এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস কি?
এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ যা মূলত মেরুদণ্ডকে প্রভাবিত করে। এই রোগে মেরুদণ্ডের সন্ধিগুলি ধীরে ধীরে শক্ত হয়ে যায় এবং একত্রিত হয়ে যায়, যার ফলে মেরুদণ্ডের গতিশীলতা কমে যায় এবং ব্যথা হয়। এটি সেরোনেগেটিভ স্পন্ডাইলোআর্থ্রোপ্যাথি নামে পরিচিত বাত রোগের একটি ধরণ।
এ রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে নিম্ন পিঠের ক্রমাগত ব্যথা, বিশেষ করে রাতে বা শারীরিক কাজের পরে। অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্তি, এবং কিছু ক্ষেত্রে চোখের প্রদাহ। এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিসের সঠিক কারণ এখনও অ
জানা, তবে জিনগত এবং পরিবেশগত উভয় কারণই এই রোগের উৎপত্তিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
এই রোগের চিকিৎসায় সাধারণত ব্যথানাশক ওষুধ, শারীরিক চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত থাকে। গুরুতর ক্ষেত্রে, জৈবিক ওষুধ বা শল্যচিকিৎসাও প্রয়োজন হতে পারে।
<h2><img class=”alignnone size-medium wp-image-9215″ src=”https://visionphysiotherapy.com/wp-content/uploads/2023/09/For-Online-1-300×300.jpg” alt=”” width=”300″ height=”300″ /></h2>
অক্ষীয় স্পন্ডাইলোআর্থারাইটিস দুই প্রকার
অক্ষীয় স্পন্ডাইলোআর্থারাইটিসকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
- এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস: যখন এই অবস্থার স্পষ্ট লক্ষণ এক্স-রে পরীক্ষায় দেখা যায়, তখন তাকে এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস বলা হয়। এটি অক্ষীয় স্পন্ডাইলোআর্থারাইটিসের একটি প্রধান প্রকার।
- নন-রেডিওগ্রাফিক অক্ষীয় স্পন্ডাইলোআর্থারাইটিস: অনেক সময়, এক্স-রেতে এই অবস্থাটি স্পষ্ট না হলেও লক্ষণ, রক্ত পরীক্ষা এবং অন্যান্য ইমেজিং পরীক্ষার মাধ্যমে এই অবস্থাটি নির্ণয় করা যায়। একে নন-রেডিওগ্রাফিক অক্ষীয় স্পন্ডাইলোআর্থারাইটিস বলা হয়।
সাধারণত এই রোগের লক্ষণ যৌবনের প্রথম দিকে দেখা দেয় এবং শরীরের অন্যান্য অংশেও প্রদাহ হতে পারে। এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিসের এখনো কোন নিরাময় আবিষ্কার হয়নি। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে লক্ষণগুলো কমিয়ে আনা এবং রোগের অগ্রগতি ধীর করা সম্ভব।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, অক্ষীয় স্পন্ডাইলোআর্থারাইটিসকে এক্স-রেতে দেখা যাওয়ার উপর ভিত্তি করে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগের লক্ষণগুলোকে সহনীয় করা সম্ভব।
আমাদের অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টদের মাধ্যমে উন্নতমানের সেবা পেতে আজই এপয়েন্টমেন্ট নিন অথবা +8801932-797229 এই নম্বরে কল করুন।
এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস এর লক্ষণ সমূহ
এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ যা মূলত মেরুদণ্ডকে প্রভাবিত করে। এই রোগের লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে দেখা দিতে পারে এবং ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে।
প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
পিঠে ব্যথা
- কেন হয়: মেরুদণ্ডের গোড়া এবং শ্রোণীদেশের সংযোগস্থলে (sacroiliac joint) প্রদাহের কারণে পিঠে ব্যথা হয়। এই ব্যথাটি সাধারণত নিচের পিঠ এবং নিতম্বে অনুভূত হয়।
- কখন হয়: ব্যথাটি সাধারণত সকালে বা দীর্ঘ সময় ধরে একই অবস্থানে থাকার পরে বেশি হয়। বিশ্রামের পরে ব্যথা কমতে পারে, কিন্তু আবার কাজ করতে শুরু করলে বা শারীরিক পরিশ্রম করলে বাড়তে পারে।
শক্ত হয়ে যাওয়া
- কেন হয়: মেরুদণ্ডের জোড় এবং মাংসপেশিগুলিতে প্রদাহের ফলে শক্ত হয়ে যায়।
- কখন হয়: এই শক্ততা সকালে বা দীর্ঘ সময় নিষ্ক্রিয় থাকার পরে বেশি লক্ষ্য করা যায়। শারীরিক কার্যকলাপের মাধ্যমে এই শক্ততা কমতে পারে।
ঘাড় ব্যথা
- কেন হয়: অনেক ক্ষেত্রে, এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস মেরুদণ্ডের উপরের অংশকেও প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে ঘাড়ে ব্যথা হয়।
- লক্ষণ: ঘাড়ে ব্যথা, শক্ততা এবং নড়াচড়ার সীমাবদ্ধতা।
অন্যান্য লক্ষণ
এছাড়াও, এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিসের অন্যান্য লক্ষণ হতে পারে:
- জ্বর: কখনও কখনও হালকা জ্বর হতে পারে।
- অনেচ্ছাকৃত ওজন কমে যাওয়া: ক্ষুধামন্দা এবং শারীরিক কার্যকলাপ কমে যাওয়ার কারণে ওজন কমে যেতে পারে।
- অন্যান্য জোড়ে ব্যথা: কখনও কখনও নিতম্ব, কাঁধ বা হাঁটুর জোড়ে ব্যথা হতে পারে।
- চোখের সমস্যা: কিছু ক্ষেত্রে চোখে প্রদাহ (ইউভাইটিস) হতে পারে।
কেন এমন হয়?
এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিসে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুল করে নিজের কোষগুলিকে আক্রমণ করে, বিশেষ করে জোড়, টেন্ডন এবং লিগামেন্টের কোষগুলিকে। এই আক্রমণের ফলে প্রদাহ হয় এবং ধীরে ধীরে জোড়গুলি শক্ত হয়ে যায়।
সময়ের সাথে সাথে লক্ষণগুলি আরও খারাপ হতে পারে এবং অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি হল:
মেরুদণ্ডের গোড়া এবং শ্রোণীদেশের মধ্যে সংযোগস্থল (Sacroiliac joint)
- কী হয়: এই অংশটি হল মেরুদণ্ড এবং শ্রোণীদেশকে সংযুক্ত করে। এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিসে এই জোড়টি প্রথমে প্রভাবিত হয়। প্রদাহের ফলে ব্যথা হয় এবং ধীরে ধীরে জোড়টি শক্ত হয়ে যায়।
- লক্ষণ: নিচের পিঠ ও নিতম্বে ব্যথা, বিশেষ করে সকালে বা দীর্ঘ সময় একই অবস্থানে থাকার পরে।
পিঠের নিচের অংশে কশেরুকা
- কী হয়: মেরুদণ্ডের নিচের অংশের কশেরুকাগুলির মধ্যবর্তী জোড়গুলিতেও প্রদাহ হয়।
- লক্ষণ: পিঠের নিচের অংশে ব্যথা, শক্ততা এবং নড়াচড়ার সীমাবদ্ধতা।
টেন্ডন এবং লিগামেন্টগুলি
- কী হয়: টেন্ডন এবং লিগামেন্ট হল হাড়কে সংযুক্ত করে রাখা দৃঢ় বাঁধন। এই রোগে এই বাঁধনগুলিতেও প্রদাহ হতে পারে।
- লক্ষণ: মেরুদণ্ডের পাশাপাশি গোড়ালির পিছনের দিকে ব্যথা, শক্ততা এবং স্ফীতি হতে পারে।
স্তনের হাড় এবং পাঁজরের মধ্যবর্তী তরুণাস্থি
- কী হয়: বুকের পাঁজরের হাড় এবং স্তনের হাড়ের মধ্যবর্তী তরুণাস্থিতেও প্রদাহ হতে পারে।
- লক্ষণ: বুকে ব্যথা, শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।
নিতম্ব এবং কাঁধের জয়েন্টগুলি
- কী হয়: কখনও কখনও এই রোগে নিতম্ব এবং কাঁধের জোড়গুলিতেও প্রদাহ হতে পারে।
- লক্ষণ: নিতম্ব এবং কাঁধে ব্যথা, শক্ততা এবং নড়াচড়ার সীমাবদ্ধতা।
অন্যান্য লক্ষণ:
- ক্লান্তি
- জ্বর
- ওজন কমে যাওয়া
- চোখের প্রদাহ (ইউভাইটিস)
যদি আপনি এই ধরনের কোনো লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আমাদের বিশেষ দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্টদের মাধ্যমে উন্নতমানের সেবা পেতে আজই এপয়েন্টমেন্ট নিন অথবা +8801932-797229 এই নম্বরে কল করুন।
এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিসের কারণ সমূহ
এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিসের সঠিক কারণ এখনও অবধি পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে, বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে এই রোগের উৎপত্তিতে জিনগত কারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে, HLA-B27 নামক একটি জিনের সাথে এই রোগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পাওয়া গেছে। যাদের শরীরে এই জিনটি থাকে তাদের মধ্যে এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
সাধারণত এই রোগের লক্ষণগুলি বয়ঃসন্ধিকালের শেষের দিকে বা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রথম দিকে দেখা দিতে শুরু করে। যদিও HLA-B27 জিন এই রোগের সাথে যুক্ত, তবে এই জিন থাকা সকল ব্যক্তিরই এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস হয় না। অর্থাৎ, HLA-B27 জিন থাকলেই এই রোগ হবে, এমনটি নয়। অন্যান্য কিছু জিনগত এবং পরিবেশগত কারণও এই রোগের উৎপত্তিতে ভূমিকা রাখতে পারে। বলা যায়, এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিসের সঠিক কারণ সম্পূর্ণ জানা না গেলেও, HLA-B27 জিনের সাথে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পাওয়া গেছে।
এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিসের জটিলতা
এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা মেরুদণ্ডের ক্রমশ শক্ত হয়ে যাওয়া এবং একত্রিত হয়ে যাওয়ার দিকে পরিচালিত করে। এই প্রক্রিয়াটি শরীরের বিভিন্ন অংশে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
মেরুদণ্ড সংক্রান্ত জটিলতা
কশেরুকার ফিউশন
রোগের অগ্রগতির সাথে সাথে শরীরের নিরাময়ের প্রক্রিয়া হিসেবে কশেরুকাগুলির মধ্যবর্তী জায়গাগুলি নতুন হাড় দিয়ে পূর্ণ হয়ে যায় এবং কশেরুকাগুলি পরস্পরের সাথে জুড়ে যায়। এতে মেরুদণ্ডের নমনীয়তা কমে যায় এবং পিঠে ব্যথা বৃদ্ধি পায়।
কী হয়: শরীরের প্রাকৃতিক নিরাময় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, মেরুদণ্ডের কশেরুকাগুলির মধ্যবর্তী জায়গাগুলিতে নতুন হাড় জমে এবং কশেরুকাগুলি পরস্পরের সাথে জুড়ে যায়। এই প্রক্রিয়াকেই কশেরুকার ফিউশন বলা হয়।
ফলাফল:
- মেরুদণ্ডের নমনীয়তা হ্রাস: ফিউশনের ফলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কমে যায় এবং পিঠ শক্ত হয়ে যায়।
- ব্যথা: ফিউশনের সময় এবং পরে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
- মুদ্রা পরিবর্তন: দীর্ঘদিন ধরে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মুদ্রা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে, যেমন পিঠ বাঁকা হয়ে যাওয়া।
পাঁজরের খাঁচার শক্ত হয়ে যাওয়া
কশেরুকাগুলির সাথে পাঁজরের হাড়ও জুড়ে যেতে পারে, ফলে ফুসফুসের কাজ করার ক্ষমতা সীমিত হয়ে যায় এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
কী হয়: কশেরুকার সাথে সাথে পাঁজরের হাড়ও জুড়ে যেতে পারে।
ফলাফল:
- শ্বাসকষ্ট: পাঁজরের খাঁচা শক্ত হয়ে যাওয়ার ফলে ফুসফুসের বিস্তার সীমিত হয় এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
- শারীরিক কার্যকলাপ সীমিত: শ্বাসকষ্টের কারণে ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করা কঠিন হয়ে পড়ে।
কম্প্রেশন ফ্র্যাকচার
রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কশেরুকাগুলি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে এবং সামান্য আঘাতেও ভেঙে যেতে পারে। এটি মেরুদণ্ডের কর্ড এবং স্নায়ুগুলিতে চাপ সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন ধরনের স্নায়বিক সমস্যা যেমন ব্যথা, অসাড়তা ইত্যাদি হতে পারে।
কী হয়: রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কশেরুকাগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সামান্য আঘাতেও ভেঙে যেতে পারে। একে কম্প্রেশন ফ্র্যাকচার বলা হয়।
ফলাফল:
- তীব্র ব্যথা: কম্প্রেশন ফ্র্যাকচার হলে তীব্র ব্যথা হয়, বিশেষ করে দাঁড়ালে বা বসলে।
- স্নায়ুর ক্ষতি: ভাঙা কশেরুকা মেরুদণ্ডের কর্ড বা স্নায়ুগুলিতে চাপ দিতে পারে, যার ফলে অসাড়তা, দুর্বলতা বা অন্যান্য স্নায়বিক সমস্যা হতে পারে।
অন্যান্য জটিলতা
- ইউভাইটিস: চোখের প্রদাহ বা ইউভাইটিস এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিসের একটি সাধারণ জটিলতা। এতে চোখে ব্যথা, আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা এবং দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে।
- হৃদপিণ্ডজনিত সমস্যা: এই রোগে হৃদপিণ্ডের মহাধমনীতে প্রদাহ হতে পারে এবং এটি ফুলে উঠতে পারে। এতে হৃদপিণ্ডের ভালভের কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস একটি জটিল রোগ যা শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলতে পারে। এই রোগের লক্ষণ এবং জটিলতা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে।
আমাদের অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টদের মাধ্যমে উন্নতমানের সেবা পেতে আজই এপয়েন্টমেন্ট নিন অথবা +8801932-797229 এই নম্বরে কল করুন।
এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিসের চিকিৎসা
এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিসের চিকিৎসা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে এবং রোগীর বয়স, লক্ষণের তীব্রতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত অবস্থার উপর নির্ভর করে। চিকিৎসার লক্ষ্য হল ব্যথা কমাতে, জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং রোগের অগ্রগতি ধীর করা। সাধারণত, চিকিৎসায় নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে:
শারীরিক থেরাপি
শারীরিক থেরাপি ব্যায়াম এবং অন্যান্য কৌশলের মাধ্যমে ব্যথা কমাতে, জোড়গুলিকে নমনীয় রাখতে এবং পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এটি রোগীর মোবিলिटी বাড়াতে এবং দৈনন্দিন কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
ব্যায়াম: শারীরিক থেরাপিস্ট রোগীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা ব্যায়ামের একটি পরিকল্পনা তৈরি করবেন। এই ব্যায়ামগুলি মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়াতে, পেশী শক্তিশালী করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সাঁতার, হাঁটা এবং যোগাসন এই রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে।
স্ট্রেচিং: নিয়মিত স্ট্রেচিং করা মেরুদণ্ডের জোড়গুলিকে নমনীয় রাখতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
শক্তিশালীকরণ ব্যায়াম: কোর শক্তিশালীকরণ ব্যায়াম মেরুদণ্ডকে সমর্থন করতে এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কর্মক্ষেত্রে পুনর্বাসন
কর্মক্ষেত্রে পুনর্বাসন কর্মীদের তাদের কাজকে আরও সহজতর করতে এবং তাদের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এতে কাজের পরিবেশ পরিবর্তন, বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার এবং কাজের পদ্ধতি পরিবর্তন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পুনর্বাসনের মাধ্যমে রোগীরা তাদের কাজের পরিবেশকে আরও সুবিধাজনক করে তুলতে পারে।
- কাজের স্টেশনটি পরিবর্তন করা: উদাহরণস্বরূপ, একটি উঁচু চেয়ার ব্যবহার করা বা একটি সমর্থনকারী পিছনের সাথে একটি চেয়ার ব্যবহার করা।
- বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার: কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার করে কাজ করা আরও সহজ হতে পারে।
- কাজের সময়সূচি পরিবর্তন করা: কাজের সময়সূচি পরিবর্তন করে রোগীরা তাদের শরীরকে আরও বিশ্রাম দিতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা
এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ হতে পারে এবং এটি মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রোগীদের এই চাপ মোকাবেলা করতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করতে পারেন। এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যার ফলে মানসিক চাপ, হতাশা এবং উদ্বেগ হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় রোগীদের সহায়তা করতে পারেন।
- মনোচিকিৎসা: একটি মনোচিকিৎসক রোগীদেরকে তাদের অনুভূতি এবং চিন্তাভাবনা বুঝতে এবং পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারেন।
- সমর্থক গোষ্ঠী: অন্যান্য রোগীদের সাথে মিলে সমর্থক গোষ্ঠীতে অংশগ্রহণ করা রোগীদেরকে একা বোধ না করতে এবং তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে সাহায্য করতে পারে।
এছাড়াও, বিশেষ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমেও এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতে পারে। একটি ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য রোগীর বিস্তারিত মূল্যায়ন করা হয়।
আমাদের দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্টদের মাধ্যমে উন্নতমানের সেবা পেতে আজই এপয়েন্টমেন্ট নিন অথবা +8801932-797229 এই নম্বরে কল করুন।
ধন্যবাদান্তে,
ডা. মাছুম বিল্লাহ মিয়াজি,পিটি
ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট
ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার,
উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।
পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা) এই নম্বরে কল করুন এবং এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নিন।
আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার
পজিটিভ হলেই কি অ্যাঙ্কাইলজিং স্পন্ডালাইটিস?
না, সবক্ষেত্রে HLA-B27 পেজেটিভ হলে অ্যাঙ্কাইলজিং স্পন্ডালাইটিস নয়।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় অ্যাঙ্কাইলজিং স্পন্ডালাইটিস ভালো হয়?
অ্যাঙ্কাইলজিং স্পন্ডালাইটিস সম্পুর্ন নিরাময় যোগ্য নয় তবে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণের কারণে দীর্ঘ মেয়াদি উপকার পাওয়া যায়।
কাদের অ্যাঙ্কাইলজিং স্পন্ডালাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি?
নারী-পুরুষ সবারই এই রোগ হয়ে থাকে তবে বয়স ৩০/৪০ এর পর এর উপসর্গগুলো পরিলক্ষিত হয়।