
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণ এবং তার প্রতিকার ও চিকিৎসা
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কি?
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণঃ একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। মাথা ঘোরা হল একটি অনুভূতি যেন আপনি বা আপনার চারপাশের পরিবেশ ঘুরছে। বমি বমি ভাব হল বমি করার আগের অনুভূতি।
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব অনেক কারণে হতে পারে, এর মধ্যে রয়েছে:
- গতিজনিত অসুস্থতা
- খাদ্যে বিষক্রিয়া
- গর্ভবতী হওয়া
- মাথার আঘাত
- মেনিনজাইটিস বা এনসেফালাইটিস
- কানের সংক্রমণ
- ডায়াবেটিস
- থাইরয়েড সমস্যা
- কিছু ওষুধ
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের চেষ্টা করা যেতে পারে, এর মধ্যে রয়েছে:
- ঠান্ডা পানি বা কোমল পানীয় পান করুন।
- আদা বা পুদিনা চা পান করুন।
- আদা চিবিয়ে খান বা আদা টুকরো পানির মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন।
- এলাচ চিবিয়ে খান বা এলাচ চা পান করুন।
- লবঙ্গ চিবিয়ে খান বা লবঙ্গ চা পান করুন।
- বিশ্রাম নিন এবং আপনার চোখ বন্ধ করুন।
- হালকা ম্যাসাজ করুন।
- যদি মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার আপনার উপসর্গগুলির কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবেন।
এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস দেওয়া হল যা মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে:
গতিজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধে: গাড়িতে ভ্রমণের সময় সামনের দিকে বসুন, ঠান্ডা বাতাস পান করুন এবং আপনার মাথা ঘোরা শুরু হলে চোখ বন্ধ করুন।
খাদ্যে বিষক্রিয়া প্রতিরোধে: তাজা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং ভালোভাবে রান্না করা খাবার খান।
গর্ভবতী হওয়ার সময়: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং নিয়মিত ছোট ছোট খাবার খান।
মাথার আঘাত প্রতিরোধে: হেলমেট পরুন এবং বিপজ্জনক ক্রিয়াকলাপ এড়িয়ে চলুন।
মেনিনজাইটিস বা এনসেফালাইটিস প্রতিরোধে: টিকা দেওয়ান।
কানের সংক্রমণ প্রতিরোধে: আপনার কান পরিষ্কার রাখুন এবং ঠান্ডা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে: স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
থাইরয়েড সমস্যা প্রতিরোধে: স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রতিরোধে: আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণ ,বমি বমি ভাব হলে কি ওষুধ খেতে হবে:
বমি বমি ভাব হলে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা তা নির্ভর করে বমি বমি ভাবের তীব্রতা এবং কারণগুলির উপর। যদি বমি বমি ভাব হালকা হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই চলে যায়, তাহলে ঘরোয়া প্রতিকারগুলি চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে, যদি বমি বমি ভাব তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণঃ বমি বমি ভাব একটি সাধারণ উপসর্গ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এটি গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের মধ্যেই চলে যায়। তবে, কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে, বমি বমি ভাব দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণ ও বমি বমি ভাবের জন্য ব্যবহৃত কিছু সাধারণ ওষুধের মধ্যে রয়েছে:
- মেটোক্লোপ্রামাইড (প্যারাসিটামল)
- ডম্পরিডন (ইমোডিয়াম)
- ডোপামিন অ্যান্টাগোনিস্ট (ডোপামিন অ্যান্টাগোনিস্ট)
এই ওষুধগুলি সাধারণত বমি বমি ভাব এবং বমি হ্রাস করতে কার্যকর। তবে, কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে, যেমন: - মাথা ঘোরা
- ঘুম ঘুম ভাব
- মুখ শুকিয়ে যাওয়া
- ডায়রিয়া
যদি আপনি বমি বমি ভাবের জন্য ওষুধ খাচ্ছেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কথা বলুন।
সবসময় বমি বমি ভাব হওয়ার কারণ কি
সবসময় বমি বমি ভাব হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে বমি বমি ভাব একটি সাধারণ উপসর্গ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এটি গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের মধ্যেই চলে যায়। তবে, কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে, বমি বমি ভাব দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
খাদ্যে বিষক্রিয়া: খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে বমি বমি ভাব হতে পারে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার সাধারণ উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা এবং বমি।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে বমি বমি ভাব হতে পারে। এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, এবং অ্যান্টিবায়োটিক।
গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD): GERD হল একটি ব্যাধি যাতে পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীতে ফিরে আসে। GERD-এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, বমি, বুক জ্বালা এবং বুকের উপর চাপ।
পেপটিক আলসার রোগ: পেপটিক আলসার রোগ হল একটি ব্যাধি যাতে পাকস্থলী বা অন্ত্রের আলসার হয়। আলসারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, বমি, পেটে ব্যথা এবং পেটে অস্বস্তি।
মস্তিষ্কের রোগ: মস্তিষ্কের রোগ, যেমন মস্তিষ্কের আঘাত, মেনিনজাইটিস বা এনসেফালাইটিস, বমি বমি ভাব হতে পারে।
থাইরয়েড সমস্যা: থাইরয়েড সমস্যা, যেমন হাইপারথাইরয়েডিজম বা হাইপোথাইরয়েডিজম, বমি বমি ভাব হতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা, বমি বমি ভাব হতে পারে।
যদি আপনার সবসময় বমি বমি ভাব হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলির কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবেন।
আরো জানুন :ঠান্ডায় মাথা ব্যথা হলে করণীয়
এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস দেওয়া হল যা সবসময় বমি বমি ভাব প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে:
হালকা খাবার খান: ভারী বা চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত খাবার খান: খালি পেটে থাকবেন না।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন: ডিহাইড্রেশন বমি বমি ভাব বাড়াতে পারে।
আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন: উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা থাকলে, একজন থেরাপিস্টের সাথে দেখা করুন।
আরো জানুন :মাথা ব্যথার কোন কোন উপসর্গ গুলো আমাদের মৃত্যূর কারণ হতে পারে | মাথা ব্যথার ঔষধ ও করণীয়
মাথা ঘোরার সঙ্গে আর কি কি লক্ষণ থাকলে চিকিৎসক দেখানো প্রয়োজন:
মাথা ঘোরা একটি সাধারণ উপসর্গ যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। মাথা ঘোরার সাথে সাথে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলি দেখা দিলে চিকিৎসক দেখানো জরুরি:
- বমি বমি ভাব বা বমি
- ভারসাম্যহীনতা বা হাঁটতে অসুবিধা
- কনিউশন বা মাথা ঘোরা
- দৃষ্টি সমস্যা, যেমন ঝাপসা দৃষ্টি বা চোখে উজ্জ্বল আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা
- শোনায় অসুবিধা
- মুখ বা হাত-পায়ে অবশতা বা দুর্বলতা
- কথা বলতে অসুবিধা
- শ্বাস নিতে অসুবিধা
- হার্টবিট বা রক্তচাপের অস্বাভাবিকতা
যদি আপনার মাথা ঘোরার সাথে সাথে এই উপসর্গগুলির মধ্যে কোনও একটি বা একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলির কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবেন।
জ্বর থেকে মাথা ব্যাথা ও বমিঃ
জ্বর থেকে মাথাব্যথা এবং বমি হতে পারে। জ্বর হল শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়া। জ্বর সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়। এই সংক্রমণগুলি শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে, যা উচ্চ তাপমাত্রার দিকে পরিচালিত করে।
উচ্চ তাপমাত্রা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে, যা মাথাব্যথা এবং বমি হতে পারে। মাথাব্যথা এবং বমি সাধারণত জ্বর কমে গেলে অদৃশ্য হয়ে যায়।
এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস দেওয়া হল যা জ্বর প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে:
- আপনার হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
- অসুস্থ লোকের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
- যদি সম্ভব হয়, টিকা দিন।
মাথা ঘোরা হল একটি অনুভূতি যেন আপনি বা আপনার চারপাশের জিনিসগুলি ঘুরছে। বমি বমি ভাব হল বমি করার ইচ্ছা। মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব একসাথে ঘটে, তাই এগুলিকে প্রায়শই একসাথে উল্লেখ করা হয়।
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণ?
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণ ঃমাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব অনেক কারণে হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
কানের সমস্যা: অন্তঃকর্ণের সমস্যা, যেমন বিনাইন পারঅক্সিসমাল পজিশনাল ভার্টিজ (BPPV), ল্যাবিরিন্থাইটিস, বা মেনিয়ারস রোগ, মাথা ঘোরা ও বমি বমিভাব সৃষ্টি করতে পারে।
মাথার আঘাত: মাথার আঘাত মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে, যা মাথা ঘোরা ও বমি বমিভাব সৃষ্টি করতে পারে।
ঔষধ: কিছু ওষুধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিডপ্রেসেন্টস, এবং ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ, মাথা ঘোরা ও বমি বমিভাব সৃষ্টি করতে পারে।
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: মাথা ঘোরা ও বমি বমিভাব অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, এবং মস্তিষ্কের টিউমার।
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব হলে কী করবেন?
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণ তা জানতে হলে প্রথমেই আপনার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করুন। যদি আপনার বমি বা মাথা ঘোরা খুব বেশি হয়, তাহলে বিশ্রাম নেওয়া এবং প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি অন্যান্য উপসর্গ থাকে, যেমন মাথাব্যথা, হালকা মাথাব্যথা, বা চোখে অন্ধকার দেখা, তাহলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের কাছে যান।
মাথা ঘোরা ও বমি বমিভাব প্রতিরোধের উপায়:
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণ এবং মাথা ঘোরা ও বমি বমিভাব প্রতিরোধ করতে নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করুন:
পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতি রাতে কমপক্ষে 7-8 ঘন্টা ঘুমান।
সঠিক খাবার খাবেন: স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
পর্যাপ্ত তরল পান করুন: প্রতিদিন কমপক্ষে 8-10 গ্লাস পানি পান করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
অতিরিক্ত caffein এবং alcohol এড়িয়ে চলুন: caffein এবং alcohol মাথা ঘোরা ও বমি বমিভাব সৃষ্টি করতে পারে।
আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন: আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
১।মাথা ঘোরা ও বমি বমিভাব কতক্ষণ স্থায়ী হয়?
মাথা ঘোরা ও বমি বমিভাব কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এটি নির্ভর করে মাথা ঘোরা ও বমি বমিভাব এর কারণ এবং তীব্রতার উপর।
২।মাথা ঘোরা ও বমি বমিভাব হলে কী ওষুধ খাওয়া যায়?
মাথা ঘোরা ও বমি বমিভাব হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। কিছু সাধারণ ওষুধের মধ্যে রয়েছে: ড্রাগমিস্টার: এই ওষুধটি মাথা ঘোরা ও বমি বমিভাব কমাতে সাহায্য করে। ডিমেন; এই ওষুধটি মাথা ঘোরা ও বমি বমিভাব কমাতে সাহায্য করে।
আরো জানুন :মাথার একপাশে ব্যথার কারণ
লিখেছেন-
ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ) , এমপিটি ( অর্থোপেডিকস ) – এন.আই.পি.এস , ইন্ডিয়া
পিজি.সি. ইন আকুপাংচার , ইন্ডিয়া
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন ওজন থেরাপি , ইউ.এস.এ এবং ওজোন ফোরাম , ইন্ডিয়া ।
ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট , ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার ।
পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা)
ফেসবুকঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার
এপয়েন্টম্যান্ট নিতে ক্লিক করুনঃ
https://visionphysiotherapy.com/appoi..