ব্রেইন স্ট্রোক করার লক্ষণ ও করণীয়

Table of Contents

স্ট্রোক কি?

বেঁচে থাকার জন্যে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষগহ্বরের প্রয়োজন অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্ত। মস্তিষ্কের কোষগুলোও তার ব্যতিক্রম নয়। অনেক কারণে মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীগুলোর পথ সংকীর্ণ হয়ে গেলে অথবা সেখানে মেদের স্তর জমাটবদ্ধ হয়ে রক্ত চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে ব্রেইনে বা মস্তিষ্কের কোষ অক্সিজেনের অভাবে অভাব জনিত কারণে নিস্তেজ হতে থাকে একটা সময় অকেজো হয়ে যায়। এই সমস্যা গুলোকেই স্ট্রোক বলা হয়ে থাকে।

কিভাবে স্ট্রোক হয়?

রক্তনালীতে যদি রক্ত জমাট বাঁধে তাহলে স্ট্রোক হয় এবং ব্রেইনের কোন একটা অংশের সক্ষমতা যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহরে আমাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। রক্তনালীর কোনো একটি অংশ কোনো কারণে ছিঁড়ে যাওয়ায় রক্তক্ষরণের কারণে ব্রেইনের যে কোন একটি অংশ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে স্ট্রোক হতে পারে, একটি একটি মারাত্মক রোগ।

অধ্যাপক ডা. এম. এস. জহিরুল হক চৌধুরী এর মতে-

স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কের রোগ এবং এটা আমাদের মস্তিষ্কের রক্তনালীর জটিলতায় এই রোগ হয়। রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে স্ট্রোক হয় এমনকি ব্রেইনের একটা অংশের সক্ষমতা নষ্ট হলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।  রক্তনালীর কোন একটি অংশ যদি ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ হয় তাহলে ব্রেইনের একটি অংশ কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে স্ট্রোক মারাত্মক রোগ হয়ে উঠে।

স্ট্রোক হয়েছে কিনা কীভাবে বুঝবেন?

“স্ট্রোক” ব্রেইন স্ট্রোক কেন করে জানেন?; Brain Stroke
Brain Stroke

অধ্যাপক ডা. এম. এস. জহিরুল হক চৌধুরী এর মতে-

আমরা সহজ ভাবে বলি বি ফাস্ট। মনে রাখলে আপনারা সহজে বুঝে উঠতে পারবেন। বি মানে বুঝায় ব্যালেন্স।  ব্যালেন্স অর্থ হলো ভারসাম্য।  হঠাৎ করে ভারসাম্যহীন হয়ে যাবেন অথবা ই মানে হলো আই।  অথবা ব্লাইন্ডনেস হয় কেউ কেউ।  এফ মানে হলো ফেইস। ফেইসের কোন একটি অংশে যদি এ্যাসিমেট্রি হয় অথবা একটা অংশ দুর্বল ভাব হয়। এ মানে হল আর্ম। আর্ম অথবা বাহু বা হাত অথবা পা যদি কখনো দুর্বল হয়ে যায়। হঠাৎ করে যদি এমন হয় তখন আমরা বলে থাকি স্ট্রোক হয়েছে। এস মানে হলো স্পিচ। হঠাৎ করে যদি কারোর কথা বলার ক্ষমতা বন্ধ হয়ে যায় অথবা স্লারিং অব স্পিচ অথবা জড়তা দেখা যায় কথায় হঠাৎ করে তখন সেটাকে আমরা বলে থাকি যে স্ট্রোক হয়েছে। টি মানে হলো টাইম।  টাইম হল সব চাইতে ইমপর্টেন্ট। আমরা ৯৯৯ এ ফোন করি অথবা বাইরে ৯৯৯ এ ফোন করলে এম্বুলেন্স চলে আসতেছে।  সময় সবচেয়ে ইমপর্টেন্ট, বিকজ আমরা অতি তাড়াতাড়ি ডক্টরের কাছে যেতেই হবে অথবা কাছা-কাছি হসপিটালে যেতে হবে।

বেড়ে যাচ্ছে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি, ভূল গুলো কি?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুয়ায়ী ২০০০ সালের পর বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে ৩০ বছয় থেকে ৪০ বছর বয়সি লোকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্রেন স্ট্রোক করেছেন বা  আক্রান্ত হয়েছেন।

  • আচমকা শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা বা বিগড়ে যাওয়া।
  • হঠাৎ কোন এক চোখে বা দুটো চোখেরই দৃষ্টি হারিয়ে ফেলা।
  • মুখের কোন একটি সাইড বেঁকে যাওয়া।
  • কথা বলতে চাচ্চেন কিন্তু কথা বলতে গিয়ে কথা জড়িয়ে যাওয়া।
  • শরীরের কোন একটি অংশে বা বাহুতে ব্যথা হওয়া।

প্রথম শর্তঃ

চিকিৎসকদের মতে, এই সব লক্ষণ বা অবস্থা দেখা দিলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী ভাল হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়া, স্ট্রোক এরপর তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় স্ট্রোক রুগীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় রোগী যদি সঠিক চিকিৎসা পায় তাহলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। তাই সময়টুকু কোনভাবেই নষ্ট করা যাবে না।

দ্বিতীয় শর্তঃ

পেটে খিদে পেলেই প্যাকেট ভর্তি নোনতা কুকিজ, অথবা চিপ্‌স নিজে যেমন খাচ্ছেন, ঠিক তেমনি শিশুকেও কিনে দিচ্ছেন যখন-তখন। কিন্তু এ সব কুকিজ বা চিপ্‌স-এ মিশে থাকা অতিরিক্ত নুন (লবন) যে নির্বিশেষে স্ট্রোক ডেকে আনছে, তা হয়তো আপনার জানা নেই। অতিরিক্ত নুনের (লবন) প্রভাব হলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং তা মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে বাধা দেয়। ফলে আজ থেকেই কমিয়ে ফেলুন অতিরিক্ত নুন (লবন) মেশানো খাবার।

তৃতীয় শর্তঃ

Breakfast নিয়মিত সিরিয়াল ভিত্তিক খাবার খেতে অনেকে পছন্দ করেন। এই সব সিরিয়াল ভিত্তিক খাবারে কিন্তু অতিরিক্ত চিনি থাকে। তা ছাড়া প্রতিদিন ডায়েটে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো যেমন : মিষ্টি, কেক, চিপ্স, কুকিজ, পেস্ট্রি রাখা একেবারেই ভাল না। এতে করে বেড়ে যায় স্ট্রোক করার ঝুঁকি।

চতুর্থ শর্তঃ

‘দ্য ল্যানসেট’- নামক প্রতিবেদনে প্রকাশিত ২০১৯-এর একটি গবেষণা বলছে যে, মদ্য (Alcohol) পান করেন না এবং স্বাস্থ্যকর (Healthy Food) খাবার খান এমন লোক স্ট্রোক থেকে অনেক অংশে নিরাপদে থাকেন। তুলনামূলক মদ্য (Alcohol) পানে রয়েছে বিপদ।

পঞ্চম শর্তঃ

শরীরে ভিটামিন জনিত কারণ বা বিশেষ করে ভিটামিন সি-এর কোনও অভাব পড়ছে কি না, সে দিকে অবশ্যই কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে। ভিটামিন সি  এর অভাবে হেমোর হ্যাজিক স্ট্রোককে ডেকে আনে ভিটামিন সি ঘাটতি হলে। তাই খাবারে রাখুন ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার।

ষষ্ঠ শর্তঃ

মাঝে মধ্যে ব্যথা-বেদনা হলেই বেদনা নাশক ওষুধ খান? এতে থাকা স্টেরয়েড ভাষ্কুলার ডেথ, হার্ট অ্যাটাক এমনকি স্ট্রোকের মতো রোগের আশঙ্কাকে বাড়িয়ে বাড়িয়ে তোলে বহুগেুনে। অতিরিক্ত এ খাবারের অভ্যাস গুলো থাকলে তা পরিত্যাগ করা অতিব জরুরী।

স্ট্রোকে প্রাথমিকভাবে করণীয়ঃ

অধ্যাপক ডা. এম. এস. জহিরুল হক চৌধুরী এর মতে-

স্ট্রোক হলে এক মিনিটের মধ্যে বাইশ লক্ষ নিউরন মারা যায়, এজন্য আমরা বলি প্রতিটি মুহুর্ত খুবই ইমপোর্টেন্ট ফর পেশেন্ট (স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি বা রোগীর প্রতিটি সেকেন্ডই গুরুত্বপূর্ণ)।  এজন্য আক্রান্ত ব্যক্তি বা রোগীদের অবশ্যই প্রতিটা সেকেন্ড যেহেতু  আমাদের কাছে খুবই মূল্যবান। এ জন্য সময় নষ্ট না করে যখনি মনে হবে স্ট্রোক হয়েছে তখনি হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়াও দেখা যায় অনেক সময় সিভিয়ার ভমিটিং নিয়ে আসে অনেক সময়, সিভিয়ার হ্যাডএইক নিয়ে আসার এক্ষেত্রেও আমরা যদি সাডেন অকারেন্স মনে করি আমরা দ্রত সময়ের মধ্যে হসপিটালে যাবো। এই ক্লিনিক্যাল বিষয় বা ফিচারগুলি আমরা যদি পাই তখন আমরা বলে থাকি যে, স্ট্রোক হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রেক্ষাপটে স্ট্রোক প্রবণতা কেমন?

“স্ট্রোক” ব্রেইন স্ট্রোক কেন করে জানেন?; Brain Stroke
Brain Stroke

অধ্যাপক ডা. এম. এস. জহিরুল হক চৌধুর এর মতে-

২০১৭ সালের দিকে আমরা একটা সমীক্ষা করেছি, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্স ও আমাদের সাথে যৌথ ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই সমীক্ষা এর ফলে দেখা যায় যে, আমাদের স্ট্রোকের ব্যাপকতা “প্রাদুর্ভাব” বাংলাদেশে সব থেকে বেশি।  আমাদের প্রতি হাজারে প্রায় ১২ জন ব্যক্তি স্ট্রোক এ আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

 স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে জীবন বিভীষিকাময়ঃ

অধ্যাপক ডা. এম. এস. জহিরুল হক চৌধুরী বলেন যে-

যে কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে স্ট্রোক পঙ্গুত্বের প্রথম কারণ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোতেও পঙ্গুত্বের প্রথম কারণ স্ট্রোক। সমীক্ষায় দেখেছি পঙ্গুত্বের প্রথম কারণ হলো স্ট্রোক। আমাদের স্ট্রোক হল বলা যায় সেকেন্ড কজ অব ডেথ। মৃত্যু হওয়ার যতগুলি কারণ আছে স্ট্রোক হলো তার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে। এজন্য স্ট্রোককে নিয়ে আমাদের বিষদ চিন্তাভাবনা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন যে, স্ট্রোক নিয়ে জনসচেতনতামূলক কাজ অথবা কর্মসূচি বাড়াতে হবে। সমিক্ষায় দেখা গেছে স্ট্রোক প্রতি ৪ জনে ১ জনের স্ট্রোক হয়ে থাকে। পদ্ধতিগত যে জিনিসগুলি আছে সে সব বিষয়গুলি মানতে হবে।

অধ্যাপক ডা. এম. এস. জহিরুল হক চৌধুরী আরও বলেন যে-

বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের বিষয় হলো এই যে, আমাদের দেশে স্ট্রোকের ১০ শতাংশ শিশু অথবা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হচ্ছে। স্ট্রোক সাধারণত বয়স্ক লোকদের হয় আমরা মনে করি কিন্তু, পুরুষ লোকদের সব চেয়ে বেশি হয়, ৪০ বছরের উপরে বেশি হয়। কিন্তু, অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশে অপ্রাপ্ত বয়সের স্ট্রোকের পরিমাণ বেশি। প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। ১০ শতাংশ অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হয় স্ট্রোক। তিনি এও বলেন যে, ২০১৭ইং সালের দিকে বাংলাদেশে ১৭ লক্ষ মানুষ স্ট্রোকের রুগী আমরা দেখেছি।

প্রতিরোধের উপায় ও করণীয়ঃ

অধ্যাপক ডা. এম. এস. জহিরুল হক চৌধুরী বলেছেন যে-

স্ট্রোক প্রতিরোধ কীভাবে করবো। মূলত যে কাজটি করতে হবে তা হলো লাইফস্টাইল মোডিফিকেশন।

চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন যে, ভোর বেলা ব্যায়াম করতে হবে। হাঁটা-হাঁটি করতে হবে, ডায়াবেটিস থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে, ব্লাডপ্রেশার কন্ট্রোলে রাখতে হবে যদি থাকে, ডিসথাইমিয়া কন্ট্রোলে রাখতে হবে যদি থাকে, ওবেসিটিটা আমাদের কমাতে হবে যদি আমাদের থাকে। আমাদের প্রচুর সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে, স্মোকিং অভ্যাস ১০০% বন্ধ করতে হবে যদি থাকে। এলকোহল (মদ্য পান), কোনো এডিকশন থাকলে, সাবসট্যান্স এবিউজ থাকলে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

শাক-সবজি পরিমাণ মত খেতে হবে, ফ্রেশ ফ্রুটস হেলদি হবে খেতে পারেন, আমাদেরকে পরিমিত খাবার খেতে হবে।

আমরা ফল কম খাচ্ছি এ কারণে স্ট্রোক বেশি হচ্ছে। আমাদের স্ট্রোককে আমরেই চাইলে প্রতিরোধ করতে পারি। সামনের দিনগুলোতে আমারা যদি এগুলো মেনে চলতে পারি।

 

ব্রেন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা

স্ট্রোক এর লক্ষন কি

 

সচরাচর জিজ্ঞাসা :

What causes brain stroke?

They happen when a blood clot blocks the flow of blood and oxygen to the brain. These blood clots typically form in areas where the arteries have been narrowed or blocked over time by fatty deposits (plaques).

Can you recover from brain stroke?

Treat and Recover from Stroke | cdc.gov Recovery time after a stroke is different for everyone—it can take weeks, months, or even years. Some people recover fully, but others have long-term or lifelong disabilities. Learn more about stroke rehabilitation from the National Institute of Neurological Disorders and Stroke.

Who is at risk of brain stroke?

People with high blood pressure, high cholesterol, heart disease, diabetes or a high blood-sugar level are vulnerable to brain stroke. So are people that are obese, smoke or consume alcohol in large volumes and are physically inactive.

স্ট্রোক কি?

বেঁচে থাকার জন্যে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষগহ্বরের প্রয়োজন অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্ত। মস্তিষ্কের কোষগুলোও তার ব্যতিক্রম নয়। অনেক কারণে মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীগুলোর পথ সংকীর্ণ হয়ে গেলে অথবা সেখানে মেদের স্তর জমাটবদ্ধ হয়ে রক্ত চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে ব্রেইনে বা মস্তিষ্কের কোষ অক্সিজেনের অভাবে অভাব জনিত কারণে নিস্তেজ হতে থাকে একটা সময় অকেজো হয়ে যায়। এই সমস্যা গুলোকেই স্ট্রোক বলা হয়ে থাকে।

কিভাবে স্ট্রোক হয়?

রক্তনালীতে যদি রক্ত জমাট বাঁধে তাহলে স্ট্রোক হয় এবং ব্রেইনের কোন একটা অংশের সক্ষমতা যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহরে আমাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। রক্তনালীর কোনো একটি অংশ কোনো কারণে ছিঁড়ে যাওয়ায় রক্তক্ষরণের কারণে ব্রেইনের যে কোন একটি অংশ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে স্ট্রোক হতে পারে, একটি একটি মারাত্মক রোগ।

স্ট্রোক হয়েছে কিনা কীভাবে বুঝবেন?

অধ্যাপক ডা. এম. এস. জহিরুল হক চৌধুরী এর মতে- আমরা সহজ ভাবে বলি বি ফাস্ট। মনে রাখলে আপনারা সহজে বুঝে উঠতে পারবেন। বি মানে বুঝায় ব্যালেন্স। ব্যালেন্স অর্থ হলো ভারসাম্য। হঠাৎ করে ভারসাম্যহীন হয়ে যাবেন অথবা ই মানে হলো আই। অথবা ব্লাইন্ডনেস হয় কেউ কেউ। এফ মানে হলো ফেইস। ফেইসের কোন একটি অংশে যদি এ্যাসিমেট্রি হয় অথবা একটা অংশ দুর্বল ভাব হয়। এ মানে হল আর্ম। আর্ম অথবা বাহু বা হাত অথবা পা যদি কখনো দুর্বল হয়ে যায়। হঠাৎ করে যদি এমন হয় তখন আমরা বলে থাকি স্ট্রোক হয়েছে। এস মানে হলো স্পিচ। হঠাৎ করে যদি কারোর কথা বলার ক্ষমতা বন্ধ হয়ে যায় অথবা স্লারিং অব স্পিচ অথবা জড়তা দেখা যায় কথায় হঠাৎ করে তখন সেটাকে আমরা বলে থাকি যে স্ট্রোক হয়েছে। টি মানে হলো টাইম। টাইম হল সব চাইতে ইমপর্টেন্ট। আমরা ৯৯৯ এ ফোন করি অথবা বাইরে ৯৯৯ এ ফোন করলে এম্বুলেন্স চলে আসতেছে। সময় সবচেয়ে ইমপর্টেন্ট, বিকজ আমরা অতি তাড়াতাড়ি ডক্টরের কাছে যেতেই হবে অথবা কাছা-কাছি হসপিটালে যেতে হবে।

বেড়ে যাচ্ছে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি, ভূল গুলো কি?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুয়ায়ী ২০০০ সালের পর বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে ৩০ বছয় থেকে ৪০ বছর বয়সি লোকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্রেন স্ট্রোক করেছেন বা আক্রান্ত হয়েছেন।

 

পরিচালনায়ঃ
ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ) , এমপিটি ( অর্থোপেডিকস ) – এন.আই.পি.এস , ইন্ডিয়া
পিজি.সি. ইন আকুপাংচার , ইন্ডিয়া
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন ওজন থেরাপি , ইউ.এস.এ এবং ওজোন ফোরাম , ইন্ডিয়া ।
ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট , ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার ।
পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা) 
ফেসবুকঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার 
এপয়েন্টম্যান্ট নিতে ক্লিক করুনঃ

https://visionphysiotherapy.com/appointment/
visionphysiotherapy
visionphysiotherapy
Articles: 82