কারপাল টানেল সিনড্রোম

কারপাল টানেল সিনড্রোম কি?

হাতের কব্জিতে কারপাল টানেল নামে একটি টানেল আছে, যার ভেতর দিয়ে নার্ভ ও টেন্ডন হাতের তালুতে যায়। এই কারপাল টানেল সিনড্রোম এর ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন কারণে  মিডিয়ান নার্ভ চাপ খাওয়ার কারণে কব্জিতে ব্যথা, অবশ ভাব ও ঝিনঝিন অনুভব হতে পারে। একেই বলে কারপাল টানেল সিনড্রোম।

কারপাল টানেল সিনড্রোম

কারপাল টানেল সিনড্রোম কাদের বেশি হয়:

সাধারণত  Carpal Tunnel Syndrome সমস্যাটি নারীদের বেশি হয়ে থাকে। পুরুষদের তুলনায় নারীদের টানেল সরু থাকার কারণে এ সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে।

কারপাল টানেল সিনড্রোম এর লক্ষণ:

১. হাতের কব্জিতে ব্যথা অনুভব হবে

২. হাত ঝিনঝিন বা অবশ ভাব হতে পারে

৩. খাবার খেতে, হাত মুষ্টিবদ্ধ করতে বা কোনো জিনিস ধরতে ব্যথা অনুভূত হবে

৪. ওজন তুলতে গিয়ে হাতে ব্যথা হতে পারে

৫. রাতের দিকে ব্যথা বেশি অনুভব হতে পারে

কারপাল টানেল সিনড্রোম এর কারণ

১. অতিরিক্ত হাতের কাজ

২. হাতে কোন আঘাত পেলে

৩. আঘাতের কারণে হাতের কোন হাড় ফ্রাকচার হলে

৪. ডায়াবেটিস জনিত কারণে

৫. থাইরয়েড জনিত সমস্যার কারণে

৬. অজানা যে কোন কারণে হতে পারে

Carpal Tunnel Syndrome রোগ নির্ণয় করতে কি কি পরিক্ষা করা যেতে পারে:

রোগ নির্ণয়ের করতে হলে প্রথমেই রোগের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে, কিছু শারীরিক পরীক্ষার মধ্যে মোটর ও সেন্সরি ফাংশন দেখা এবং ফিজিক্যাল টেস্ট করা এবং কিছু ল্যাবরেটরি টেস্ট করা জরুরি।  রক্ত পরীক্ষা করা দরকার ডায়াবেটিস বা থাইরয়েড রোগ আছে কি না তা জেনে নেয়ার জন্য। এক্সেরে না করলেও চলে, তবে রোগ নিশ্চিত করার জন্য নার্ভ কন্ডাকশন স্টাডি করা প্রয়োজন হতে পারে।

Carpal Tunnel Syndrome চিকিৎসা:

Carpal Tunnel Syndrome যথাযথ চিকিৎসা রয়েছে। কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।

যেমন: হাতের অতিরিক্ত কাজ না করা, বিশ্রাম নেয়া, ব্যথা হলে ঠান্ডা শেক দেয়া, কিছু সাধারণ এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করতে হবে। অত্যাধিনুক এডভান্স কিছু চিকিৎসা যেমন:পালসড ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ড থেরাপি, পালস ক্রায়োথেরাপি, শক ওয়েভ থেরাপি, আকুপাংচার ও ম্যানুয়েল থেরাপির মত উন্নত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিলে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

আপনি একজন ফিজিওথেরাপিষ্ট দেখাতে পারেন। এছাড়া যদি সার্জারির প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে একজন অর্থোপেডিক সার্জন দেখাতে হবে।

একজন ফিজিওথেরাপিষ্ট দেখিয়ে যথাযথ এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করতে পারেন।

ঔষধ খেলে ব্যথা কমবে, কিন্তু প্রকৃত সমস্যার সমাধান হবে না।

 

আরো পড়ুনঃ হাত পা অবশ হয়ে যাওয়ার চিকিৎসা

ডাঃ আদিয়াতুল জান্নাত
ফিজিওথেরাপিষ্ট
ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার,বনানী

পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা) 
ফেসবুকঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার 

এপয়েন্টম্যান্ট নিতে ক্লিক করুনঃ Visionphysiotherapy.com

Visionphysiotherapy Centre
Visionphysiotherapy Centre
Articles: 74