গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হলে করণীয়, গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার কারণ

পিঠে ব্যথা কি

পিঠে ব্যথা হলো পিঠের যেকোনো অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি। এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা জীবনের কোনো এক সময়ে প্রায় সকল মানুষকে প্রভাবিত করে।গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হলে করণীয় কি তা আমাদের জানতে হবে। পিঠে ব্যথার তীব্রতা হালকা থেকে তীব্র পর্যন্ত হতে পারে এবং এটি ক্ষণস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।পিঠের মাঝখানে ব্যথা

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার লক্ষণ কি কি?

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার লক্ষণগুলি নিম্নরূপ:

  • পিঠের নিচের অংশে ব্যথা, যা পিঠের মাঝখানে বা উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  • ব্যথা তীব্র হতে পারে।
  • ব্যথা ধ্রুবক বা কেবলমাত্র নির্দিষ্ট ক্রিয়াকলাপের সময় হতে পারে।
  • ব্যথার সাথে অন্যান্য লক্ষণ যেমন শক্তি হ্রাস, অসাড়তা বা অবশতা থাকতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার কারণ

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। প্রায় 50-70% গর্ভবতী মহিলারা তাদের গর্ভাবস্থায় কোনো না কোনো সময়ে পিঠে ব্যথা অনুভব করেন।গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হলে করণীয় কি তা আমাদের জানতে হবে। গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার অনেকগুলি কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

শরীরের ওজন বৃদ্ধি: গর্ভাবস্থায় জরায়ু এবং ভ্রূণের বৃদ্ধির কারণে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। এটি পিঠের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং ব্যথার কারণ হতে পারে।

ভঙ্গিগত পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায়, পেটের ওজনের কারণে শরীরের ভর কেন্দ্র পরিবর্তিত হয়। এটি পিঠের পেশীগুলিকে অস্বাভাবিকভাবে কাজ করতে বাধ্য করতে পারে এবং ব্যথার কারণ হতে পারে।

হরমোনাল পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায়, প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। প্রোজেস্টেরন পেশীগুলিকে শিথিল করে, যার ফলে পিঠের পেশীগুলি দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং ব্যথার কারণ হতে পারে।

পেলভিসের পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায়, পেলভিসের লিগামেন্টগুলি শিথিল হয়ে যায়। এটি পেলভিসের উপর চাপ বাড়াতে পারে এবং ব্যথার কারণ হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হলে করণীয় কি তা আমাদের জানতে হবে।গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা সাধারণত মাঝারি থেকে গুরুতর হতে পারে। ব্যথাটি তীব্র হতে পারে এবং দাঁড়ানো, হাঁটা বা ঘুমাতে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভাবস্থার শেষের দিকে, ব্যথা আরও খারাপ হতে পারে।

আরও জানুন : পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও তার প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হলে করণীয়

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার প্রতিরোধ এর উপায় কি কি?

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। প্রায় 50-70% গর্ভবতী মহিলারা তাদের গর্ভাবস্থায় কোনো না কোনো সময়ে পিঠে ব্যথা অনুভব করেন। গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:

সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখুন: দাঁড়ানো, হাঁটা এবং বসতে সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা পিঠের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং ব্যথা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

সুষম খাবার খান: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে, যা পিঠের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেশীগুলিকে নিরাময় করতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।

সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা

দাঁড়ানো, হাঁটা এবং বসতে সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা পিঠের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখার জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করুন:

দাঁড়ানোর সময়: আপনার পিঠ সোজা রাখুন, আপনার কাঁধ পিছনে টানুন এবং আপনার মাথা উঁচু রাখুন।

হাঁটার সময়: আপনার পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের উপর ভর দিন এবং আপনার পিঠ সোজা রাখুন।

বসানোর সময়: আপনার পিঠ সোজা রাখুন, আপনার পা মাটিতে রাখুন এবং আপনার হাঁটু আপনার কোমর থেকে সোজা রাখুন।

আরও জানুন : কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ, চিকিৎসা ও তার প্রতিকার

নিয়মিত ব্যায়াম

নিয়মিত ব্যায়াম পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং ব্যথা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। গর্ভাবস্থায় নিরাপদ ব্যায়ামের কিছু উদাহরণ হল:

সাঁতার: সাঁতার একটি দুর্দান্ত ব্যায়াম যা পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে ।

ইয়োগা: ইয়োগা পিঠের পেশীগুলিকে প্রসারিত করতে এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

পিলেটস: পিলেটস পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং ভঙ্গি উন্নত করতে সাহায্য করে

সুষম খাবার খাওয়া

balance-diet

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হলে করণীয় কি তা আমাদের জানতে হবে।স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে, যা পিঠের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করুন:

ফল, শাকসবজি এবং পুরো শস্যের মতো প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খান।
সম্পূর্ণ প্রোটিন, যেমন মাছ, মাংস এবং ডাল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম

পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেশীগুলিকে নিরাময় করতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করুন:

  • দিনে 7-8 ঘন্টা ঘুমান।
  • আপনার দিনের মধ্যে ছোট ছোট বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন।
  • আপনি যখনই ক্লান্ত বোধ করেন তখন বিশ্রাম নিন।
  • গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা প্রতিরোধের জন্য এই টিপসগুলি অনুসরণ করে, আপনি ব্যথার ঝুঁকি কমাতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার প্রতিকার এর উপায় কি কি?

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হলে করণীয় কি তা আমাদের জানতে হবে।গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার জন্য প্রতিকারের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করাও সাহায্য করতে পারে:

ওজন কমানো: অতিরিক্ত ওজন পিঠের উপর চাপ বাড়াতে পারে।

সঠিক জুতা পরুন: সমর্থনমূলক জুতা পিঠের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা কি?

গরম বা ঠান্ডা সংকোচন প্রয়োগ করুন: গরম বা ঠান্ডা সংকোচন প্রয়োগ করা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। গরম সংকোচন পেশীগুলিকে শিথিল করতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে, যখন ঠান্ডা সংকোচন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

ম্যাসেজ বা আকুপাঙ্কচার চেষ্টা করুন: ম্যাসেজ বা আকুপাঙ্কচার পেশীগুলিকে শিথিল করতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।

প্রয়োজনে সাহায্য নিন: ভারী জিনিস তোলার সময় সাহায্য নিন।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার জন্য ঘরোয়া চিকিৎসার পাশাপাশি, নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করাও সাহায্য করতে পারে:

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেশীগুলিকে নিরাময় করতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে, যা পিঠের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন: পর্যাপ্ত পানি পান করা পেশীগুলিকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, যা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার জন্য ঘরোয়া চিকিৎসাগুলির মধ্যে কিছু কার্যকর হতে পারে। তবে, যদি ব্যথা তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার ওষুধের নাম?

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হলে করণীয় কি তা আমাদের জানতে হবে।গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার জন্য বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, গর্ভাবস্থায় কিছু ওষুধ ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। তাই, গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার জন্য ওষুধ ব্যবহার করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার জন্য ব্যবহৃত কিছু ওষুধের মধ্যে রয়েছে:

অ্যাসিটামিনোফেন: অ্যাসিটামিনোফেন একটি সাধারণ ব্যথানাশক যা গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা নিরাপদ বলে মনে করা হয়।

ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথানাশক: ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথানাশক, যেমন ইবুপ্রোফেন বা ন্যাপ্রোক্সেন, গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, এই ওষুধগুলি গর্ভের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, তাই আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেসক্রিপশন ব্যথানাশক: কিছু প্রেসক্রিপশন ব্যথানাশক, যেমন কোডেইন, গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, এই ওষুধগুলি গর্ভের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে, তাই আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার জন্য ব্যবহৃত কিছু অন্যান্য ওষুধের মধ্যে রয়েছে:

মাইওরিল্যাক্সেন্টস: মাইওরিল্যাক্সেন্টস পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে।

স্টেরয়েডস: স্টেরয়েডস প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

ফিজিওথেরাপি: ফিজিওথেরাপি পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
আপনার ডাক্তার আপনার অবস্থার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসার পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হলে কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবো?

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, পিঠে ব্যথা গুরুতর অবস্থার লক্ষণ হতে পারে। তাই, নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ:

  • যদি ব্যথা তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
  • যদি ব্যথা আপনার দৈনন্দিন কার্যকলাপগুলিকে ব্যাহত করে।
  • যদি ব্যথার সাথে সাথে অন্যান্য লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন জ্বর, প্রস্রাবে রক্ত ​​বা যোনি থেকে রক্তপাত।
  • গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার জন্য অনেকগুলি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। আপনার ডাক্তার আপনার ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসার পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় নিম্নলিখিত তথ্যগুলি আপনার সাথে নিয়ে যাওয়া উচিত:

  • আপনার ব্যথার বিবরণঃ যেমন এটি কখন শুরু হয়েছিল, এটি কীভাবে অনুভব হয় এবং এটি কীভাবে আপনার দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে।
  • আপনার অন্যান্য লক্ষণঃ যেমন জ্বর, প্রস্রাবে রক্ত ​​বা যোনি থেকে রক্তপাত।
  • আপনার বর্তমান ওষুধের তালিকা।
  • আপনার পারিবারিক ইতিহাস।

আপনার ডাক্তার আপনার ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে শারীরিক পরীক্ষা, রক্ত ​​পরীক্ষা বা ইমেজিং পরীক্ষার মতো বিভিন্ন পরীক্ষা করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার ব্যায়াম কি কি ?

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হলে করণীয় কি তা আমাদের জানতে হবে।গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করার এবং পিঠের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করার জন্য ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার জন্য কিছু নিরাপদ ব্যায়াম হল:

সাঁতার: সাঁতার একটি দুর্দান্ত ব্যায়াম যা পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং ওজন বহন করে।

ইয়োগা: ইয়োগা পিঠের পেশীগুলিকে প্রসারিত করতে এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

পিলেটস: পিলেটস পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং ভঙ্গি উন্নত করতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম হল:

ক্যাট-কাউ

Cat Cow Pose
কীভাবে করবেন:
  • চার হাত এবং হাঁটুতে শুরু করুন, আপনার পিঠ সোজা রাখুন।
  • আপনার পিঠকে একটি নরম বক্ররেখায় বক্র করুন, আপনার পেটকে আপনার দিকে টেনে আনুন।
  • আপনার পিঠকে একটি বক্ররেখায় সোজা করুন, আপনার মেরুদণ্ডকে প্রসারিত করুন।
    8-10 বার পুনরাবৃত্তি করুন।

পিঠের প্রসারণ ব্যায়াম

dfgxfgd

কীভাবে করবেন:

  • আপনার পিঠ সোজা করে একটি মেঝেতে শুয়ে পড়ুন।
  • আপনার একটি পা বাঁকিয়ে আপনার হাঁটুকে আপনার বুকের কাছে আনুন।
  • আপনার অন্য পা সোজা রাখুন।
  • আপনার বাঁকানো পায়ের পায়ের আঙ্গুলগুলি আপনার বাহু দিয়ে ধরুন।
  • আপনার পিঠকে একটি বক্ররেখায় বক্র করুন, আপনার পায়ের দিকে টানুন।
    8-10 বার পুনরাবৃত্তি করুন, তারপর অন্য পা দিয়ে পুনরাবৃত্তি করুন।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার ব্যায়াম করার সময় নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করুন:

  • আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। আপনার ডাক্তার আপনাকে আপনার অবস্থার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যায়ামগুলি নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারেন।
  •  যদি আপনার ব্যথা হয় তবে ব্যায়াম বন্ধ করুন।
  • ধীরে ধীরে শুরু করুন। আপনার শরীরকে নতুন ব্যায়ামগুলিতে অভ্যস্ত হতে দিন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার 30 মিনিট ব্যায়াম করুন।
  • গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার ব্যায়াম পিঠের উপর চাপ কমাতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। তবে, আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ যাতে তারা নিশ্চিত করতে পারে যে ব্যায়ামগুলি আপনার অবস্থার জন্য নিরাপদ।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ফিজিওথেরাপিস্ট  এর ভূমিকা

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ফিজিওথেরাপিস্টরা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এই পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে:

ব্যায়াম: ফিজিওথেরাপিস্টরা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর ব্যায়াম প্রোগ্রাম তৈরি করতে পারেন। এই ব্যায়ামগুলি পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং পিঠের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ম্যানিপুলেশন: ফিজিওথেরাপিস্টরা পেশী এবং জয়েন্টগুলিতে হালকা চাপ প্রয়োগ করে ব্যথা উপশম করতে পারেন।

স্ট্রেচিং: ফিজিওথেরাপিস্টরা পিঠের পেশীগুলিকে প্রসারিত করতে সাহায্য করতে পারেন, যা ব্যথা এবং অনড়তা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

তাপ থেরাপি: তাপ থেরাপি পেশীগুলিকে শিথিল করতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।

ঠান্ডা থেরাপি: ঠান্ডা থেরাপি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ইলেকট্রোথেরাপি: ইলেকট্রোথেরাপি পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপি একটি কার্যকর চিকিৎসা। ফিজিওথেরাপিস্টরা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন যা ব্যথা উপশম করতে এবং পিঠের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হলে করণীয় কি তা আমাদের জানতে হবে।গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপিস্টের ভূমিকা নিম্নরূপ:

ব্যথার কারণ নির্ণয় করা: ফিজিওথেরাপিস্টরা গর্ভবতী মহিলার পিঠে ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে শারীরিক পরীক্ষা এবং অন্যান্য পরীক্ষা করতে পারেন।

চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করা: ফিজিওথেরাপিস্টরা গর্ভবতী মহিলার জন্য একটি নিরাপদ এবং কার্যকর চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করবেন।

চিকিৎসা প্রদান করা: ফিজিওথেরাপিস্টরা গর্ভবতী মহিলাদের ব্যায়াম, ম্যানিপুলেশন, স্ট্রেচিং, তাপ থেরাপি, ঠান্ডা থেরাপি এবং ইলেকট্রোথেরাপির মতো বিভিন্ন চিকিৎসা প্রদান করবেন।

প্রগতির পর্যবেক্ষণ করা: ফিজিওথেরাপিস্টরা গর্ভবতী মহিলার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা পরিকল্পনা পরিবর্তন করবেন।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হলে করণীয় কি তা আমাদের জানতে হবে। পিঠে ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপি একটি নিরাপদ এবং কার্যকর চিকিৎসা। ফিজিওথেরাপিস্টরা গর্ভবতী মহিলাদের ব্যথা উপশম করতে এবং পিঠের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারেন।

কেন অনেক গর্ভবতী মহিলা পিঠে ব্যথা অনুভব করেন?

অতিরিক্ত ওজন এবং স্থানান্তরের কারণে গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা সাধারণ, যা আপনার পিঠের পেশী এবং লিগামেন্টগুলিকে চাপ দেয়।

ব্যায়াম গর্ভাবস্থায় পিঠের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে?

হ্যাঁ, প্রসবপূর্ব যোগব্যায়াম এবং সাঁতারের মতো মৃদু ব্যায়াম আপনার পিঠের পেশীকে শক্তিশালী করতে পারে এবং আপনার ডাক্তারের অনুমোদন নিয়ে ব্যথা উপশম করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা নিয়ে আমি কীভাবে আরামে ঘুমাতে পারি?

আপনার হাঁটুর মধ্যে একটি বালিশ রেখে আপনার পাশে ঘুমান এবং অতিরিক্ত সহায়তার জন্য গর্ভাবস্থার বালিশ ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করুন।

লিখেছেন-

ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ) , এমপিটি ( অর্থোপেডিকস ) – এন.আই.পি.এস , ইন্ডিয়া
পিজি.সি. ইন আকুপাংচার , ইন্ডিয়া
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন ওজন থেরাপি , ইউ.এস.এ এবং ওজোন ফোরাম , ইন্ডিয়া ।
ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট , ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার ।
পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা) 
ফেসবুকঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার 
এপয়েন্টম্যান্ট নিতে ক্লিক করুনঃ
https://visionphysiotherapy.com/appoi..

 

visionphysiotherapy
visionphysiotherapy
Articles: 79