
পিঠে ব্যথা কেন হয় , প্রতিকার ও এর চিকিৎসা
পিঠে ব্যথা কি?
পিঠে ব্যথা হলো পিঠের যেকোনো অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি। এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা প্রায়শই মেরুদণ্ডের পেশী, লিগামেন্ট বা হাড়ের সমস্যার কারণে হয়। পিঠে ব্যথা কেন হয় তা আমাদের জানতে হবে ।
পিঠে ব্যথা কেন হয়?
পিঠে ব্যথার অনেকগুলি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
পিঠের পেশিতে চাপ বা স্ট্রেইন: পিঠের পেশিতে অতিরিক্ত চাপ, ভারী বস্তু ভুলভাবে উত্তোলন এবং ভুল ভঙ্গিতে শরীরের আকস্মিক নড়াচড়াতে প্রায়ই পিঠে ব্যথা করে।
কাঠামোগত সমস্যা: মেরুদণ্ডের অস্বাভাবিকতা, যেমন স্কোলিওসিস বা অস্টিওপোরোসিস, পিঠে ব্যথার কারণ হতে পারে।
ইনফেকশন: মেরুদণ্ডের সংক্রমণ, যেমন মেরুদণ্ডের টিবি বা মেরুদণ্ডের অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস সংক্রমণ, পিঠে ব্যথার কারণ হতে পারে।
ক্যান্সার: মেরুদণ্ডের ক্যান্সার পিঠে ব্যথার কারণ হতে পারে।
পিঠে ব্যথার লক্ষণ
পিঠে ব্যথা কেন হয় তা আমাদের জানতে হবে ।পিঠে ব্যথার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
ব্যথা বা অস্বস্তি: ব্যথা বা অস্বস্তি পিঠের যেকোনো অংশে হতে পারে, উপরের পিঠ, নিচের পিঠ বা মধ্য পিঠে। ব্যথা তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, এবং এটি তীব্র বা ধারাবাহিক হতে পারে।
অ্যানস্থেসিয়া: ব্যথার এলাকায় অসাড়তা বা ঝিনঝিন হতে পারে।
শক্তি হ্রাস: ব্যথার এলাকায় দুর্বলতা বা শক্তি হ্রাস হতে পারে।
চলাচল করার অসুবিধা: ব্যথার কারণে হাঁটা, দাঁড়ানো বা বসার মতো স্বাভাবিক কার্যকলাপগুলি কঠিন হতে পারে।
পিঠে ব্যথা কেন হয় তা আমাদের জানতে হবে ।পিঠে ব্যথার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ব্যথা নিজে থেকেই চলে যায়। তবে, যদি ব্যথা তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত। ডাক্তার ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন।
পিঠে ব্যথা প্রতিরোধের উপায়
পিঠে ব্যথা প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখুন: বসার সময়, দাঁড়ানোর সময় এবং হাঁটার সময় সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা পিঠে চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং পিঠের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
ভারী বস্তু সঠিকভাবে উত্তোলন করুন: ভারী বস্তু সঠিকভাবে উত্তোলন করা পিঠে আঘাতের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন: অতিরিক্ত ওজন পিঠে চাপ বাড়াতে পারে।পিঠে ব্যথা কেন হয় তা আমাদের জানতে হবে ।
পিঠে ব্যথা প্রতিকার
পিঠে ব্যথা কেন হয় তা আমাদের জানতে হবে । পিঠে ব্যথার নির্দিষ্ট প্রতিকার নেই, কারণ এটি অনেকগুলি সম্ভাব্য কারণের কারণে হতে পারে। তবে, পিঠে ব্যথা উপশম করার এবং পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করার জন্য বেশ কয়েকটি চিকিৎসা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা রয়েছে।
ঘরোয়া প্রতিকার
পিঠে ব্যথার জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও উপকারী হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
ঠান্ডা বা গরম সেঁক: ঠান্ডা সেঁক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে, যখন গরম সেঁক পেশী শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে।
বিশ্রাম: পিঠে ব্যথা হলে বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং পিঠের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
স্ট্রেচিং: স্ট্রেচিং পিঠের পেশীগুলিকে শিথিল করতে এবং নমনীয়তা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন পিঠে চাপ বাড়াতে পারে।
পিঠে ব্যথা ঘরোয়া চিকিৎসা?
পিঠে ব্যথা কেন হয় তা আমাদের জানতে হবে ।পিঠে ব্যথার জন্য অনেকগুলি ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। কিছু জনপ্রিয় ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যে রয়েছে:
ঠান্ডা বা গরম সেঁক
ঠান্ডা বা গরম সেঁক পিঠে ব্যথার জন্য একটি জনপ্রিয় ঘরোয়া প্রতিকার। ঠান্ডা সেঁক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে, যখন গরম সেঁক পেশী শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে।
ঠান্ডা সেঁক
- একটি পাতলা তোয়ালে বা গজ দিয়ে মুড়িয়ে একটি আইস প্যাক বা ঠান্ডা জলের বোতল প্রয়োগ করুন।
- 20-30 মিনিটের জন্য প্রয়োগ করুন।
- প্রয়োজনে প্রতি ঘন্টায় পুনরাবৃত্তি করুন।
গরম সেঁক
- একটি তোয়ালে গরম জলে ভিজিয়ে নিন।
- তোয়ালেটি টিপুন যাতে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়।
- প্রয়োগ করুন এবং 20-30 মিনিটের জন্য রেখে দিন।
- প্রয়োজনে প্রতি ঘন্টায় পুনরাবৃত্তি করুন।
বিশ্রাম
পিঠে ব্যথা হলে বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি পিঠের পেশীগুলিকে আরও বেশি ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং পিঠের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম রয়েছে যা পিঠে ব্যথার জন্য বিশেষভাবে উপকারী। একটি ফিজিওথেরাপিস্ট আপনাকে পিঠের জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম শেখাতে পারে।
স্ট্রেচিং
স্ট্রেচিং পিঠের পেশীগুলিকে শিথিল করতে এবং নমনীয়তা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি পিঠে ব্যথা প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
অতিরিক্ত ওজন পিঠে চাপ বাড়াতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণ করা পিঠে ব্যথার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অন্যান্য ঘরোয়া প্রতিকার
পিঠে ব্যথার জন্য অন্যান্য ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যে রয়েছে:
মেডিসিন: কিছু ওষুধ, যেমন অ্যাসপিরিন, ইবুপ্রোফেন এবং অ্যানালজিন, পিঠে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
ভেষজ ওষুধ: কিছু ভেষজ ওষুধ, যেমন ক্যাপসাইসিন এবং গাঁদা, পিঠে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
থেরাপি: ম্যাসেজ থেরাপি, শিরোনাম এবং মেরুদণ্ডের ম্যানিপুলেশন এবং কম্পিউটারাইজড থেরাপির মতো থেরাপি পিঠে ব্যথার উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।পিঠে ব্যথা কেন হয় তা আমাদের জানতে হবে ।
পিঠে ব্যথা হলে কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবো?
পিঠে ব্যথা কেন হয় তা আমাদের জানতে হবে ।পিঠে ব্যথা হলে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত:
- ব্যথা তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- ব্যথা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
- ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স 65 বছরের বেশি।
- ব্যথার সাথে বমি, জ্বর বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অন্যান্য লক্ষণ থাকে।
- ব্যথার কারণ জানা নেই।
পিঠে ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে, ডাক্তার শারীরিক পরীক্ষা, ইমেজিং পরীক্ষা এবং অন্যান্য পরীক্ষা করতে পারেন। ব্যথার কারণ নির্ণয়ের পরে, ডাক্তার উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন।
পিঠে ব্যথার চিকিৎসা
পিঠে ব্যথার জন্য কিছু সাধারণ চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
ওষুধ: ব্যথানাশক, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ এবং পেশী শিথিলকারী ওষুধ পিঠে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
ফিজিওথেরাপি: ফিজিওথেরাপি ব্যায়াম, ম্যানিপুলেশন এবং স্ট্রেচিং ব্যবহার করে পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং পিঠের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
ইনজেকশন: স্টেরয়েড বা ব্যথানাশক ইনজেকশন পিঠে ব্যথার চিকিৎসায় সহায়ক হতে পারে।
অস্ত্রোপচার: যদি অন্যান্য চিকিৎসাগুলি ব্যর্থ হয়, তাহলে পিঠে ব্যথার জন্য অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে।
পিঠে ব্যথার ওষুধের নাম?
পিঠে ব্যথার জন্য অনেকগুলি ওষুধ পাওয়া যায়।ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ সেবন করা উচিৎ নয়।ডাক্তার ব্যথার কারণ এবং তীব্রতার উপর ভিত্তি করে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করবে ।কিছু সাধারণ ওষুধের মধ্যে রয়েছে:
ব্যথানাশক: ব্যথানাশক ওষুধ পিঠে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। কিছু সাধারণ ব্যথানাশক ওষুধের মধ্যে রয়েছে অ্যাসপিরিন, ইবুপ্রোফেন এবং অ্যানালজিন।
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ: অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ (NSAIDs) পিঠে ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কিছু সাধারণ NSAIDs এর মধ্যে রয়েছে ইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন এবং অ্যাসিটামিনোফেন + ডাইক্লোফেনাক।
পেশী শিথিলকারী ওষুধ: পেশী শিথিলকারী ওষুধ পিঠের পেশীগুলিকে শিথিল করতে সাহায্য করে, যা ব্যথা কমাতে পারে। কিছু সাধারণ পেশী শিথিলকারী ওষুধের মধ্যে রয়েছে ডায়াজেপাম, ক্লোনাজেপাম এবং টিজ্যানিডিন।
স্টেরয়েড: স্টেরয়েড ওষুধ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। স্টেরয়েড ইনজেকশনগুলি প্রায়ই পিঠে ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ওপিওয়েড: ওপিওয়েড ওষুধ শক্তিশালী ব্যথানাশক। ওপিওয়েডগুলি সাধারণত তীব্র পিঠে ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয়।
পিঠে ব্যথার জন্য কোন ওষুধটি সবচেয়ে ভাল তা ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। ডাক্তার ব্যথার কারণ এবং তীব্রতার উপর ভিত্তি করে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করতে পারেন।
পিঠে ব্যথার জন্য ওষুধ গ্রহণের সময়, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ:
- ওষুধের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
- অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণ করবেন না।
- যদি আপনার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
পিঠে ব্যথার জন্য ওষুধ ছাড়াও, অন্যান্য চিকিৎসাও উপকারী হতে পারে। ফিজিওথেরাপি, ম্যাসেজ থেরাপি এবং থেরাপি পিঠে ব্যথার উপশম এবং পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করতে পারে।
পিঠে ব্যথায় ফিজিওথেরাপিস্ট এর ভূমিকা?
পিঠে ব্যথায় ফিজিওথেরাপিস্টের ভূমিকা হল পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং পিঠের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করা। পিঠে ব্যথা কেন হয় তা আমাদের জানতে হবে।ফিজিওথেরাপিস্টরা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে:
ব্যায়াম: ফিজিওথেরাপিস্টরা পিঠের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা ব্যায়ামগুলি শেখাতে পারেন। এই ব্যায়ামগুলি পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং নমনীয়তা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
ম্যানিপুলেশন: ফিজিওথেরাপিস্টরা হালকা চাপ এবং কৌশল ব্যবহার করে পিঠের জয়েন্টগুলিকে সঠিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে পারেন।
স্ট্রেচিং: ফিজিওথেরাপিস্টরা পিঠের পেশীগুলিকে শিথিল করতে এবং নমনীয়তা উন্নত করতে স্ট্রেচিং ব্যায়াম শেখাতে পারেন।
তাপ থেরাপি: তাপ থেরাপি পিঠের পেশীগুলিকে শিথিল করতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
ঠান্ডা থেরাপি: ঠান্ডা থেরাপি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
পিঠে ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপি একটি কার্যকর চিকিৎসা। ফিজিওথেরাপিস্টরা পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং পিঠের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে, যা ব্যথা উপশম এবং পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে পারে।
পিঠে ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপিস্টের ভূমিকা নিম্নরূপ:
ব্যথার কারণ নির্ণয়: ফিজিওথেরাপিস্টরা শারীরিক পরীক্ষা এবং অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে পিঠে ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে পারেন।
চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করা: ফিজিওথেরাপিস্টরা পিঠের ব্যথার জন্য একটি ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করবেন। এই পরিকল্পনাটিতে ব্যায়াম, ম্যানিপুলেশন, স্ট্রেচিং এবং অন্যান্য পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
চিকিৎসা প্রদান করা: ফিজিওথেরাপিস্টরা পিঠের ব্যথার জন্য নির্ধারিত চিকিৎসা প্রদান করবেন।
প্রগতির পর্যবেক্ষণ করা: ফিজিওথেরাপিস্টরা রোগীর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা পরিকল্পনা পরিবর্তন করবেন।
পিঠে ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপিস্টের সাথে দেখা করার সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:
ব্যথা উপশম: ফিজিওথেরাপি পিঠে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
পুনরুদ্ধার: ফিজিওথেরাপি পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং পিঠের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে, যা ব্যথা উপশম এবং পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে পারে।
প্রফিল্যাক্সিস: ফিজিওথেরাপি পিঠে ব্যথা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা
গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা হতে পারে। গ্যাস্ট্রিকের কারণে পেটের মধ্যে অতিরিক্ত গ্যাস জমে যায়। এই গ্যাস পেটের পেশীগুলিকে প্রসারিত করে, যা ব্যথার কারণ হতে পারে। ব্যথা সাধারণত পেটের উপরে বা ডান দিকে শুরু হয় এবং পিঠের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যথার অন্যান্য লক্ষণ
গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যথার অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- বুকজ্বালা
- বমি বমি ভাব
- বমি
- অম্বল
- অস্বস্তি
- অনিদ্রা
গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যথার চিকিৎসা
পিঠে ব্যথা কেন হয় তা আমাদের জানতে হবে ।গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যথার চিকিৎসার জন্য, গ্যাস্ট্রিকের কারণ নির্ণয় করা এবং সেই কারণটি নিরাময় করা গুরুত্বপূর্ণ। গ্যাস্ট্রিকের সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- অতিরিক্ত খাওয়া
- তৈলাক্ত খাবার খাওয়া
- কফি বা অ্যালকোহল পান করা
- ধূমপান করা
- দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস
গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ
গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত কিছু ওষুধের মধ্যে রয়েছে:
- এন্টাসিড
- পেপটিক আলসারের ওষুধ
- প্রোটিওলাইটিক এনজাইম
- পেশী শিথিলকারী
গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যথা প্রতিরোধের উপায়
গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যথা প্রতিরোধের জন্য, নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
- নিয়মিত খাবার খান।
- তৈলাক্ত খাবার, কফি এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
- ধূমপান ত্যাগ করুন।
- দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস কমাতে পদক্ষেপ নিন।
যদি আপনার গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যথা হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলি মূল্যায়ন করতে পারেন এবং আপনার জন্য সঠিক চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।
কোমর ব্যথা উপশম করার জন্য কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার আছে?
ঘরোয়া প্রতিকার যেমন তাপ বা বরফ প্রয়োগ, মৃদু স্ট্রেচিং এবং ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথা উপশমকারী হালকা পিঠের ব্যথার জন্য উপশম প্রদান করতে পারে।
চাপ এবং মানসিক স্বাস্থ্য পিঠের ব্যথা প্রভাবিত করতে পারে?
হ্যাঁ, চাপ এবং মানসিক কারণগুলি পিঠের ব্যথায় অবদান রাখতে পারে। শিথিলকরণ কৌশল এবং মননশীলতার মাধ্যমে স্ট্রেস পরিচালনা করা লক্ষণগুলি উপশম করতে সহায়তা করতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী পিঠে ব্যথার সাথে যুক্ত কিছু সাধারণ চিকিৎসা শর্ত কী কী?
দীর্ঘস্থায়ী পিঠের ব্যথা হার্নিয়েটেড ডিস্ক, স্পাইনাল স্টেনোসিস, অস্টিওআর্থারাইটিস এবং ফাইব্রোমায়ালজিয়ার মতো অবস্থার সাথে যুক্ত হতে পারে।
আপনার পিঠে ব্যথা হলে ব্যায়াম করা কি নিরাপদ?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা শারীরিক থেরাপিস্ট দ্বারা নির্ধারিত মৃদু ব্যায়াম এবং প্রসারিত ব্যায়াম পিঠের ব্যথা উপশম করতে এবং গতিশীলতা উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে।
কোন জীবনধারা পরিবর্তন দীর্ঘস্থায়ী পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে?
একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা, ধূমপান ত্যাগ করা, সক্রিয় থাকা সবই দীর্ঘস্থায়ী পিঠের ব্যথা কমাতে অবদান রাখতে পারে।
লিখেছেন-
ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ) , এমপিটি ( অর্থোপেডিকস ) – এন.আই.পি.এস , ইন্ডিয়া
পিজি.সি. ইন আকুপাংচার , ইন্ডিয়া
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন ওজন থেরাপি , ইউ.এস.এ এবং ওজোন ফোরাম , ইন্ডিয়া ।
ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট , ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার ।
পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা)
ফেসবুকঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার
এপয়েন্টম্যান্ট নিতে ক্লিক করুনঃ
https://visionphysiotherapy.com/appoi..