কাটলেট ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা উচিত।

পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে ডাবল টোনড দুধ ও কম ফ্যাটযুক্ত বিস্কুট যেমন ক্রিমক্র্যাকার, মারি, এবং থিন অ্যারারুট গ্রহণ করা যেতে পারে। ফলের মধ্যে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন: মুসাম্বি, কমলা, পাকা পেঁপে এবং আপেল খাওয়া উচিত। কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে পরিমিত ভাত, রুটি, সুজি, চিঁড়ে, কর্নফ্লেক্স, মুড়ি এবং ব্রাউন ব্রেড খেতে পারেন, তবে মাত্রাতিরিক্ত নয়। সবজির মধ্যে রাঙা আলু, কচু, কাঁচা কলা, মুলো, গাজর, কুমড়ো ও এঁচোড় মেপে খেতে হবে। পটল, চিচিঙ্গা, চালকুমড়ো, করলা, পেঁপে, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, বাঁধাকপি, লাউ, ফুলকপি, শসা, থোর, মোচা, ক্যাপসিকাম, টমেটো, পেঁয়াজ, আদা, শাক, বিনস, ডুমুর, শিম এবং সজনে ডাঁটা ডায়েটে বেশি করে রাখা যেতে পারে।

ডায়াবেটিস ডায়েটের মূলনীতি

  • সকালের নাস্তা ভারী হবে।
  • দুপুরের খাবার মাঝারি পরিমাণে এবং রাতের খাবার হালকা হতে হবে।

তবে সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে সকালের খাবার এড়িয়ে যাওয়া এবং রাতে ভারী খাবার খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা বিঘ্নিত করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। দীর্ঘক্ষণ খালি পেট থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে, যা খুবই বিপজ্জনক। দুই খাবারের মাঝে শসা, টক দই, সেদ্ধ ডিম, ছোলা, ছাতু এবং মাখানা খেতে পারেন। এই খাবারগুলোতে ফাইবার, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখে। এছাড়া, এই খাবারগুলো হজমে সহায়তা করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। তবে, কোন খাবার আপনার জন্য উপযুক্ত, তা জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 

লিখেছেন-

ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ), এমপিটি ( অর্থোপেডিকস ) – এন.আই.পি.এস, ইন্ডিয়া
পিজি.সি. ইন আকুপাংচার, ইন্ডিয়া
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন ওজন থেরাপি, ইউ.এস.এ এবং ওজোন ফোরাম, ইন্ডিয়া।
ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট, ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার।


পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা) এই নম্বরে কল করুন এবং এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নিন

আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

ডায়াবেটিস বাড়লে খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে এবং ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়া জরুরি।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী খাবারের মধ্যে রয়েছে:

  • সবুজ শাকসবজি: ব্রোকলি, পালং শাক, বাঁধাকপি ইত্যাদি সবুজ শাকসবজি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • ফল: আপেল, পেয়ারা, কমলা ইত্যাদি ফল ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • পুরো শস্য: বাদাম, বীজ, ওটস ইত্যাদি পুরো শস্য রক্তে শর্করা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে দেয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরে রাখে।
  • দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য: দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ। তবে, চর্বিহীন বা কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়া উচিত।
  • মাছ এবং মাংস: মাছ এবং মাংস প্রোটিনে সমৃদ্ধ এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁঠাল খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ নয়। কাঁঠালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) মাঝারি মাত্রার, অর্থাৎ এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা খুব দ্রুত বাড়ে না। এছাড়া, কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা শরীরের শর্করা শোষণের গতি কমিয়ে দেয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তবে, যেহেতু কাঁঠালে কিছু পরিমাণে চিনি থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের কাঁঠাল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কাঁঠাল খাওয়ার পরিমাণ এবং সময় নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা আপনাকে নির্দিষ্ট নির্দেশাবলী দেবেন।

অনেকে ভুল ধারণা পোষণ করেন যে কোনো একটি নির্দিষ্ট খাবার খেলেই টাইপ ২ ডায়াবেটিস হয়। আসলে, টাইপ ২ ডায়াবেটিস একটি জটিল রোগ যার জন্য একাধিক কারণ দায়ী। তবে, কিছু খাবারের অতিরিক্ত সেবন এই রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

সম্পূর্ণ সুগার ফিজি এবং এনার্জি ড্রিংকস, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট যেমন সাদা রুটি, সাদা ভাত এবং চিনিযুক্ত প্রাতঃরাশের সিরিয়াল, এবং লাল এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন বেকন, হ্যাম, সসেজ, শুয়োরের মাংস, গরুর মাংস এবং ভেড়ার মাংস এই ধরনের খাবারগুলোতে উচ্চ পরিমাণে চিনি, অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয় এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের ঝুঁকি বাড়ায়। দীর্ঘদিন এই ধরনের খাবার খাওয়া টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ডায়াবেটিসে ফল খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে, সব ফলই ডায়াবেটিসের জন্য উপযুক্ত নয়। কম চিনিযুক্ত এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ফল যেমন জাম্বুরা, পেঁপে, আপেল, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, রাস্পবেরি ইত্যাদি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এই ফলগুলো রক্তের শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণতা দেয়। তবে, ফল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অবশ্যই, ডায়াবেটিস রোগীরাও আম খেতে পারেন, তবে পরিমাণটা সীমিত রাখতে হবে। পাকা মিষ্টি আমে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে, আমে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের জন্য উপকারী। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা দৈনিক ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম, অর্থাৎ একটি ছোট আম বা অর্ধেক মাঝারি আম খেতে পারেন। তবে, আম খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরের প্রতিক্রিয়া আলাদা হতে পারে।

পাস্তা খাওয়া থেকেই ডায়াবেটিস হয়, এমনটা বলা যাবে না। ডায়াবেটিস হলো একটি জটিল রোগ যার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। তবে, পাস্তা কোন ধরনের, কত পরিমাণে এবং এর সাথে কী খাওয়া হচ্ছে, সেটার উপর নির্ভর করে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। সাদা পাস্তার তুলনায় গোটা শস্যের পাস্তায় ফাইবার বেশি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে সাহায্য করে। তাই, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গোটা শস্যের পাস্তা খাওয়া বেশি উপকারী হতে পারে। তবে, পাস্তা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

Author - Dr Saiful Islam

Consultant Physiotherapist
BPT (DU), MPT (Ortho)
PGC in Acupuncture (India)
Specially trained in Ozone therapy

Dr. Saiful Islam
Dr. Saiful Islam

Consultant Physiotherapist
BPT (DU), MPT (Ortho)
PGC in Acupuncture (India)
Specially trained in Ozone therapy

Articles: 16