পায়ের গোড়ালি ব্যথাঃ কিসের লক্ষণ, ব্যথা করে কেন, কমানোর ঘরোয়া উপায় ও চিকিৎসা

Table of Contents

পায়ের গোড়ালি ব্যথা একটি সাধারণ এবং অস্বস্তিকর সমস্যা, যা বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা যায়। এটি সাধারণত পায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ, আঘাত, বা দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক অবস্থার কারণে ঘটে। গোড়ালির ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ হলো প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস, যেখানে পায়ের পাতার নিচের টিস্যুতে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাটি বিশেষত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তীব্রতর হয় এবং কিছুক্ষণ হাঁটার পর কমে আসে। এছাড়াও, গোড়ালির মচকানো, গেঁটেবাত, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, অতিরিক্ত ওজন, এবং অনুপযুক্ত জুতা ব্যবহারও এই ব্যথার কারণ হতে পারে।

গোড়ালি ব্যথা সাধারণত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা বা শক্ত মেঝেতে খালি পায়ে হাঁটার কারণে বৃদ্ধি পায়। ৪০-৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়, বিশেষ করে যাঁরা ভারী কাজ করেন বা স্থূলতায় ভুগছেন। এছাড়া যাঁদের পায়ের বাঁক অস্বাভাবিক (যেমন ফ্ল্যাট ফুট) বা যাঁরা শক্ত হিলের জুতা ব্যবহার করেন, তাঁদের এই সমস্যার ঝুঁকি বেশি থাকে।

আমাদের দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্ট দ্বারা উন্নত মানের সার্ভিস পেতে আজই এপয়েন্টমেন্ট নিন।

পায়ের গোড়ালি ব্যথা করে কেন

পায়ের গোড়ালি ব্যথা করে কেন?

আমাদের মধ্যে অনেকেই চিন্তা করি যে, আমাদের পায়ের গোড়ালি ব্যথা কেন করে। আসলে আমাদের জানার অভাবে আমরা তা ঠিকমতো ধরতে পারি না। এজন্য আমাদের মূল বিষয়টি জানতে হবে। এর ফলে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবো। 

পায়ের গোড়ালি ব্যথা করার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলো হল প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস, টেন্ডোনাইটিস এবং বারসাইটিস

প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস হল পায়ের তলার শক্ত টিস্যু, যাকে প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া বলে, যখন প্রদাহিত হয় তখন এই অবস্থা হয়। এটি সাধারণত অতিরিক্ত দাঁড়িয়ে থাকা, হাঁটা বা দৌড়ানোর ফলে হয়। টেন্ডোনাইটিস হল পেশিকে হাড়ের সাথে যুক্ত করা টেন্ডন যখন প্রদাহিত হয়। বারসাইটিস হল গোড়ালির জয়েন্টের চারপাশে তরল ভরা কিছু থলি থাকে, যাকে বারসা বলে। যখন এই বারসা প্রদাহিত হয় তখন তাকে বারসাইটিস বলে। এছাড়াও, আর্থ্রাইটিস, গাউট, ফ্ল্যাট ফুট, স্নায়ুর সমস্যা, এবং অন্যান্য আঘাতও গোড়ালির ব্যথার কারণ হতে পারে।

শীতকালে পা ফাটার উপায় জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে নিন।

গোড়ালির ব্যথার আরও কিছু কারণ হলো আর্থ্রাইটিস, যা জয়েন্টে ফোলা, ব্যথা এবং চলাফেরায় অসুবিধা তৈরি করে। গাউট রোগে ইউরিক এসিডের ক্রিস্টাল জমে তীব্র ব্যথা হয়। ফ্ল্যাট ফুট বা পায়ের তলা সমতল হলে গোড়ালির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং ব্যথা দেখা দেয়। এছাড়া পেরিফেরাল স্নায়ুরোগ, যা ডায়াবেটিস বা অন্যান্য কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যথা, জ্বালাপোড়া এবং অনুভূতিহীনতার কারণ হয়।

দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা, দৌড়ানো, বা অন্যান্য শারীরিক কাজের ফলে গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে। আর্থ্রাইটিসও গোড়ালির ব্যথার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের কারণে গোড়ালির জোড়ে প্রদাহ হতে পারে এবং ব্যথা অনুভূত হয়।

সেরা মানের ফিজিওথেরাপি সার্ভিস পেতে আজই আপনার এপয়েন্টমেন্ট টি নিশ্চিত করুন।

পায়ের গোড়ালি ব্যথা কিসের লক্ষণ

পায়ের গোড়ালি ব্যথা কিসের লক্ষণ?

গোড়ালি ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, এবং এর লক্ষণগুলো নির্ভর করে সমস্যার প্রকৃতি ও তীব্রতার ওপর। কখনো এই ব্যথা হালকা হতে পারে, আবার কখনো এটি দৈনন্দিন কাজকর্মকে কঠিন করে তুলতে পারে। গোড়ালি ব্যথার প্রধান লক্ষণগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:

১. গোড়ালিতে ফোলাভাব একটি খুব সাধারণ লক্ষণ। এটি সাধারণত আঘাতের পরে দেখা যায় অথবা দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকলে হতে পারে।
লক্ষণঃ

  • গোড়ালির চারপাশে ত্বক ফুলে উঠে টানটান হয়ে যায়।
  • জুতার মধ্যে পা আঁটসাঁট অনুভব হয়।
  • পায়ের গোড়ালিতে চাপ দিলে ব্যথা বেড়ে যায়।

২. গোড়ালিতে আঘাত পেলে ক্ষত বা কাটা দাগ তৈরি হতে পারে।
লক্ষণঃ

  • ক্ষত থেকে রক্তপাত হতে পারে।
  • ক্ষতযুক্ত স্থানটি প্রদাহিত হয়ে ফুলে যেতে পারে।
  • ক্ষত থেকে পুঁজ বের হতে পারে, যা সংক্রমণের লক্ষণ।

৩. গোড়ালির ব্যথার আরেকটি লক্ষণ হলো কোমলতা, যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি স্পর্শ করলে ব্যথা হয়।
লক্ষণঃ

  • আঙুল দিয়ে চাপ দিলে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
  • হাঁটাচলা বা পা নাড়ানোর সময় কোমল জায়গায় ব্যথা বেড়ে যায়।

উপরের পিঠে ব্যথার কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।

৪. গোড়ালিতে ব্যথা একটি সর্বাধিক প্রচলিত লক্ষণ। এর প্রকৃতি তীব্র বা মৃদু হতে পারে।
লক্ষণঃ

  • হাঁটা, দৌড়ানো বা ভার বহনের সময় ব্যথা বেড়ে যায়।
  • ব্যথা কখনো কখনো বিশ্রামের সময়ও অনুভূত হয়।
  • সকালের দিকে বা দীর্ঘক্ষণ বিশ্রামের পর ব্যথা তীব্র হয়।

৫. গোড়ালির দুর্বলতা বা অস্থিরতা একটি গুরুতর লক্ষণ হতে পারে।
লক্ষণঃ

  • হাঁটার সময় গোড়ালি বারবার মোচড় খেতে পারে।
  • ভারসাম্য রক্ষা করতে সমস্যা হয়।
  • দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর গোড়ালি দুর্বল অনুভূত হয়।

৬. গোড়ালির প্রদাহ হলে উষ্ণতা এবং লালভাব দেখা দিতে পারে।

লক্ষণঃ

  • প্রদাহিত স্থানটি ছুঁলে গরম অনুভূত হয়।
  • ত্বক লালচে হয়ে যায়।
  • ফোলাভাবের সাথে ব্যথা বাড়তে থাকে।

আমাদের অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টদের মাধ্যমে সেরা ফিজথেরাপি সার্ভিস পেতে আজই এপয়েন্টমেন্ট টি কনফার্ম করে নিন।

পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ

পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ

গোড়ালি ব্যথা যেকোনো বয়সী মানুষের মধ্যে দেখা দিতে পারে। এর জন্য বিভিন্ন শারীরিক কারণ থাকতে পারে। নিচে গোড়ালি ব্যথার প্রধান কারণগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলোঃ

স্ট্রেন এবং স্প্রেইন

গোড়ালির ব্যথা অনেক মানুষেরই একসময় না একসময় হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল ‘স্ট্রেন বা স্প্রেইন’। হঠাৎ করে গোড়ালি মোচড়ানো বা ঘুরিয়ে ফেলার ফলে লিগামেন্ট বা টেন্ডন প্রসারিত হয়ে যাওয়াকে স্ট্রেন বা স্প্রেইন বলে। এই আঘাতের ফলে গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা, ফোলাভাব এবং নড়াচড়ায় অসুবিধা হতে পারে।

স্ট্রেন এবং স্প্রেইন, দুইই গোড়ালির নরম টিস্যুর আঘাতের ফল। তবে স্ট্রেন হল পেশির বা টেন্ডনের আঘাত, আর স্প্রেইন হল লিগামেন্টের আঘাত। দুই ক্ষেত্রেই গোড়ালির যৌথের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং ব্যক্তির চলাচলে বাধা পড়তে পারে।

বাত

বাতের বিভিন্ন ধরন, বিশেষ করে অস্টিওআর্থারাইটিস (ওএ) এবং রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস (RA), গোড়ালির ব্যথার একটি সাধারণ কারণ। এই ধরনের বাতে গোড়ালির জয়েন্টে ক্রমাগত প্রদাহ এবং ক্ষয় হতে থাকে। ফলে, ব্যক্তি গোড়ালিতে ব্যথা অনুভব করেন এবং জয়েন্টটি শক্ত হয়ে যায়। অস্টিওআর্থারাইটিস সাধারণত বয়সের সাথে সাথে ঘটে এবং জয়েন্টের কুশন হয়ে থাকা উপাস্থির ক্ষয়ের ফলে হয়।

অন্যদিকে, রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস একটি অটোইমিউন রোগ, যেখানে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জয়েন্টগুলিকে আক্রমণ করে। উভয় ক্ষেত্রেই, গোড়ালির জয়েন্টের কার্যকারিতা কমে যায় এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি হয়। বাতের কারণে গোড়ালির ব্যথার অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ফোলা, তাপ অনুভূতি এবং সকালে জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া। এই সমস্যাটি সাধারণত ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং সময়ের সাথে সাথে আরও খারাপ হতে পারে।

বাতজনিত গোড়ালির ব্যথা নিরাময়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চিকিৎসক ব্যথানাশক ওষুধ, প্রদাহরোধী ওষুধ, ভৌত চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পরামর্শ দিতে পারেন।

ফ্র্যাকচার

গোড়ালি বা পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়া অর্থাৎ ফ্র্যাকচার হলে তীব্র ব্যথা এবং ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। এই ধরনের আঘাত সাধারণত পড়ে যাওয়া, কোনো ভারী বস্তুর আঘাত, বা খেলাধুলা করার সময় ঘটতে পারে। ফ্র্যাকচারের তীব্রতা অনুযায়ী ব্যথার মাত্রা এবং ফোলাভাবের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।

হাড় ভেঙে গেলে আক্রান্ত স্থানে ওজন দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে এবং নড়াচড়া করতেও সমস্যা হয়। কখনো কখনো হাড়ের টুকরা ত্বকের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে, যাকে খোলা ফ্র্যাকচার বলে। এই ধরনের আঘাতের ক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

টেন্ডোনাইটিস

গোড়ালির চারপাশে অবস্থিত টেন্ডনগুলি যখন পুনরাবৃত্তিমূলক চাপ বা অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে প্রদাহিত হয়, তখন তাকে টেন্ডোনাইটিস বলা হয়। টেন্ডন হল শক্তিশালী টিস্যু যা পেশিকে হাড়ের সাথে সংযুক্ত করে। যখন এই টেন্ডনগুলির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, তখন সেখানে সূক্ষ্ম আঁচড় পড়তে পারে এবং প্রদাহ হতে পারে। ফলে গোড়ালিতে ব্যথা, ফোলাভাব এবং নড়াচড়ায় অসুবিধা হতে পারে।

টেন্ডোনাইটিস সাধারণত দৌড়বিদ, নর্তকী বা অন্যান্য এমন ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায় যারা নিয়মিত গোড়ালির উপর চাপ দিয়ে কাজ করে। এছাড়াও, অনুপযুক্ত জুতা পরা বা কোনো আঘাতের ফলেও টেন্ডোনাইটিস হতে পারে।

হঠাৎ হঠাৎ পেট ব্যথার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।

বারসাইটিস

গোড়ালির জয়েন্টের চারপাশে কিছু তরল ভরা থলি থাকে, যাদের বারসা বলে। এই বারসাগুলি টেন্ডন এবং হাড়ের মধ্যে কুশন হিসাবে কাজ করে এবং ঘর্ষণ কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু যখন এই বারসাগুলি প্রদাহিত হয়, তখন তাকে বারসাইটিস বলে। বারসাইটিস হলে গোড়ালিতে ব্যথা, ফোলাভাব এবং কোমলতা অনুভূত হয়।

বারসাইটিস সাধারণত পুনরাবৃত্তিমূলক গতিবিধি, আঘাত বা সংক্রমণের ফলে হয়। উদাহরণস্বরূপ, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা, দৌড়ানো বা গোড়ালিতে আঘাত লাগা বারসাইটিসের কারণ হতে পারে।

গেঁটেবাত

গেঁটেবাত, বা গাউট, হল একটি প্রদাহজনক রোগ যেখানে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। এই অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড ধীরে ধীরে স্ফটিকে পরিণত হয় এবং জয়েন্টগুলোতে জমে থাকে। এই স্ফটিকগুলি জয়েন্টের আস্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তীব্র ব্যথা, ফোলাভাব এবং লালচে ভাব সৃষ্টি করে।

গোড়ালি হল গেঁটেবাতে আক্রান্ত হওয়া সবচেয়ে সাধারণ জয়েন্টগুলির মধ্যে একটি। যখন গোড়ালিতে এই স্ফটিক জমে, তখন ব্যক্তি তীব্র ব্যথা অনুভব করেন, বিশেষ করে রাতে। গোড়ালি ফুলে যায় এবং স্পর্শে কোমল হয়ে ওঠে।

এছাড়াও, গোড়ালি নড়াচড়া করতে কষ্ট হয় এবং ওজন বহন করা কঠিন হয়ে পড়ে। গোড়ালিতে গেঁটেবাতের অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে- তীব্র, হঠাৎ শুরু হওয়া ব্যথা, জ্বর, শিহির, জয়েন্টের কাছে ত্বকের লালচে ভাব ইত্যাদি।

ফিটিং ছাড়া জুতা

অনুপযুক্ত বা অসঠিক জুতা পরা গোড়ালির ব্যথার একটি সাধারণ কারণ। যেসব জুতা পর্যাপ্ত সমর্থন দেয় না বা পাঠের আকারের সাথে সঠিকভাবে মানানসই হয় না, সেগুলি গোড়ালির উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে। ফলে গোড়ালির পিছনে, গোড়ালির পাশে বা এমনকি পুরো গোড়ালিতে ব্যথা ও অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।

অসঠিক জুতার কারণে গোড়ালির ব্যথার কিছু উদাহরণ হলোঃ

  • উঁচু হিলের জুতা গোড়ালির উপর অতিরিক্ত চাপ দেয় এবং গোড়ালির পেশী ও লিগামেন্টকে প্রসারিত করে।
  • যাদের ফ্ল্যাট ফুট বা উঁচু চাপ আছে, তাদের জন্য ফ্ল্যাট জুতা আরও বেশি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • উভয় ক্ষেত্রেই গোড়ালির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং ব্যথা হতে পারে।
  • পুরানো বা ক্ষতিগ্রস্ত জুতা পর্যাপ্ত সমর্থন দিতে পারে না এবং গোড়ালির ব্যথা বাড়াতে পারে।

অন্যান্য

গোড়ালির ব্যথা অনেক কারণে হতে পারে। এর মধ্যে অনেকগুলোই চিকিৎসাগত কারণে। যেমন, ফ্ল্যাট ফুট, ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ুর ক্ষতি বা দুর্বল রক্ত সঞ্চালন গোড়ালির ব্যথার সাধারণ কারণ। এছাড়াও, আর্থ্রাইটিস, গাউট, টেন্ডন আঘাত বা হাড় ভেঙে যাওয়াও গোড়ালিতে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনি নিয়মিত গোড়ালির ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এখানে আরও কিছু বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হল:

  • যাদের পায়ের তলা সমতল হয়, তাদের গোড়ালির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং ব্যথা হতে পারে।
  • ডায়াবেটিস বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে গোড়ালিতে ব্যথা, জ্বালাপোড়া এবং অনুভূতিহীনতা হতে পারে।
  • পা এবং গোড়ালিতে রক্ত সঞ্চালন কম হলেও গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে। এই সমস্যাটি সাধারণত ধূমপান, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের সাথে যুক্ত থাকে।

আমাদের থেকে সেবা নিতে আজই আপনার এপয়েন্টমেন্ট টি নিশ্চিত করুন

পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

পায়ের গোড়ালির ব্যথা দূর করার জন্য ঘরোয়া কিছু সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি রয়েছে। এগুলো নিয়মিত প্রয়োগ করলে ব্যথা ও প্রদাহ কমানো সম্ভব। নিচে এই পদ্ধতিগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:

১. আইস প্যাক থেরাপি

গোড়ালির ব্যথায় আক্রান্ত হলে আইস প্যাক থেরাপি একটি দ্রুত ও কার্যকর উপশমের উপায় হতে পারে। বরফের প্যাক প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথার তীব্রতা হ্রাস করতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করার জন্য, কয়েকটি বরফের টুকরা একটি পাতলা তোয়ালে দিয়ে মুড়ে নিন। তারপর আক্রান্ত স্থানে এই প্যাকটি ১৫-২০ মিনিটের জন্য ধরে রাখুন। দিনে কয়েকবার এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করলে আপনি ব্যথায় অনেকটাই আরাম পাবেন।

২. অ্যালোভেরা

গোড়ালির ব্যথা, বিশেষ করে প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিসের কারণে হওয়া ব্যথা, অনেকেরই একটি সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানে অ্যালোভেরা একটি দারুণ প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে। অ্যালোভেরাতে প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা গোড়ালির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

তাজা অ্যালোভেরার পাতা কেটে ভিতর থেকে জেল বের করে নিন। এই জেল বা প্রস্তুত অ্যালোভেরা জেল আক্রান্ত স্থানে, অর্থাৎ ব্যথার জায়গায় মৃদু হাতে ম্যাসাজ করুন। দিনে কয়েকবার এই পদ্ধতিটি দিনে কয়েকবার অনুসরণ করুন।

অস্টিওআর্থারাইটিস কেন হয়, কারণ, লক্ষণ ও এর চিকিৎসা জানতে বিস্তারিত পড়ে নিন।

৩. ইপসম লবণ

গোড়ালির ব্যথায় আক্রান্ত হলে ইপসম লবণ এক দারুণ প্রাকৃতিক উপশম দিতে পারে। ইপসম লবণে থাকা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট পেশিতে শিথিলতা আনে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

হালকা গরম পানিতে আধা কাপ ইপসম লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এই পানিতে আপনার পা ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এই পদ্ধতিটি নিয়মিত অনুসরণ করলে ব্যথা ও প্রদাহ অনেকটাই কমে যাবে।

৪. ম্যাসাজ

গোড়ালির ব্যথায় আক্রান্ত হলে ম্যাসাজ একটি দারুণ উপকারী পদ্ধতি। ম্যাসাজ রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, পেশী শিথিল করে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আক্রান্ত স্থানে আস্তে আস্তে আঙুল দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে ম্যাসাজ করুন। ঘড়ির কাঁটার দিকে ও বিপরীত দিকে ম্যাসাজ করতে পারেন। একটি টেনিস বল বা ঠান্ডা পানির বোতল পায়ের তলায় রেখে এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি ব্যথা কমাতে এবং পেশী শিথিল করতে সাহায্য করবে।

৫. হলুদের পেস্ট

হলুদের কারকিউমিন উপাদান শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যযুক্ত। গোড়ালির ব্যথা উপশমে হলুদ একটি দারুণ প্রাকৃতিক উপাদান। হলুদে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদান শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এটি গোড়ালির প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।

পানির সাথে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট আক্রান্ত স্থানে, অর্থাৎ গোড়ালিতে ভালো করে লাগান। আধা ঘণ্টা পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং দিনে দুইবার এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন।

দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্টদের মাধ্যমে ফিজিওথেরাপি সার্ভিস পেতে আজই এপয়েন্টমেন্ট টি নিয়ে নিন।

পায়ের গোড়ালি ব্যথার ব্যায়াম

পায়ের গোড়ালি ব্যথার ব্যায়াম

পায়ের গোড়ালি ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কিছু সহজ এবং কার্যকর ব্যায়াম করতে পারেন। এই ব্যায়ামগুলো গোড়ালির পেশি ও লিগামেন্টকে শক্তিশালী করে এবং ব্যথা হ্রাস করতে সাহায্য করে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়ামের ধাপ ও পদ্ধতি দেওয়া হলো:

১. তোয়ালে টানার ব্যায়াম (Towel Stretch)

গোড়ালির ব্যথা, বিশেষ করে প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিসে আক্রান্তদের জন্য তোয়ালে টানার ব্যায়াম খুবই উপকারী। এই ব্যায়ামটি পায়ের পাতার নীচের পেশী এবং গোড়ালির পেশীকে প্রসারিত করে, যা ব্যথা কমাতে এবং নমনীয়তা বাড়াতে সাহায্য করে।

কীভাবে করবেন?

  • প্রথমে মেঝেতে পা সোজা করে বসুন।
  • এরপর কটি তোয়ালে বা কাপড় নিয়ে পায়ের পাতার নিচে রাখুন।
  • তোয়ালের দুই প্রান্ত দৃঢ়ভাবে ধরে নিজের দিকে টানুন। এই সময় আপনার পায়ের পাতা এবং গোড়ালিতে টান অনুভব করবেন।
  • এই অবস্থায় ১৫-২০ সেকেন্ড থাকুন।
  • ব্যায়ামটি ৫-৭ বার পুনরাবৃত্তি করুন।

এই ব্যায়ামের  উপকারিতা

  • প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া এবং গোড়ালির পেশীকে প্রসারিত করে।
  • গোড়ালির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • পায়ের নমনীয়তা বাড়ায়।
  • রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে পেশীকে শক্তিশালী করে।

২. পায়ের বল রোলিং (Foot Roll)

গোড়ালির ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পায়ের বল রোলিং একটি দারুণ উপায়। এই সহজ ব্যায়ামটি ঘরে বসেই করতে পারেন এবং এর ফলাফলও দ্রুত পাবেন।

কীভাবে করবেন?

  • প্রথমে একটি ছোট বল (টেনিস বল, গল্ফ বল বা একটি ছোট পানির বোতল) নিন।
  • এরপর বলটি পায়ের তলার নিচে রাখুন।
  • আস্তে আস্তে বলটিকে পায়ের পাতার সামনে থেকে পিছন পর্যন্ত এবং পিছন থেকে সামনে পর্যন্ত রোল করুন।
  • প্রতিটি পায়ে ২-৩ মিনিট এই ব্যায়ামটি করুন।

কেন এই ব্যায়ামটি উপকারী?

  • পায়ের পাতার নীচের পেশিকে প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া বলে। এই ব্যায়ামটি এই পেশির উপরের চাপ কমাতে সাহায্য করে।
  •  পায়ের বল রোলিং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় যা পেশিকে শক্তিশালী করে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • এই ব্যায়ামটি পায়ের নমনীয়তা বাড়াতে সাহায্য করে।

কখন করবেন?

  • দিনে একবার বা দুইবার এই ব্যায়ামটি করতে পারেন।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে বা রাতে শোবার আগে করলে ভালো ফল পাবেন।

টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত ও উচিত নয় জানেন কি? না জানলে জেনে নিন

৩. ক্যাল্ফ স্ট্রেচ (Calf Stretch)

গোড়ালির ব্যথা কমাতে এবং গোড়ালির পেশী ও অ্যাকিলিস টেন্ডনকে শক্তিশালী করতে ক্যাল্ফ স্ট্রেচ একটি দারুণ ব্যায়াম। এই ব্যায়ামটি নিয়মিত করলে গোড়ালির নমনীয়তা বাড়বে এবং ব্যথা কমবে।

কীভাবে করবেন?

  • একটি দেয়ালের সামনে দাঁড়ান।
  • একটি পা পেছনে রাখুন এবং অন্য পা সামনে রাখুন। পেছনের পায়ের পুরো পাতা জোরে মাটিতে লাগিয়ে রাখুন।
  • দেয়ালে দুই হাত দিয়ে ভর দিন।
  • সামনের পাটি একটু বাঁকিয়ে রাখুন।
  • পেছনের পা সম্পূর্ণ সোজা রাখুন। এই সময় আপনার পেছনের পায়ের পাতা এবং গোড়ালিতে টান অনুভব করবেন।
  • এই অবস্থায় ১৫-২০ সেকেন্ড থাকুন।
  • ধীরে ধীরে এই অবস্থান থেকে ফিরে আসুন।
  • প্রতিটি পায়ে ৫ বার এই ব্যায়ামটি করুন।

কেন এই ব্যায়ামটি উপকারী?

  • এই ব্যায়ামটি গোড়ালির পেশী এবং অ্যাকিলিস টেন্ডনকে প্রসারিত করে।
  • গোড়ালির নমনীয়তা বাড়িয়ে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত এই ব্যায়াম করলে গোড়ালির পেশী শক্তিশালী হবে।

৪. মার্বেল তোলার ব্যায়াম (Marble Pick-Up)

গোড়ালির পেশি ও লিগামেন্ট শক্তিশালী করতে মার্বেল তোলা ব্যায়াম একটি দারুণ উপায়। এই ব্যায়ামটি পায়ের আঙুলের গ্রিপ শক্তিশালী করে এবং প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়ার উপরের চাপ কমাতে সাহায্য করে।

কীভাবে করবেন?

  • মেঝেতে কয়েকটি মার্বেল বা ছোট পাথর ছড়িয়ে দিন।
  • এরপর সাবধানে এক পা দিয়ে মার্বেলগুলো এক এক করে তুলে একটি বাটিতে রাখুন।
  • প্রতিটি পায়ে ১০-১৫ বার এই ব্যায়ামটি করুন এবং পুনরাবৃত্তি করুন।

কেন এই ব্যায়ামটি উপকারী?

  • ব্যায়ামটি পায়ের আঙুলের পেশীকে শক্তিশালী করে যা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • পায়ের আঙুলের পেশী শক্তিশালী হওয়ায় প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়ার উপরের চাপ কমে যায়।

কখন করবেন?

  • দিনে একবার বা দুইবার এই ব্যায়ামটি করতে পারেন।
  • টেলিভিশন দেখার সময় বা বসে থাকার সময় এই ব্যায়ামটি করতে পারেন।

৫. অ্যাকিলিস টেন্ডন স্ট্রেচ (Achilles Tendon Stretch)

আমাদের গোড়ালির পিছনের অংশে অবস্থিত অ্যাকিলিস টেন্ডন শরীরের সবচেয়ে শক্তিশালী টেন্ডনগুলির মধ্যে একটি। এই টেন্ডনটি আমাদের হাঁটতে, দৌড়াতে এবং লাফাতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই স্ট্রেচ করলে গোড়ালির নমনীয়তা বাড়ে, পায়ের পেশী শক্তিশালী হয় এবং গোড়ালি এবং পায়ের বিভিন্ন সমস্যা যেমন টেন্ডনাইটিস, প্ল্যান্টার ফ্যাসিআইটিস প্রতিরোধ করা যায়।

গোড়ালি ব্যথা কমাতে অ্যাকিলিস টেন্ডন স্ট্রেচ করার পদ্ধতি নিম্নরুপঃ-

  • প্রথমে সিঁড়ির নিচের ধাপ বা একটি মোটা বইয়ের মতো একটি উঁচু জায়গা বেছে নিন।
  • উঁচু জায়গার কিনারে দাঁড়ান। আপনার আহত পাটি উঁচু জায়গায় রাখবেন।
  • আপনার আহত পায়ের আঙ্গুলগুলো উঁচু জায়গার উপর রেখে গোড়ালিকে নিচের দিকে ঝুলিয়ে দিন।
  • ধীরে ধীরে আপনার গোড়ালিকে আরও নিচের দিকে নামিয়ে আনুন। আপনার গোড়ালি এবং পাতার পিছনের দিকে টান অনুভব করবেন। এই টানটি কিছুটা অস্বস্তিকর হতে পারে কিন্তু তীব্র ব্যথা হওয়া উচিত নয়।
  • এই অবস্থানে ১৫-২০ সেকেন্ড ধরে থাকুন।
  • প্রতিটি পায়ে এই স্ট্রেচটি ৫ বার পুনরাবৃত্তি করুন এবং সেরা ফলের জন্য, দিনে একবার বা দুবার এই স্ট্রেচটি করুন।

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকায় কি কি রাখা যায় তা এই পোস্টটি থেকে বিস্তারিত পড়ুন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা জানা জরুরী-

  • যদি আপনি স্ট্রেচ করার সময় তীব্র ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে থামিয়ে দিন এবং কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • যদি আপনার গোড়ালি আগে থেকেই আহত হয়ে থাকে, তাহলে ধীরে ধীরে এই স্ট্রেচটি শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে স্ট্রেচের তীব্রতা বাড়িয়ে দিন।
  • অ্যাকিলিস টেন্ডন স্ট্রেচ ছাড়াও অন্যান্য ধরনের স্ট্রেচিং এবং শক্তিবৃদ্ধির ব্যায়াম আপনার গোড়ালিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে।

যেসব বিষয়ে আপনি সতর্ক থাকবেন-

  • ব্যায়াম করার সময় অতিরিক্ত চাপ দেবেন না।
  • কোনো ব্যথা বেশি হলে বা নতুন সমস্যা দেখা দিলে ব্যায়াম বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • গোড়ালি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্য নিন।

সঠিকভাবে এই ব্যায়ামগুলো নিয়মিত চর্চা করলে পায়ের গোড়ালির ব্যথা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

পায়ের গোড়ালি ব্যথার সমাধানে আমাদের সেরা সার্ভিস টি নিতে আজই যোগাযোগ করুন।

পায়ের গোড়ালি ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপি এবং এডভান্স ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

পায়ের গোড়ালি ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপি এবং এডভান্স ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

গোড়ালির ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত কার্যকর একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি প্রাথমিক ব্যথা উপশম এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রতিকার উভয়ের জন্যই ব্যবহৃত হয়। ব্যথার তীব্রতা, কারণ এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে ফিজিওথেরাপির বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।

প্রাথমিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতি

স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ (Stretching Exercises)
গোড়ালির পেশি ও লিগামেন্টের নমনীয়তা বাড়ানোর জন্য স্ট্রেচিং অত্যন্ত কার্যকর। এটি শুধু পেশি ও লিগামেন্টকে নমনীয় করে তোলে না, বরং আঘাত প্রতিরোধেও সহায়তা করে। নিচে প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া স্ট্রেচ, ক্যাল্ফ মাশল স্ট্রেচ এবং অ্যাকিলিস টেন্ডন স্ট্রেচের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো:

১. প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া স্ট্রেচ

প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া হলো পায়ের তলার পাতলা লিগামেন্ট যা গোড়ালি থেকে পায়ের সামনের দিকে প্রসারিত থাকে। এটি স্ট্রেচ করলে গোড়ালির ব্যথা কমে এবং নমনীয়তা বাড়ে:

  • সিটেড ফুট স্ট্রেচ: একটি চেয়ারে বসুন এবং আঘাতপ্রাপ্ত পা অন্য পায়ের উপর রাখুন। আঙুলগুলোকে ধীরে ধীরে নিজের দিকে টানুন যতক্ষণ না পায়ের তলার অংশে টান অনুভব করেন। ১৫-৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং ৩ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
  • ফোম রোলার ব্যবহার: একটি ফোম রোলার বা বল (যেমন টেনিস বল) ব্যবহার করে পায়ের তলায় রোল করুন। এটি প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়ার টান কমাতে সাহায্য করে।

২. ক্যাল্ফ মাশল স্ট্রেচ

ক্যাল্ফ মাশল বা পায়ের পিছনের পেশি প্রসারণ করলে গোড়ালির নমনীয়তা বাড়ে এবং হাঁটার সময় ভারসাম্য রক্ষা হয়:

  • ওয়াল ক্যাল্ফ স্ট্রেচ: দেয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে, একটি পা সামনে এবং অন্যটি পিছনে রাখুন। সামনের হাঁটু বাঁকিয়ে পিছনের পা সোজা রাখুন এবং গোড়ালি মাটিতে স্পর্শ করিয়ে রাখুন। ১৫-৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং প্রতিটি পায়ে ৩ বার করুন।
  • স্ট্যান্ডিং ক্যাল্ফ স্ট্রেচ: দেয়ালের সাহায্যে বা মেঝেতে দাঁড়িয়ে একইভাবে ক্যাল্ফ প্রসারণ করতে পারেন।

৩. অ্যাকিলিস টেন্ডন স্ট্রেচ

অ্যাকিলিস টেন্ডন হলো গোড়ালির পিছনের একটি গুরুত্বপূর্ণ টেন্ডন যা প্রায়শই আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এটি প্রসারণ করলে আঘাত প্রতিরোধ করা যায়:

  • রানার্স স্ট্রেচ: দেয়ালে হাত রেখে এক পা সামনে ও অন্য পা পিছনে রাখুন। পিছনের গোড়ালি মাটিতে রেখে সামনের হাঁটু বাঁকান এবং ধীরে ধীরে শরীর সামনের দিকে ঝুঁকান। ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং প্রতিটি পায়ে ৩ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
  • বাইল্যাটারাল হিল ড্রপ: সিঁড়ির কিনারায় দাঁড়িয়ে সামনের অংশ দিয়ে ভর দিন এবং ধীরে ধীরে গোড়ালি নিচে নামান। এটি অ্যাকিলিস টেন্ডন প্রসারণে কার্যকর।

৪. ম্যাসাজ থেরাপি (Massage Therapy)

গোড়ালির পেশি ও লিগামেন্টের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং ব্যথা কমাতে হালকা ম্যাসাজ অত্যন্ত উপকারী।

  • গভীর টিস্যু ম্যাসাজ: পায়ের পাতার নিচে গভীর টিস্যু ম্যাসাজ করলে প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া এবং আশেপাশের টিস্যুতে রক্ত প্রবাহ বাড়ে, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • আঙ্গুল দিয়ে ম্যাসাজ: প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়ার চাপ কমানোর জন্য আঙ্গুল দিয়ে হালকা চাপ প্রয়োগ করে ম্যাসাজ করুন। এটি পেশিকে শিথিল করে এবং প্রদাহ কমায়।

ফিজিওথেরাপি কেন দেওয়া হয় জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।

৫. তাপ ও ঠান্ডা থেরাপি (Heat and Cold Therapy)

প্রদাহ ও ব্যথা কমানোর জন্য তাপ এবং ঠান্ডার ব্যবহার কার্যকর।

  • ঠান্ডা থেরাপি: বরফ প্রয়োগ করলে প্রদাহ ও ফোলা কমে যায়। এটি নতুন আঘাত বা তীব্র ব্যথার ক্ষেত্রে কার্যকর। বরফ সরাসরি ত্বকের ওপর না দিয়ে কাপড়ে মুড়ে ১০-১৫ মিনিট ধরে প্রয়োগ করুন।
  • তাপ থেরাপি: দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা বা মাংসপেশির খিঁচুনি কমাতে হট প্যাক বা গরম পানির সেঁক ব্যবহার করুন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে পেশিকে শিথিল করে এবং দ্রুত আরাম দেয়।

৭. ইলেকট্রোথেরাপি (Electrotherapy)

ইলেকট্রিক্যাল সিগনালের মাধ্যমে ব্যথা হ্রাস ও টিস্যু নিরাময়ে ইলেকট্রোথেরাপি ব্যবহৃত হয়।

  • TENS (Transcutaneous Electrical Nerve Stimulation): এটি নার্ভ সিস্টেমে ইলেকট্রিক্যাল সিগনাল প্রেরণ করে ব্যথার সংকেতকে বাধাগ্রস্ত করে এবং এন্ডোরফিন নিঃসরণ বাড়ায়, যা ব্যথা উপশমে সহায়ক.
  • আলট্রাসাউন্ড থেরাপি: উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি সাউন্ড ওয়েভ ব্যবহার করে গভীর টিস্যুর প্রদাহ কমানো এবং নিরাময় প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হয়। এটি পেশির নমনীয়তা বাড়াতে সাহায্য করে.

৮. মবিলাইজেশন থেরাপি (Mobilization Therapy)

গোড়ালির জয়েন্টের শক্তি ও চলাচল ক্ষমতা উন্নত করতে মবিলাইজেশন থেরাপি ব্যবহৃত হয়। এটি জয়েন্ট মোবিলাইজেশন এবং নরম টিস্যু প্রসারণের মাধ্যমে কার্যকর হয়। গোড়ালি, সাবটালার এবং মিডফুট জয়েন্ট মোবিলাইজেশন পদ্ধতিগুলো চলাচল ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

উপরোক্ত থেরাপিগুলো নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে গোড়ালির ব্যথা ও প্রদাহ কমিয়ে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। তবে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এডভান্স ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতি

শকওয়েভ থেরাপি (Shockwave Therapy)

শকওয়েভ থেরাপি হল একটি অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে উচ্চ-শক্তির শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলিকে মেরামত করা হয়। এই থেরাপিটি বিশেষ করে প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া এবং অ্যাকিলিস টেন্ডনের মতো দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার জন্য খুবই কার্যকর। যখন এই উচ্চ-শক্তির শব্দ তরঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত অংশে প্রয়োগ করা হয়, তখন তা শরীরে একটি নতুন পুনর্জন্ম প্রক্রিয়া শুরু করে। নতুন রক্তনালী তৈরি হয়, কোষের বৃদ্ধি বাড়ে এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত হতে শুরু করে। এছাড়াও, এই থেরাপিটি ব্যথার সংকেতকে বাধা দেয় এবং পেশীর সংকোচন কমাতে সাহায্য করে।

শকওয়েভ থেরাপির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি একটি অ-শল্য চিকিৎসা পদ্ধতি। অন্যান্য চিকিৎসার তুলনায় এটি দ্রুত আরোগ্য করতে সাহায্য করে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুব কম। এই থেরাপির ফলাফল দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় রোগীরা দীর্ঘদিনের জন্য ব্যথামুক্ত জীবনযাপন করতে পারেন। তবে, শকওয়েভ থেরাপি সবসময় সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। তাই চিকিৎসার আগে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরী।

ড্রাই নিডলিং (Dry Needling)

ড্রাই নিডলিং হল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে একজন বিশেষজ্ঞ একটি সূক্ষ্ম সূচ ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত পেশীতে প্রবেশ করান। এই পদ্ধতিটি প্রধানত পেশীর ট্রিগার পয়েন্ট, যা কঠিন, সংকুচিত পেশীতে গিঁটের মতো অনুভূত হয়, তা দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

যখন সূচটি পেশীর ট্রিগার পয়েন্টে প্রবেশ করে, তখন তা একটি স্থানীয় স্প্যাসম বা সংকোচন সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে পেশী শিথিল হতে সাহায্য করে। এই পদ্ধতিটি বিভিন্ন ধরনের পেশীর ব্যথা, যেমন পিঠের ব্যথা, ঘাড়ের ব্যথা, কাঁধের ব্যথা এবং টেনিস এলবোর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ড্রাই নিডলিংয়ের ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, ব্যথা কমে এবং পেশীর কার্যকারিতা উন্নত হয়।

কাপিং থেরাপি (Cupping Therapy)

  • গোড়ালির রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং টক্সিন দূর করতে বিশেষ কাপ ব্যবহার করা হয়।
  • এটি প্রদাহ কমিয়ে দ্রুত আরাম দেয়।

হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা ও হার্ট অ্যাটাক রোগীর খাবার কি কি জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।

মেশিন বেসড থেরাপি (Machine-Based Therapy)

  • প্লাইমেট্রিক মেশিনঃ গোড়ালির পেশি শক্তিশালী করতে ব্যবহৃত হয়।
  • লেজার থেরাপিঃ প্রদাহিত টিস্যু নিরাময়ে সাহায্য করে।

কাস্টমাইজড অর্থোটিক্স (Customized Orthotics)

কাপিং থেরাপি হল একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে ত্বকের উপর বিশেষ ধরনের কাপ বসিয়ে ভ্যাকুয়াম তৈরি করা হয়। এই ভ্যাকুয়ামের ফলে ত্বকের নিচের টিস্যুগুলিতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং প্রদাহ কমে। গোড়ালির ব্যথা, সোজন বা অন্যান্য সমস্যার ক্ষেত্রে কাপিং থেরাপি খুবই কার্যকর।

গোড়ালিতে কাপিং করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা পেশীকে শিথিল করে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, কাপিং শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং পেশীর ক্ষতিগ্রস্ত অংশের মেরামতকে ত্বরান্বিত করে। গোড়ালির পেশীতে টান পড়লে, বা পুরানো কোন আঘাতের কারণে ব্যথা হলে কাপিং থেরাপি দ্রুত আরাম দিতে পারে।

গোড়ালি ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আজই আমাদের সেরা এপয়েন্টমেন্টটি নিয়ে নিন।

গোড়ালি ব্যথা নিরাময়ে ফিজিওথেরাপির উপকারিতা

গোড়ালি ব্যথা নিরাময়ে ফিজিওথেরাপির উপকারিতা

অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি ফিজিওথেয়ারপি চিকিৎসার বেশ উপকার রয়েছে, যা অনেক ঠিকভাবে তা জানেন না।

ব্যথা ও প্রদাহ কোমায়

ফিজিওথেরাপি পেশীতে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে এবং প্রদাহ কমিয়ে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম এবং ম্যানুয়াল থেরাপি এই প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করে।

পেশি ও লিগামেন্টের শক্তি বাড়ায়

ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করা হয় যা পেশি ও লিগামেন্টকে শক্তিশালী করে। এটি আঘাতের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং দৈনন্দিন কাজ সহজ করে।

চলাচলের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়

ফিজিওথেরাপি জয়েন্টের নমনীয়তা বাড়িয়ে এবং পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করে চলাচলের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি বিশেষ করে আর্থ্রাইটিস, স্ট্রোক বা অন্যান্য অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারী।

অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন কমিয়ে দেয়

অনেক ক্ষেত্রে, ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন কমানো যায়। ফিজিওথেরাপি পেশী ও জয়েন্টের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং ব্যথা কমিয়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেয়।

একই সমস্যা বারবার হওয়া থেকে রোধ করে

ফিজিওথেরাপি শুধুমাত্র ব্যথা উপশম করতেই সাহায্য করে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে সমস্যার পুনরাবৃত্তি রোধেও সাহায্য করে। ফিজিওথেরাপিস্ট আপনাকে সঠিক ব্যায়াম এবং জীবনযাপনের পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দেবেন যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।

কখন আপনি একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেবেন?

পায়ের গোড়ালির ব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা দিনে দিনে বাড়তে থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিশেষ করে যদি:

  • ব্যথা দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়ঃ সাধারণত ছোটখাটো আঘাত দুই সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে এর পেছনে আরো গভীর কোনো সমস্যা থাকতে পারে।
  • ফোলা, লালভাব বা উষ্ণতা দেখা দেয়ঃ এই লক্ষণগুলি সংক্রমণের ইঙ্গিত দিতে পারে।
  • পায়ের ওপর ভার রাখার সময় ব্যথা তীব্র হয়ঃ যদি পায়ের ওপর ভার রাখার সময় ব্যথা বাড়ে, তাহলে এটি কোনো গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।
  • হাঁটার সময় ভারসাম্য হারানোর সমস্যা দেখা দেয়ঃ যদি হাঁটার সময় ভারসাম্য হারানোর সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে এটি নার্ভ বা মাসলের সমস্যা হতে পারে।

ফিজিওথেরাপি এবং এডভান্স ফিজিওথেরাপি পদ্ধতিগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে পায়ের গোড়ালি ব্যথা দীর্ঘমেয়াদে পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের নির্দেশনা মেনে চললে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

 

লিখেছেন-

ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ), এমপিটি ( অর্থোপেডিকস ) – এন.আই.পি.এস, ইন্ডিয়া
পিজি.সি. ইন আকুপাংচার, ইন্ডিয়া
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন ওজন থেরাপি, ইউ.এস.এ এবং ওজোন ফোরাম, ইন্ডিয়া।
ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট, ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার।

পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা) এই নম্বরে কল করুন এবং এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নিন

আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার

Author - Dr Saiful Islam

Consultant Physiotherapist
BPT (DU), MPT (Ortho)
PGC in Acupuncture (India)
Specially trained in Ozone therapy

Dr. Saiful Islam
Dr. Saiful Islam

Consultant Physiotherapist
BPT (DU), MPT (Ortho)
PGC in Acupuncture (India)
Specially trained in Ozone therapy

Articles: 21

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *