পিঠে ব্যথা কি ?
পিঠে ব্যথা হলো পিঠের যেকোনো অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি বোধ করা। এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা জীবনের কোনো এক সময়ে হতে পারে , যা প্রায় সকল মানুষকে প্রভাবিত করে। পিঠে ব্যথার তীব্রতা হালকা থেকে তীব্র পর্যন্ত হতে পারে এবং এটি ক্ষণস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণ কি?
পিঠের মাঝখানে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। এটি যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। পিঠের মাঝখানে ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে। কিছু সাধারণ কারণ হল:
- পেশী বা লিগামেন্টে চাপ বা আঘাত
- ডিস্ক প্রলাপস
- মেরুদণ্ডের অস্টিওআর্থারাইটিস
- স্পন্ডিলোলিসিস
- কিডনি সংক্রমণ
- ক্যান্সার
- পেশী বা লিগামেন্টে চাপ বা আঘাত
পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণ হল পেশী বা লিগামেন্টে চাপ বা আঘাত। এটি হঠাৎ করে বা ধীরে ধীরে হতে পারে। হঠাৎ আঘাতের কারণ হতে পারে ভারী জিনিস তোলা, খেলাধুলা করা বা গাড়ি দুর্ঘটনা। ধীরে ধীরে আঘাতের কারণ হতে পারে ভুল ভঙ্গিতে বসা বা দাঁড়ানো, বা দীর্ঘ সময় ধরে একই ভঙ্গিতে কাজ করা।
ডিস্ক প্রলাপস
ডিস্ক প্রলাপস হল মেরুদণ্ডের ডিস্কের একটি অংশের প্রসারণ। ডিস্ক হল মেরুদণ্ডের হাড়ের মধ্যে থাকা স্থিতিস্থাপক কাঠামো যা শক শোষণ করে। ডিস্ক প্রলাপস হলে ডিস্কের অংশ মেরুদণ্ডের স্নায়ুকে চাপ দিতে পারে, যা ব্যথা, অবশতা বা অসাড়তা সৃষ্টি করতে পারে।
মেরুদণ্ডের অস্টিওআর্থারাইটিস
মেরুদণ্ডের অস্টিওআর্থারাইটিস হল একটি সাধারণ অবস্থা যা মেরুদণ্ডের হাড়ের ক্ষয়ের কারণ হয়। এটি মেরুদণ্ডের নমনীয়তা হ্রাস করতে পারে এবং ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
স্পন্ডিলোলিসিস
স্পন্ডিলোলিসিস হল একটি অবস্থা যা মেরুদণ্ডের একটি কশেরুকা তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরে যায়। এটি মেরুদণ্ডের স্নায়ুকে চাপ দিতে পারে, যা ব্যথা, অবশতা বা অসাড়তা সৃষ্টি করতে পারে।
কিডনি সংক্রমণ
কিডনি সংক্রমণ হলে পিঠের মাঝখানে ব্যথা হতে পারে। ব্যথা সাধারণত পিঠের নিচের দিকে শুরু হয় এবং পরে পিঠের মাঝখানে ছড়িয়ে পড়ে। অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, ঠান্ডা লাগা, প্রস্রাবে পুঁজ এবং তলপেটে ব্যথা।
ক্যান্সার
ক্যান্সার পিঠের মাঝখানে ব্যথার একটি বিরল কারণ। পিঠের মাঝখানে ব্যথার অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ওজন হ্রাস, ক্লান্তি এবং ঘাম।
পিঠের মাঝখানে ব্যথার চিকিৎসা
পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণ এর উপর নির্ভর ও তীব্রতার উপর উপর নির্ভর চিকিৎসা দেয়া হয় । হালকা ব্যথার জন্য বিশ্রাম, বরফ, চাপ এবং উত্তোলন পদ্ধতিগুলি সাহায্য করতে পারে। ব্যথা তীব্র হলে, ব্যথানাশক ওষুধ বা ইনজেকশন প্রয়োজন হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।
পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণ ও তার প্রতিরোধ
পিঠের মাঝখানে ব্যথা প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
- স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
- সঠিক ভঙ্গিতে বসা, দাঁড়ানো এবং চলাচল করুন।
- ভারী জিনিস তোলার সময় সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
পিঠে ব্যাথা হলে করনীয় কি?
পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণ , পিঠে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যা যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। পিঠে ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে, যেমন:
- পেশী বা টেন্ডনের আঘাত বা স্ট্রেন
- মেরুদণ্ডের ডিস্কের ক্ষতি
- আর্থ্রাইটিস
- স্পাইনাল স্টেনোসিস
- স্নায়ুর চাপ
- গর্ভধারণ
- ওজন বৃদ্ধি
- ভুল দেহভঙ্গি
পিঠে ব্যথার ধরন এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে, কিছু ঘরোয়া প্রতিকার উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। এই প্রতিকারগুলির মধ্যে রয়েছে:
ঠান্ডা সেঁক: ঠান্ডা সেঁক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। দিনে ২-৩ বার ২০ মিনিট করে ঠান্ডা সেঁক (আইস প্যাক) দিতে পারলে নিশ্চিতভাবে আরাম পাবে।
গরম সেঁক: ঠান্ডা সেঁকের পরে, গরম সেঁক পেশীগুলিকে শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে। দিনে ২-৩ বার ২০ মিনিট করে গরম সেঁক (হিটিং প্যাড বা গরম-পানির বোতল) দিতে পারলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
বেদনানাশক ওষুধ: ওভার-দ্য-কাউন্টার বা প্রেসক্রিপশন বেদনানাশক ওষুধ ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
ব্যায়াম: পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণ এর উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট ব্যায়াম পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। একজন ফিজিওথেরাপিস্ট আপনাকে উপযুক্ত ব্যায়ামগুলি খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে।
যদি ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ব্যথা উপশম করতে না পারে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত। আপনার ডাক্তার আপনার ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।
পিঠে ব্যথা প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করুন:
সঠিক দেহভঙ্গি বজায় রাখুন: বসা, দাঁড়ানো বা শুয়ে থাকার সময় সোজা হয়ে থাকুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: মজবুত পেশী পিঠকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
ভারী জিনিস তোলার সময় সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করুন: জিনিসগুলিকে আপনার কাছে আনুন এবং হাঁটু বাঁকিয়ে তুলুন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন: অতিরিক্ত ওজন পিঠে চাপ বাড়াতে পারে।
পিঠে ব্যথা একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে। যদি আপনার পিঠে ব্যথা হয় যা তীব্র হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্য কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।
গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা হয় কি?
পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণঃ গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যথার কারণ হল গ্যাস্ট্রিকের কারণে সৃষ্ট অ্যাসিড রিফ্লাক্স। অ্যাসিড রিফ্লাক্স হল যখন পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীতে ফিরে আসে। এটি বুকে জ্বালাপোড়া, বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, অ্যাসিড রিফ্লাক্স পিঠে ব্যথাও সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে পিঠে ব্যথা হওয়ার কয়েকটি কারণ হল:
পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণঃ অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে পাকস্থলীর অ্যাসিড পেটের পেশীগুলিকে উত্তেজিত করতে পারে। এই উত্তেজনা পিঠে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে পাকস্থলীর অ্যাসিড পিঠের পেশীগুলিকে প্রসারিত করতে পারে। এই প্রসারণ পিঠে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে পাকস্থলীর অ্যাসিড পিঠের স্নায়ুগুলিকে জ্বালা করতে পারে। এই জ্বালা পিঠে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যথা সাধারণত পিঠের মাঝখানে বা বাম দিকে অনুভূত হয়। ব্যথাটি সাধারণত তীব্র বা পোড়ার মতো হয়। ব্যথাটি খাওয়ার পরে বা শুয়ে থাকার সময় খারাপ হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যথা প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করুন:
- অতিরিক্ত ওজন কমাতে কাজ করুন। অতিরিক্ত ওজন পেটের চাপ বাড়াতে পারে, যা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়ায়।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, যা পেটের অ্যাসিডকে খাদ্যনালীতে ফিরে আসতে বাধা দিতে পারে।
- পর্যাপ্ত ঘুমান। অতিরিক্ত ঘুম পেটের অ্যাসিডকে খাদ্যনালীতে ফিরে আসতে বাধা দিতে পারে।
খাওয়ার পরে শোবেন না। খাওয়ার পরে অন্তত দুই ঘন্টা হাঁটুন বা বসে থাকুন। - মশলাদার, চর্বিযুক্ত বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এই খাবারগুলি অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহল এবং ধূমপান পেটের অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়াতে পারে।
- যদি আপনার গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যথা হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলি নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।
আরও জানুন : কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ, চিকিৎসা ও তার প্রতিকার
পিঠে ব্যথার ঔষধের নাম
পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণ এর জন্য অনেক ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে কোন ওষুধটি আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত তা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
অ-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ (NSAIDs) হল পিঠে ব্যথার জন্য সবচেয়ে সাধারণ ধরণের ওষুধ। এগুলি প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। NSAIDs এর মধ্যে রয়েছে:
- অ্যাসপিরিন
- ইবুপ্রোফেন
- ন্যাপ্রোক্সেন
- ডাইক্লোফেনাক
- পিঠে ব্যথার জন্য কোন ওষুধটি আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত তা নির্ধারণ করতে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
- ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) NSAIDs সাধারণত হালকা থেকে মাঝারি ব্যথার জন্য ব্যবহার করা হয়। যদি আপনার ব্যথা তীব্র হয়, তাহলে আপনার ডাক্তার আপনাকে প্রেসক্রিপশন NSAIDs লিখে দিতে পারেন।
- ওপিওডস হল আরেক ধরনের ওষুধ যা পিঠে ব্যথার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলি ব্যথা কমাতে খুব কার্যকর, তবে এগুলিও আসক্তিযুক্ত হতে পারে। ওপিওডগুলি সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস (TCAs) হল একটি ধরণের ওষুধ যা ব্যথা এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। TCAs সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- গাবাপেন্টিন এবং প্রেগাবালিন হল দুটি ধরণের ওষুধ যা ব্যথা এবং স্নায়ু আক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। এই ওষুধগুলি সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- স্টেরয়েডস হল একটি ধরণের ওষুধ যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। স্টেরয়েডগুলি সাধারণত তীব্র ব্যথা বা প্রদাহের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- ব্যথানাশক ক্রিম এবং জেল হল পিঠে ব্যথার জন্য একটি বিকল্প চিকিত্সা। এই ওষুধগুলি প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণ এর নির্ভর করে ফিজিওথেরাপি হল পিঠে ব্যথার জন্য একটি কার্যকর চিকিত্সা। ফিজিওথেরাপিস্টরা আপনাকে সঠিক ব্যায়াম এবং নিয়মকানুন শিখতে সাহায্য করতে পারেন যা আপনার পিঠকে শক্তিশালী এবং নমনীয় করতে সাহায্য করবে।
আরও জানুন : কোমর ব্যাথা নিরাময়ে আকুপাংচার যেন এক অনন্য চিকিৎসা
পিঠে ব্যথার চিকিৎসা ও প্রতিকার
পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণ এর নির্ভর করে পিঠে ব্যথার চিকিৎসা
পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণ এর উপর নির্ভর করে ,পিঠে ব্যথার চিকিৎসা নির্ভর করে ব্যথার কারণ এবং তীব্রতার উপর। হালকা পিঠে ব্যথার জন্য, বিশ্রাম, বরফ, চাপ এবং উত্তোলন (RICE) পদ্ধতিগুলি সাহায্য করতে পারে। তীব্র পিঠে ব্যথার জন্য, ব্যথানাশক ওষুধ বা ইনজেকশন প্রয়োজন হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।
হালকা পিঠে ব্যথার চিকিৎসা
চাপ: চাপ প্রয়োগ করা প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি তোয়ালে বা বরফের ব্যাগ দিয়ে ব্যথাযুক্ত এলাকায় চাপ প্রয়োগ করুন।
উত্তোলন: ব্যথাযুক্ত এলাকাটিকে উঁচু করা প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি বালিশ বা তোয়ালে দিয়ে ব্যথাযুক্ত এলাকাটিকে উঁচু করুন।
তীব্র পিঠে ব্যথার চিকিৎসা
ব্যথানাশক ওষুধ: ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন অ-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ (NSAIDs) বা ওপিওডস, ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ইনজেকশন: স্টেরয়েড বা ব্যথানাশক ওষুধের ইনজেকশন ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ফিজিওথেরাপি: ফিজিওথেরাপিস্টরা আপনাকে সঠিক ব্যায়াম এবং নড়াচড়া শিখতে সাহায্য করতে পারেন যা আপনার পিঠকে শক্তিশালী এবং নমনীয় করতে সাহায্য করবে।
সার্জারি: কিছু ক্ষেত্রে, সার্জারি ব্যথার কারণ নির্মূল করতে সাহায্য করতে পারে।
পিঠে ব্যথার প্রতিকার
পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণ এর উপর নির্ভর করে পিঠে ব্যথার ব্যায়াম
পিঠে ব্যথার ব্যায়াম মেরুদণ্ডের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং মেরুদণ্ডের স্থিতিশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি ব্যথা কমাতে এবং পিঠে ব্যথার ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
পিঠে ব্যথার ব্যায়াম শুরু করার আগে, আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর ব্যায়ামগুলি নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে।
পিঠে ব্যথার জন্য কিছু সাধারণ ব্যায়াম নিম্নরূপ:
ক্যাট-কাউ ব্যায়াম: এই ব্যায়ামটি মেরুদণ্ডের নমনীয়তা এবং স্থিতিশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
- উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন, আপনার হাঁটু বাঁকানো এবং আপনার পা মেঝেতে সমতল রেখে।
- আপনার মাথা এবং বুক উপরে তুলুন, আপনার পিঠের উপর একটি বক্রতা তৈরি করুন।
- আপনার মাথা এবং বুক নিচে নামিয়ে আনুন, আপনার পিঠকে একটি প্লেটে পরিণত করুন।
- এই আন্দোলনটি ধীরে ধীরে ১০-১২ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
কাঁধের প্রসারণ: এই ব্যায়ামটি মেরুদণ্ডের উপরের অংশের পেশীগুলিকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে।
- দাঁড়িয়ে বা বসে, আপনার হাত আপনার পাশে রাখুন।
- আপনার ডান হাত আপনার মাথার উপরে তুলুন, আপনার বাম হাত দিয়ে আপনার ডান হাতের কনুই ধরুন।
- আপনার ডান কাঁধটি আপনার কানের দিকে টানুন।
- এই অবস্থানে ১০-১২ সেকেন্ড ধরে থাকুন।
- তারপর অপরদিকে পুনরাবৃত্তি করুন।
পশ্চাদপদ বাঁক: এই ব্যায়ামটি মেরুদণ্ডের নিম্ন অংশের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
- আপনার পিঠের উপর শুয়ে পড়ুন, আপনার হাঁটু বাঁকানো এবং আপনার পা মেঝেতে সমতল রেখে।
- আপনার হাত আপনার পাশে রাখুন।
- আপনার ডান পাটি মেঝে থেকে তুলুন এবং আপনার ডান হাত দিয়ে আপনার ডান পায়ের গোড়ালি ধরুন।
- আপনার ডান পা আপনার বুকের দিকে টানুন।
- এই অবস্থানে 10-15 সেকেন্ড ধরে থাকুন।
- তারপর অপরদিকে পুনরাবৃত্তি করুন।
পিঠে ব্যথার ব্যায়াম শুরু করার সময়, নিম্নলিখিত টিপসগুলি মনে রাখবেন:
- আপনার ব্যথার তীব্রতা অনুযায়ী ব্যায়াম শুরু করুন।
- যদি আপনার ব্যথা বেড়ে যায়, ব্যায়াম বন্ধ করুন।
- প্রতিদিন অল্প অল্প করে ব্যায়াম করুন।
- আপনার শ্বাস ধরে রাখা এড়িয়ে চলুন।
পিঠে ব্যথা নিরাময়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ভূমিকা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ?
পিঠে ব্যথা নিরাময়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফিজিওথেরাপিস্টরা আপনাকে সঠিক ব্যায়াম এবং নড়াচড়া শিখতে সাহায্য করতে পারেন যা আপনার পিঠকে শক্তিশালী এবং নমনীয় করতে সাহায্য করবে। এটি ব্যথা কমাতে এবং পিঠে ব্যথার ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
ব্যায়াম: ফিজিওথেরাপিস্টরা আপনাকে সঠিক ব্যায়াম এবং নড়াচড়া শিখতে সাহায্য করতে পারেন যা আপনার পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী এবং নমনীয় করতে সাহায্য করবে।
মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা: পিঠে ব্যথার কারণে অনেক মানুষ মানসিক চাপ অনুভব করতে পারে। ফিজিওথেরাপিস্টরা আপনাকে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা পেতে সাহায্য করতে পারেন।
উপকরণ: ফিজিওথেরাপিস্টরা আপনাকে বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করতে সাহায্য করতে পারেন যা আপনার পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই উপকরণগুলির মধ্যে রয়েছে গরম বা ঠান্ডা প্রয়োগ, ম্যাসেজ, এবং ইলাস্টিক ব্যান্ড।
পিঠে ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার কার্যকারিতা বেশ কয়েকটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, পিঠে ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পেশী শক্তি এবং নমনীয়তা উন্নত করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
পিঠে ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শুরু করার আগে, আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে।
[sc_fs_multi_faq headline-0=”h3″ question-0=”আমি কীভাবে পেশী ব্যথা এবং মাঝারি পিঠে ব্যথা সৃষ্টিকারী আরও গুরুতর সমস্যার মধ্যে পার্থক্য করতে পারি?” answer-0=”পেশী ব্যথা প্রায়শই একটি নিস্তেজ ব্যথার মতো অনুভব করে এবং সাম্প্রতিক শারীরিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত হতে পারে। যদি আপনার ব্যথা তীক্ষ্ণ, অবিরাম, বা অসাড়তা বা দুর্বলতার মতো অন্যান্য উপসর্গের সাথে যুক্ত হয়, তাহলে মেরুদণ্ডের সমস্যাগুলির মতো আরও গুরুতর সমস্যাগুলি বাতিল করতে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করুন।” image-0=”” headline-1=”h3″ question-1=” দুর্বল ভঙ্গি কি সত্যিই মাঝখানে পিঠে ব্যথা হতে পারে?” answer-1=”হ্যাঁ, দুর্বল ভঙ্গি, বিশেষ করে যখন দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা বা ঝিমিয়ে থাকা, পিঠের মাঝখানের পেশী এবং মেরুদণ্ডে অতিরিক্ত চাপ দিতে পারে, যার ফলে ব্যথা হতে পারে। আপনার ভঙ্গি সংশোধন করা এবং ergonomic সমর্থন ব্যবহার করা এই অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে।” image-1=”” headline-2=”h3″ question-2=”পিঠের মাঝামাঝি ব্যথার জন্য কখন আমার চিকিত্সার পরামর্শ নেওয়া উচিত?” answer-2=”যদি আপনার মাঝখানের পিঠে ব্যথা তীব্র হয়, কয়েক দিনের বেশি সময় ধরে থাকে, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা অন্যান্য সম্পর্কিত উপসর্গ থাকে, তাহলে অবিলম্বে একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করুন। অতিরিক্তভাবে, যদি আপনার সাম্প্রতিক আঘাত বা ট্রমা হয়ে থাকে, তাহলে চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।” image-2=”” count=”3″ html=”true” css_class=””]
লিখেছেন-
ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ) , এমপিটি ( অর্থোপেডিকস ) – এন.আই.পি.এস , ইন্ডিয়া
পিজি.সি. ইন আকুপাংচার , ইন্ডিয়া
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন ওজন থেরাপি , ইউ.এস.এ এবং ওজোন ফোরাম , ইন্ডিয়া ।
ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট , ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার ।
পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা)
ফেসবুকঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার
এপয়েন্টম্যান্ট নিতে ক্লিক করুনঃ
https://visionphysiotherapy.com/appoi..