হার্ট অ্যাটাক কি? হার্ট অ্যাটাকের কারণ, লক্ষণ ও হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয়

হার্ট অ্যাটাক বাংলাদেশের একটি বিশেষ সমস্যা। আমাদের দেশে এমন অনেক লোক রয়েছেন যারা অনেক সময় হার্টের ঝুঁকি নিয়ে জীবনযাপন করে চলছেন। এক্ষেত্রে অনেকে ভেবে থাকেন যে, হার্ট অ্যাটাক করলে সেই মানুষের বাঁচার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। আবার, অনেকে আবার তেমন কোনো গুরুত্বও দেন না। আমাদের এই জন্য এইসব বিষয়ে কিছু হলেও ধারণা নিয়ে রাখতে হবে। তাই আজ আমি আমার এই পোস্টে হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ, হার্ট অ্যাটাকের কারণ ও হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো। আমি আমার এই পেইজে আগের পোস্টে কোমর ব্যথা সারানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।

হার্ট অ্যাটাক কি?

শকওয়েভ থেরাপি মেশিন কিভাবে কাজ করে তার বিস্তারিত বর্ণনা জানতে এই পোস্টটি পড়ে নিন।

হার্ট অ্যাটাক কি?

হার্টের মধ্যে রক্ত, অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহের জন্য করোনারি ধমনী নামে রক্তনালী রয়েছে। চর্বি বা প্লাক অথবা অন্য কোন কারণে এ রক্তনালী ব্লক হয়ে যেতে পারে। আর তখন হার্টের মাংসপেশিগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পায় না। যার ফলে হৃদপেশিগুলো দূর্বল হয়ে পড়ে। আর তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়।  হার্ট অ্যাটাক কে মেডিকেলের ভাষায় ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসন বা এমআই’ বলা হয়।

হার্ট অ্যাটাক কত প্রকার?

হার্ট অ্যাটাক তিন প্রকার। যেমনঃ

  • এসটি সেগমেন্ট এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসন (STEMI)
  • নন-এসটি সেগমেন্ট এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসন (NSTEMI)
  • করোনারি স্পাজম অথবা অস্থির অ্যানজাইনা

এসটি সেগমেন্ট এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসন (STEMI)

হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে মারাত্মক প্রকার হল এসটি সেগমেন্ট এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসন (STEMI)। কারণ এই হার্ট অ্যাটাকে হৃদপিন্ডে রক্ত সরবরাহকারী করোনারি ধমনী সম্পূর্ণরূপে ব্লক হয়ে যায়। যার ফলে হার্টের বড় একটি অংশ রক্ত সরবরাহ পায় না এবং অকেজো হয়ে পড়ে।

তাৎক্ষণিকভাবে হৃদপিণ্ডন্ডের ওই অকেজো অংশে রক্ত পৌছানোর জন্য থ্রম্বোলাইটিক্স( ক্লট বাস্টার) ব্যবহার করা হয়। যা সাধারণত শিরার মাধ্যমে দেওয়া হয়। এছাড়াও অ্যানজিওপ্লাস্টির ক্যাথেটার ব্যবহার করে থ্রম্বোলাইটিক্স দেওয়া হয়।   কারণ এই ক্যাথেটার করোনারি ধমনীর ব্লকগুলো খুলতে সহায়তা করে। “এসটি সেগমেন্ট এলিভেশন” বলতে হার্টের ইলেকট্রিক সিগন্যালের পরিবর্তনকে বুঝায়। যা সাধারণত ইসিজি বা ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রামের মাধ্যমে জানা যায়।

নন-এসটি সেগমেন্ট এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসন (NSTEMI)

নন-এসটি সেগমেন্ট এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসন (NSTEMI) হল এমন হার্ট অ্যাটাক, যেখানে ইসিজি বা ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রামে এসটি সেগমেন্টের উচ্চতার কোন পরিবর্তন দেখায় না এবং হার্টের করোনারি ধমনী আংশিক বা অস্থায়ী ব্লকেজ হয়। যার ফলে হার্টের মাংসপেশির তেমন ক্ষতি হয় না। তবে এ ধরনের হার্ট অ্যাটাক জানার জন্য রক্তের ট্রপোনিন পরীক্ষা করা হয়। কারণ হার্টের পেশি ক্ষতিগ্রস্থ হলে হার্ট থেকে ট্রপোনিন ক্ষরিত হয়।  

করোনারি স্পাজম অথবা অস্থির অ্যানজাইনা

করোনারি স্পাজম বা অস্থির অ্যানজাইনা এমন এক ধরনের হার্ট অ্যাটাক, যেখানে করোনারি ধমনীগুলো শক্ত ও সরু হয়ে যায়। যার ফলে হার্টের পেশিতে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। আর এ ধরনের হার্ট অ্যাটাক হয়। এ ধরনের হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় ক্যালসিয়াম ও নাইট্রেট চ্যানেল ব্লকার ব্যবহৃত হয়।

আমাদের সেরা ও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্ট দ্বারা ফিজিওথেরাপি সেবা নিতে এখানে ক্লিক করে আপনার এপয়েন্টমেন্ট টি নিয়ে নিন।

হার্ট অ্যাটাক কেন হয় ও তার কারণ

হার্ট অ্যাটাক কেন হয়?

হৃদপিণ্ড বা হার্টের কাজ ভালোভাবে পরিচালনার জন্য হার্টের মাংসপেশিতে উপযুক্ত পরিমাণ রক্ত সরবরাহের প্রয়োজন হয়। হার্টে রক্ত পরিবহণকারী রক্তনালী যদি ব্লক হয়ে যায়, তখন হার্টে যথার্থ পরিমাণ রক্ত যেতে পারে না। যার ফলে হার্টের মাংসপেশি উপযুক্ত পরিমাণ অক্সিজেন পায় না। আর তখনই হার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসন হয়।

হার্ট অ্যাটাক এর কারণ

হার্ট অ্যাটাক নারীদের তুলনায় পুরুষদের বেশি হয়ে থাকে। কারণ পুরুষের দেহে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল বেশি থাকে। এছাড়াও অন্যান্য নানা কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। হার্টের নিজস্ব রক্ত সরবরাহের জন্য করোনারি ধমনী রয়েছে। এই করোনারি ধমনীতে চর্বি জমে এক ধরনের প্লাক তৈরি হয়। হার্ট অ্যাটাকের পূর্বে এই প্লাকগুলো ফেটে যায়। আর ধমনীতে রক্ত জমাট বাধে। যার কারণে হার্টে রক্ত প্রবাহ বিঘ্নিত হয় এবং তখনই হার্ট অ্যাটাক ঘটতে পারে।

করোনারি হার্ট ডিজিজ হওয়ার কতিপয় কিছু কারণ রয়েছে তা হলো-

  • উচ্চ রক্তচাপ হলে;
  • ধুমপানে আসক্তি থাকলে;
  • ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হলে;
  • দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে;
  • রক্তে অস্বাভাবিক মাত্রায় খারাপ কোলেস্টেরল থাকলে;
  • অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খেলে;
  • নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম না করলে;
  • অত্যাধিক মদ পান করলে;

হার্ট অ্যাটাকের পর আপনার বিশেষ চিকিৎসার জন্য এখনই আমাদের থেকে সেরা সার্ভিস টি নিয়ে নিন। ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার থেকে উন্নত মানের সেবা পেতে এখানে এপয়েন্টমেন্ট নিন।

উচ্চ রক্তচাপ

হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হল উচ্চ রক্তচাপ। একজন স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ হল ৮০/১২০ মিলিমিটার মার্কারি। উচ্চ রক্তচাপ বিশিষ্ট লোকের রক্তচাপ ৯০/১৪০ মিলিমিটার মার্কারি এর উপরে থাকে। রক্তচাপ বেশি থাকায় হৃদপিণ্ডকে অনেক বেশি রক্ত পাম্প করতে হয়। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

অতিরিক্ত কোলেস্টেরল

মানুষের দেহে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে।  

১) এলডিএল ( লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন);
২) এইচডিএল ( হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন);

এলডিএলে (LDL) প্রচুর পরিমাণে চর্বি এবং অল্প পরিমাণে প্রোটিন থাকে। আর এই অতিরিক্ত চর্বি   রক্তনালীকে ব্লক করে দিতে পারে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। অপরিদিকে এইচডিএলে (HDL) প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং অল্প পরিমাণে চর্বি রয়েছে। আর এই প্রোটিনগুলো রক্তনালীর অতিরিক্ত চর্বিগুলোকে সরিয়ে ফেলতে পারে। যার কারণে এইচডিএলকে ভালো কোলেস্টেরল বলা হয়।

অতিরিক্ত মাদক সেবন

ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথ, কোকেইন, আফিম ও অ্যামফেটামিন এর মত ভয়াবহ মাদক সেবনের কারণে করোনারি ধমনি সংকোচিত হয়ে পড়ে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক ঘটতে পারে। যুবকদের হঠাৎ মৃত্যুর জন্য কোকেইন জাতীয় নেশার প্রভাব অন্যতম। এ নেশাই তরুণদের হার্ট অ্যাটাক ঘটিয়ে মৃত্যুর কোলে নিয়ে যায়।

রক্তে অক্সিজেনের স্বল্পতা

ফুসফুসের স্বাভাবিক কাজ কমে গেলে অথবা কার্বন মনোক্সাইড এর ক্ষতিকর প্রভাবে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যেতে পারে। কাঠ, কয়লা, গ্যাস ও তেল পোড়ালে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস তৈরি হয়। আর এ গ্যাস ফুসফুসে প্রবেশ করলে অনুভব করা যায় না। কারণ এ গ্যাসে কোন গন্ধ নেই।

এই বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস রক্তের হিমোগ্লোবিনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সিজেন পরিবহনে বাধা প্রদান করে। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ও রক্তে অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। যার ফলে হার্টে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত প্রবাহিত হয় না। আর তখনই হার্ট অ্যাটাক ঘটতে পারে।

আমাদের সব ধরনের ফিজিওথেরাপি সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সরাসরি এই +8801932-797229 নম্বরে কল করতে পারেন।

বংশ পরস্পরার কারণে 

বংশ পরাম্পরায় হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদি আপনার ভাই কিংবা বাবার ৫৬ বয়সের আগে অথবা আপনার বোন কিংবা মায়ের ৬৬ বছরের আগে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হয়, তাহলে আপনারও হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ

হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ

হার্ট অ্যাটাকের কতগুলো লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখা  দিলে, সঠিক সময় মতো চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে যে কোন সময় মৃত্যু হতে পারে। অনেক সুস্থ মানুষেরও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জন্য পূর্ব থেকেই রোগাক্রান্ত থাকাটা আবশ্যক নয়। হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ সম্পর্কে সত্যিকার্থে না জানলে, নিকটবর্তী হসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে অনেক দেরি হয়। যার ফলে এই সময়ে রোগীর মৃত্যুও হয়ে যেতে পারে।

হার্ট ফাউন্ডেশন অব অস্ট্রেলিয়া এর তথ্যমতে, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। কারো ক্ষেত্রে একটি মাত্র উপসর্গ প্রকাশিত হয়। আবার কারো ক্ষেত্রে একাধিক লক্ষণ প্রকাশিত হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে কোন লক্ষণই প্রকাশিত হয় না। তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসক বিভিন্ন ডায়াগনোসিস করে বুঝতে পারেন যে ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক‘ হয়েছে।  

হার্ট অ্যাটাকের কোন লক্ষণ যদি বুঝতে পারেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। কারণ এ রোগে প্রতিটি সেকেন্ড খুবই মহামূল্যবান। একটু দেরী হলেই ঘটে যেতে পারে মৃত্যু। হার্ট অ্যাটাকের কতিপয় লক্ষণ রয়েছে, সেগুলো বুঝতে পারলেই দ্রুত ইমারজেন্সি এম্বুলেন্স কল করে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। আর সেই লক্ষণগুলো হচ্ছে-

বুকের মাঝ বরাবর ব্যথা করে

হার্ট অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণই হচ্ছে বুকের ঠিক মাঝখানে ব্যথা অনুভব হওয়া। বুকের বাম কিংবা ডান দিকে কোন ব্যথা হবে না। ঠিক বুকের মাঝখানে ব্যথা অনুভূত হবে। আর এটাকে মেডিকেলের ভাষায় ‘সেন্ট্রাল চেস্ট পেইন’ বলা হয়। এ ব্যথা আস্তে আস্তে তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে।

তখন হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা মনে হবে, কেউ যেন অস্ত্র দিয়ে বুকের মধ্যে আঘাত করছে বা বড় প্রাণী পাড়া দিচ্ছে ও বুকের কশেরুকা হাড়গুলো ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলছে। এগুলো সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে হতে পারে। তবে এ সময় অতিরিক্ত পালস রেট বা বুকে অস্থিরতা থাকবে। যখন হার্টের ব্যথার সাথে অতিরিক্ত অস্বস্তি অনুভব হবে, তখন দেরি না করে নিকটবর্তী হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে নিয়ে যেতে হবে।

হাতে, ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথা হয় এবং ছড়িয়ে পড়ে

হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা অনেক সময় ঘাড়, বাম হাত, পিঠ, চোয়াল, দাঁত ও পেটের উপরের অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ রকমভাবে ব্যথা ছড়িয়ে পড়াকে “রেডিয়েট পেইন” বলে। ঘাড়ে ব্যথা ছড়িয়ে পড়লে মনে হবে গলাতে যেন কেউ চেপে বসে আছে। গলা দিয়ে কিছু নিচে নামছে না। যে সকল মানুষের ডায়াবেটিস আছে অনেক সময়  তারা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা বুঝতেই পারেন না। কারণ তাদের পেইন বুঝার অনুভূতি ক্ষমতা কমে যায়।  যাদের দীর্ঘদিন যাবৎ অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস রয়েছে, তাদের জন্য এ সমস্যা আরো বেশি হয়।

তবে একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, যদি ব্যথা বাম হাতের নিচের দিকে নামতে থাকে এবং গলায় চাপ দিয়ে বসে আছে কেউ এমন মনে হয় তাহলে বুঝতে হবে এটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। আর এমন উপসর্গ পাওয়া মাত্র অতি দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যেতে হবে অন্যদিকে গলা দিয়ে কিছু নিচে নামছে না, গলা ব্যথা করছে বা বসে রয়েছে, কিছু খেতে বা গিলতে অসুবিধা হচ্ছে, গলার মধ্যে কিছু আটকে রয়েছে এগুলোও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।

তবে নারীদের হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে ঘাড়, পিঠ ও বাহুতে বেশি ব্যথা অনুভূত হয়। সেজন্য হার্টের অন্যান্য লক্ষণের সাথে এ লক্ষণগুলো দেখা দিলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের কাছে হবে।

কোমর ব্যথা সম্পর্কে জানতে হলে আমার এই বিস্তারিত পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন।

শ্বাসকষ্ট ও দম ফুরিয়ে আসে

শ্বাসকষ্ট হয় ও দম ফুরিয়ে আসে

হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম একটি লক্ষণ হল শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট হওয়া। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের পর চিকিৎসা না নিলে হার্ট ফেইলর হতে পারে। আর হার্ট ফেইলর হলে হার্ট থেকে পানি ফুসফুসে যেতে পারে। আর ফুসফুসে পানি জমলে নিংশ্বাস ছাড়তে অনেক কষ্ট হয় এবং মনে হয় দম ফুরিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও ঠান্ডা লাগতে পারে ও শরীরের বিভিন্ন মাংসপেশি কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রশ্বাস ও নিশ্বাস নিতে যে মাংসপেশি সহায়তা করে বিশেষ করে এক্সটার্নাল ও ইন্টারনাল ইন্টারকোস্টাল পেশি অনেক দূর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আর হার্ট অ্যাটাক পর শ্বাসকষ্ট হওয়া খুবই খারাপ লক্ষণ। এ অবস্থায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

হার্ট অ্যাটাক নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ভুগেন। তাই হার্ট অ্যাটাক এর কারণ, লক্ষণ ও হলে করণীয় কি কি তা জানতে এই বিস্তারিত পোস্টটি পড়ুন।

পেটে অসহ্য ব্যথা হয়

বুকের তীব্র ব্যথা অনেক সময় পেটের উপরে ছড়িয়ে যেতে পারে। অনেকে এ ধরনের ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বা পাকস্থলীর প্রদাহ বলে ভুল করেন। যার ফলে চিকিৎসক এর কাছে যেতে বিলম্ব করেন।

বিশেষ করে যাদের অনেক দিন যাবৎ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে,  তারাই এ ভুলটি বেশি করেন।তাই পেটে অসহ্য রকমের ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হলে দ্রুত চিকিৎসকের স্মরণাপূর্ণ হওয়া উচিত।

অতিরিক্ত ঘাম হয়

এক্সারসাইজ, দৌড়াদৌড়ি,  হাঁটা-চলা ও প্রচন্ড গরমে যে ঘাম হয় তা হল স্বাভাবিক। তবে বুকে অসহ্য তীব্র ব্যথার সঙ্গে যে ঘাম হয় তা অস্বাভাবিক ও হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। যদি ডায়বেটিক রোগীর বুকে ব্যথার সাথে অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড় করা, অস্থির লাগে,  তাহলে দেরী না করে অতি দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।

অধিকাংশ হার্ট অ্যাটাকে একাধিক উপসর্গ থাকতে পারে। যেমন: অতিরিক্ত ঘাম, বুকে ব্যথা, ধড়ফড় করা, অস্বস্তি অনুভব। তাই হার্ট অ্যাটাকে শুধু বুকে ব্যথা থাকবে এ ধারণা করে বসে থাকা যাবে না। অন্যথায় দেরী করে চিকিৎসকের কাছে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

অল্পতেই ক্লান্তি অনুভব করা

আমাদের ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার থেকে অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট দ্বারা সেরা মানের সার্ভিসটি পেতে আপনার এপয়েন্টমেন্ট টি এখনই কনফার্ম করুন

অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে

অনেকে দেখা যায় অল্প কিছু কাজ করলেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। বুকে অস্বস্তি ও ধড়ফড় শুরু হয়। বিশেষ করে মহিলাদের এ সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। এ লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসক এর পরামর্শ নেওয়া দরকার।

বমি বমি ভাব ও বমি হয়

বমি বমি ভাব বা বমি শুরু হলেই এটা হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ বিষয়টা এমন নয়। বমির সাথে বুকে তীব্র ব্যথা, অস্বস্তি, মাথা ঘুরানো, বুকে ধড়ফড় করলেই, সেটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে হঠাৎ কোন কারণ ছাড়াই বমি শুরু হওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ হওয়া, সাথে তীব্র বুকে ব্যথা থাকলে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। তখন অতি দ্রুত চিকিৎসক এর কাছে যেতে হবে।

বেশি কাশি হয়

কারো অনেকদিনের কাশি থাকলে এবং এর সঙ্গে সাদা বা মেঘাচ্ছন্ন কফ বের হলে বুঝতে হবে হার্ট ভালোভাবে কাজ করছে না। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুধু কাশি হলেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে বিষয়টা এমন নয়। কফের সাথে রক্ত বের হলে ও বুকে তীব্র ব্যথা হলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রচন্ড মাথা ব্যথা হয়

মাথা ব্যথা হলে আমরা মনে করি, এটা মাইগ্রেনের ব্যথা। যার ফলে বিভিন্ন ব্যথার ঔষধ খেয়ে থাকি। কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হল, নিয়মিত প্রচন্ড মাথা ব্যথা করা।

অজ্ঞান হয়ে যায়

অনেকে বিভিন্ন সময় কাজ করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাহলে বুঝতে হবে তার হার্টের সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও হার্টে অ্যাটাকের ব্যথা তীব্র হলে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। ইউএসএর কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা -সিডিসির তথ্য মতে, মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং দূর্বল অনুভূত হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের তীব্র  ব্যথায় অজ্ঞান হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে নিয়ে যেতে হবে।

পালস রেট বেড়ে যায়

দৌড়াদৌড়ি, খেলাধূলা করলে পালস রেট বেড়ে যায়। একজন সুস্থ মানুষের গড়ে পালস রেট ৬০-১০০ বিটস/মিনিট। যদি কোন কারণ ছাড়াই পালস রেট ১০০ এর উপরে চলে যায়,  তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তখন তা হার্ট এট্যাকের লক্ষণ হতে পারে। 

মানসিক চাপ তৈরি হয়

হার্ট অ্যাটাকের রোগীদের পালস রেট অনেক বেশি থাকে। এছাড়াও প্রচন্ড ক্লান্তি ভাব ও বুক ধড়ফড়, মাথা ব্যথা, পেটে ব্যথা, শারিরীক দূর্বলতা থাকে। যার কারণে রোগী প্রচন্ড মানসিক চাপে ভোগে থাকেন। হার্ট অ্যাটাক কোন লক্ষণ ছাড়াও হঠাৎ করে হতে পারে। তবে সাধারণত এক মাস, এক সপ্তাহ, কয়েকদিন আগে থেকেই এর লক্ষণ প্রকাশিত হয়। তাই উপসর্গ দেখার সাথে সাথেই দেরী না করে হাসাপাতালের জরুরী বিভাগে যাওয়া উচিত।

হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয়

আপনার বা আপনার পরিবারের শরীরের যে কোনো অংশের ব্যথা সম্পর্কে পরামর্শ নিতে আমাদের +8801932-797229 নম্বরে কল প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জেনে নিন।

হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয়

বুকের ঠিক মাঝ বরাবর ব্যথা অনুভূত হলে অতি দ্রুত হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যেতে হবে। তাৎক্ষণিকভাবে ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম বা ইসিজি ও রক্ত পরীক্ষা করে হার্ট অ্যাটাক নিশ্চিত করতে হবে।

হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে আতঙ্কিত হয়ে পড়লে চিকিৎসা নিতে দেরী হয়ে যেতে পারে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে জোরে ও বেশি বেশি করে কাশি দিতে হবে, যাতে কাশির সঙ্গে কফ থাকলে বের হয়ে আসে। তবে প্রত্যেকবার কাশি দেওয়ার আগে দীর্ঘ সময় নিয়ে একটি শ্বাস নিতে হবে। এইভাবে দীর্ঘশ্বাস ও কাশি-প্রতি দুই মিনিট সময়ের ব্যবধানে নিতে হবে। যার ফলে হার্ট কিছুটা হলেও রক্ত সরবরাহ করবে এবং হাসপাতালের পৌঁছানোর পূর্বে রোগীকে অনেক সাপোর্ট করবে।

ঘন কাশি রোগীর বুকের উপর যে চাপ সৃষ্টি করে,  তা রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে। এছাড়াও দীর্ঘশ্বাস শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বুকে ব্যথার সাথে খেয়াল রাখতে হবে যে রোগীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিনা? রোগী যদি টাইট কাপড়-চোপড় পড়ে থাকে,তাহলে তা হালকা ঢিলেঢালা করে দিতে হবে। তারপর অতি দ্রুত সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) শুরু করতে হবে। সিপিআর হল রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা। তবে সিপিআর দেওয়ার আগে অবশ্যই ইমারজেন্সি এম্বুলেন্স কল করতে হবে। 

সিপিআর দেওয়ার নিয়ম হচ্ছে-

১) প্রথমে রোগীকে একটি সমান জায়গায় চিৎ করে শুইয়ে দিতে হবে। যিনি সিপিআর দিবেন তাকে হাঁটু গেড়ে রোগীর পাশে বসতে হবে। তারপর রোগী পালস এবং শ্বাস নিতে পারছে কিনা? তা খেয়াল করতে হবে।
২) গলার ভিতরে কিছু আটকে আছে কিনা? তা দেখতে হবে। তারপর মাথা পেছনে টেনে নিয়ে শ্বাসনালি খুলে দিতে হবে। যাতে করে কফ, রক্ত বা অন্য কিছু থাকলে বের হয়ে আসতে পারে।
৩) তারপর এক হাতের আঙ্গুলের ভিতরে অন্য হাতের আঙ্গুল রেখে হাতের তালু দিয়ে রোগীর বুকের মাঝখানের হাড় স্টার্ণামের নিচের দিকে চাপ দিতে হবে। প্রতি সেকেন্ডে দুইবার করে চাপ দিতে হবে।
৪) প্রতিবার চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে তা যেনো দুই ইঞ্চি ভিতরে যায়। আবার ছেড়ে দিলে তা আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এভাবে প্রতি মিনিটে ১০০-১২০ বার চাপ দিতে হবে।
৫) তবে প্রতি ৩০ বার চাপ দেওয়ার পর মাথা সোজা করে থুতনিতে চাপ দিয়ে মুখ খুলতে হবে এবং দুইবার স্বাভাবিক দম নিয়ে নাকে ধরে শ্বাস দিতে হবে। একবার শ্বাস দেওয়ার পর দেখতে হবে রোগীর বুক ফুলে উঠছে কিনা? তারপর সেটি বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তারপর দ্বিতীয়বার আবার শ্বাস দিতে হবে।
৬) এভাবে প্রতি ৩০ বার চাপ দেওয়ার পর দুই বার নি:শ্বাস দিতে হবে। রোগীকে চাপ দোওয়ার ক্ষেত্রে দশ সেকেন্ডের বেশি বিরতি দেওয়া যাবে না।
৭) রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এভাবে সিপিআর চালিয়ে যেতে হবে। যদি এর মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাস চলে আসে তাহলে রোগীকে শুইয়ে রেখে হাসপাতালে নিয়ে বাকি চিকিৎসা করতে হবে।

হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যা হৃদপিণ্ডের ধমনীতে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়ার ফলে হয়। এই অবস্থায় হৃদপিণ্ডের একটি অংশ রক্ত সরবরাহ না পেয়ে মারা যেতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ধমনীর শিরা বাধা, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ধূমপান এবং ডায়াবেটিস।হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে।

সাধারণত বুকে চাপ অনুভূতি, শ্বাসকষ্ট, বাম হাত বা কাঁধে ব্যথা, মাথা ঘোরা এবং বমি ভাব অনুভূতি হয়। যদি কেউ এই ধরনের লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে তাকে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান ত্যাগ এবং উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

আপনার শরীরের সব ধরনের ব্যথা কমাতে আমরা রয়েছি বিশেষ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে। আমাদের থেকে উন্নত ও বিশেষ সেবা নিতে এখনই এপয়েন্টমেন্ট নিন এবং নিশ্চিন্তে থাকুন।

লিখেছেন-

ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ), এমপিটি ( অর্থোপেডিকস ) – এন.আই.পি.এস, ইন্ডিয়া
পিজি.সি. ইন আকুপাংচার, ইন্ডিয়া
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন ওজন থেরাপি, ইউ.এস.এ এবং ওজোন ফোরাম, ইন্ডিয়া।
ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট, ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার।

পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা) এবং এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নিন

আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার

 

তথ্যসূত্র

NHS- Heart attack

Cleveland Clinic- Heart Attack: Symptoms, Causes & Treatment

WebMD- Heart Attack: Causes, Symptoms, and Treatment

MedicalNewsToday- Heart attack: Symptoms, treatment, and causes

British Heart Foundation- Heart attack – BHF

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যার দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। যেমনঃ বুকে অস্বস্তি: বুকে চাপ, ব্যথা, জ্বালাপোড়া বা ভারীভাব অনুভূতি হতে পারে। এই ব্যথা কখনো কখনো বাহু, কাঁধ, ঘাড় বা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়তে পারে। হার্ট অ্যাটাকের ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে, হাঁপানি বা দম ফুরিয়ে আসতে পারে। হঠাৎ করে ঠান্ডা ঘাম আসতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের ফলে মাথা ঘোরা, চোখের সামনে অন্ধকার দেখা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াও হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের কারণে বমি ভাব বা বমি হতে পারে। শরীরে অস্বাভাবিক দুর্বলতা অনুভূতি হতে পারে। এছাড়াও, উদ্বিগ্নতা, কাশি, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, পা ফুলে যাওয়া ইত্যাদিও হতে পারে।

দুর্বল হৃদয়ের লক্ষণগুলি প্রায়শই সূক্ষ্ম হতে পারে এবং অন্যান্য অসুস্থতার লক্ষণের সাথে মিল থাকতে পারে। তবে, কিছু সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে বুকে চাপ, জ্বালা, বা ব্যথা অনুভূতি, যা কাঁধ, ঘাড় বা হাতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। হৃদরোগের কারণে কখনও কখনও হজমের সমস্যা হতে পারে। ফুসফুসে পানি জমলে কফ হতে পারে, যা হৃদরোগের একটি জটিলতা হতে পারে। শ্বাস ফেলতে কষ্ট হওয়া বা শ্বাসকষ্ট হওয়া হৃদরোগের একটি সাধারণ লক্ষণ। হৃদরোগের কারণে কখনও কখনও এই অংশগুলিতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

হৃদরোগ নির্ণয় এবং তার গুরুতরতা বোঝার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষাগুলি হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা, রক্তপ্রবাহ এবং হৃদপিণ্ডের কাঠামো পরীক্ষা করে। কিছু সাধারণ পরীক্ষার মধ্যে ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ECG বা EKG), ট্রেডমিল টেস্ট (TMT), রক্ত পরীক্ষা ও ক্যাথেটারাইজেশনের মাধ্যমে ইত্যাদি।

হার্ট বা হ্রিদক্রিয়া সচল রাখতে নানা ধরনের শাকসবজি যেমন পালং শাক, ব্রোকলি, কেল ইত্যাদি খাবার যা  ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। নানা ধরনের ফল যেমন আপেল, বেরি, কমলা ইত্যাদি যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ফাইবার থাকে। এছাড়াও, বাদাম, মাছ, ওটস, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

Author - Dr Saiful Islam

Consultant Physiotherapist
BPT (DU), MPT (Ortho)
PGC in Acupuncture (India)
Specially trained in Ozone therapy

Dr. Saiful Islam
Dr. Saiful Islam

Consultant Physiotherapist
BPT (DU), MPT (Ortho)
PGC in Acupuncture (India)
Specially trained in Ozone therapy

Articles: 10