হাঁটুতে ব্যথা ?ঔষধ নয়, হাঁটু ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসায় নিমিষেই ব্যথা দূর করার অব্যর্থ উপায়ঃ
হাঁটুর ব্যথায় আক্রান্ত মানুষ এর সংখ্যা কম নয়। এই অবস্থায় থেকে মুক্তি পেতে মেথি ও তুলসী ইত্যাদির মাধ্যমেই সমস্যা কমানো যেতে পারে। আসুন জেনে নেই সেই সম্পর্কে:
সব ধরনের মানুষের মধ্যে হাঁটুতে ব্যথার (Knee Pain) আশঙ্কা এখনকার সময় অনেকটাই বেড়েছে। এক্ষেত্রে হাঁটুতে ব্যথার ঘটনা এখন ছোট-বড় বা কম বয়সেও দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলারাই এই রোগে আক্রান্ত হয় সব চেয়ে বেশি। তবে মহিলা বাদেও পুরুষ মানুষ মানুষও এই রোগে অনেক সময়ই আক্রান্ত হয়ে যায়। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই রোগ সম্পর্কে জানা উচিত এবং এ বিষয় নিয়ে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে, হাঁটুর ব্যথায় কষ্ট পাওয়ার পরও মানুষ বেশিরভাগ সময়ই তেমন কোনো সমাধানের দিকে আগাতে চান না। আর এই কারণেই বেঁধে যায় বড় ধরনের সমস্যা। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ বিভিন্ন প্রকার ঔষধ খেয়ে থাকেন, তবে বেশিরভাগ সময় পেইনকিলার খেয়ে থাকেন। আর তা থেকে সমস্যা ক্রমে বেড়েই যায় কমে না। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই বিষয়টি দিকে লক্ষ রাখা উচিন এবং এ বিষয় নিয়ে সতর্ক হওয়া দরকার।
বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে হাড়ের জোড় ক্ষয়, হাঁটুর ব্যথায় ভোগা মানুষের সংখ্যা কম নয়। আবার অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা, আঘাত ও বিভিন্ন রোগের কারণেও সকল বয়সের মানুষের মাঝে এই সমস্যা দেখা যায় প্রায়শই। কারণ যাই হোক না কেনো, হাঁটু ব্যথার কারণে দৈনিক জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে যায়। হাঁটু ব্যথা কমানোর জন্য রয়েছে কিছু প্রচলিত এবং প্রতিষ্ঠত পন্থা।
অতিরিক্ত ওজন বাড়ার কারণে অনেকসময় হাঁটু ব্যথা হয়েথাকে। এজন্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়াও হাঁটুর জন্য যেসব ধরনের ব্যয়াম আছে সেইগুলি প্রতিদিন করলে ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।
এসেন্সিয়াল অয়েল’ দিয়ে মালিশঃ
শুধু মাত্র হাঁটু নয়, শরীরের সকল জোড়াগুলোর ব্যথায় মালিশ অত্যন্ত উপকারী। আর এই মালিশের জন্য ‘এসেনশল অয়েল’ ব্যবহারে আরও উপকারী হতে পারে। কমলা ও আদা থেকে তৈরি ‘এসেনশল অয়েল’ হাঁটু ব্যথা সারাতে সাহায্য করে। এই তেলগুলো শরীরের পেশি সিথিল করে এবং আক্রান্ত অংশের ব্যথা সাময়িক কমিয়ে দেয়।
তাপ ও ঠাণ্ডাঃ
ব্যথা আক্রান্ত অংশে হালকা গরম ভাপ দেওয়া এবং বরফ বা ঠান্ডা প্রয়োগ করা দুটোই উপকারী। তবে ব্যথার অবস্থা এবং ধরনের উপর নির্ভর করবে ভাপ নিবেন না কি বরফ ঘষতে হবে।
হাঁটুতে সংক্রমণ অথবা প্রদাহ থাকলে কোন ক্রমেই গরম ভাপ দেওয়া যাবে না, কারণ তাতে সমস্যা আরো তীব্রতা পেতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদি হাঁটুর ব্যথা হলে যেমন- বাতের কারণে ব্যথার নিরাময়ে গরম ভাপ দেওয়া যেতে পারে এবং অত্যন্ত কার্যকর। আর খেলাধুলা অথবা দুর্ঘটনায় হওয়া ব্যথায় বরফ প্রয়োগ করতে হবে।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগারঃ
এতে থাকা প্রদাহনাশক উপাদানড়গুলো বাতের মতো দীর্ঘমেয়াদি হাঁটু ব্যথা থেকে সাময়িক আরাম দিতে পারে। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার শরীরের হাড়ের জোড় পিচ্ছিল করে থাকে, যা ব্যথা কমাবে সেই সাথে নড়াচড়া করতে সুবিধা হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহুর্তে একগ্লাস পানিতে আধা কাপ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ভালোভাবে মিশিয়ে পান করতে হবে প্রতিদিন।
আদার নির্যাসঃ
কাঁচা আদার তেল, নির্যাস কিংবা সরাসরি কাঁচা আদা খাওয়া হাঁটুর জন্য অনেক উপকারী। ‘জিনজেরোল’ নামক উপাদানে ভরপুর থাকে আদার মধ্যে, যা প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক। প্রতিদিন দুই কাপ আদা চা (রং চায়ের মতো) পান করলেও উপকার মিলবে। আবার রং চায়ের সাথেও আদা মিশিয়ে খেতে পারেন।
হলুদঃ
ঔষধি গুনাবলির কারণে প্রাচীনকাল থেকেই সুপরিচিত এই হলুদ। এতে থাকে আরেকটি শক্তিশালী এবং প্রদাহনাশক উপাদান ‘কারকিউমিন’, যা শরীরের হাড়ের জোড়ার ব্যথা এবং প্রদাহ সারাতে সাহায্য করে এবং অত্যন্ত কার্যকর। এক গ্লাস পানিতে আদা ও হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ১২ থেকে ১৫ মিনিট চুলায় ফুটিয়ে নিতে হবে এবং তা প্রতিদিন কিছু কিছু পরিমাণ পান করতে হবে।
লাল মরিচঃ
‘ক্যাপসাইসিন’ নামক উপাদান থাকে মরিচে, যা কাজ করে থাকে প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে। দুই চা-চামচ জলপাইয়ের তেলের সাথে এক চা-চামচ লাল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে এবং আক্রান্ত স্থানে হাতের সাহায়ে মালিশ করতে হবে।
ইপসম লবণঃ
এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও সালফেট। দুটোই শক্তিশালী এবং ব্যথানাশক উপাদান, পাশাপাশি কমায় শরীরের যে কোন স্থান ফুলে যাওয়া ভাব। গোসলের পানিতে বড় চামচে এক চামচ ইপসম লবণ মিশিয়ে আধা ঘণ্টা ডুবে থাকতে পারেন। তাতে অনেক উপকার পাবেন।
তুলসীর রসঃ
তুলসীর গুণের কোন শেষ নেই। এক্ষেত্রে এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুন। এবার এই সব মিলিয়ে তুলসী পাতা হতে পারে আপনার হাতের কাছে থাকা অন্যতম সেরা হাতিয়ার যা আপনার জোড়ার ব্যাথা কমিয়ে দিবে। হাঁটুর ব্যথায় এটা দারুণ কার্যকরী। এক্ষেত্রে এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ তুলসীর রস ফেলে দিন। তারপর তা খেয়ে ফেলুন। দেখবেন সমস্যা অনেকটাই কমেছে।
বি: দ্র: সচেতনতার উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। যে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহঃ
[sc_fs_multi_faq headline-0=”h3″ question-0=”কেন হাঁটু ব্যথা শুরু হয়?” answer-0=”হাঁটু ব্যথা আঘাতের ফলে হতে পারে, তাছাড়া লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেলে, বাত, গেঁটেবাতসহ আরো অনেক কারনে হাঁটু ব্যথা হতে পারে। অনেক ধরনের ছোটখাটো হাঁটুর ব্যথা স্ব-যত্ন ব্যবস্থায় ভাল সাড়া দেয়। ফিজিওথেরাপি এবং হাঁটু বন্ধনী এছাড়াও ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। ” image-0=”” headline-1=”h3″ question-1=”পানি পান করলে কি হাঁটুর ব্যথা কমবে?” answer-1=”পানীয় জল আমাদের সাইনোভিয়াল তরল (কারটিলেজকে তৈলাক্তকরণের দায়িত্বে) উত্পাদনকে উদ্দীপিত করতে পারে, এছাড়াও জয়েন্টের চারপাশে ব্যথা কমাতে পারে। এবং এটি তরুণাস্থি টিস্যুতে নতুন কোষের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। ” image-1=”” headline-2=”h3″ question-2=”জয়েন্টে ব্যথা দ্রুত কিভাবে কমাবো?” answer-2=”বরফ: ব্যথা এবং ফোলা উপশম করতে আপনার জয়েন্টগুলোতে বরফ লাগান। দিনে বেশ কয়েকবার ১৫ মিনিটের জন্য জয়েন্টে বরফ ব্যবহার করুন। তাপ: এক দিন বা তার পরে, জয়েন্টের চারপাশে যে কোনও পেশীর খিঁচুনি সমাধানের জন্য একটি হিটিং প্যাড চেষ্টা করুন। বিশ্রাম: প্রথম দিনে জয়েন্টটিকে বিশ্রাম দিন এবং আপনার ব্যথার কারণ এমন কোনও কাজ এড়িয়ে চলুন।” image-2=”” count=”3″ html=”true” css_class=””]
পরিচালনায়ঃ
ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ) , এমপিটি ( অর্থোপেডিকস ) – এন.আই.পি.এস , ইন্ডিয়া
পিজি.সি. ইন আকুপাংচার , ইন্ডিয়া
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন ওজন থেরাপি , ইউ.এস.এ এবং ওজোন ফোরাম , ইন্ডিয়া ।
ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট , ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার ।
পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা)
ফেসবুকঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার
এপয়েন্টম্যান্ট নিতে ক্লিক করুনঃ
https://visionphysiotherapy.com/appoi..