কোমর ব্যাথা কি?
কোমর ব্যাথা বলতে সাধারণত শরীরের পেছনের অংশে ব্যাথা বা অস্বস্তিবোধ কে বুঝায়।কোমর ব্যাথা নিরাময়ে আকুপাংচার যেন এক অনন্য চিকিৎসা।
প্রায় প্রত্যেক মানুষই তার জীবনে কোমরে ব্যথাজনিত রোগে ভুগেন। কোমর ব্যথা এমন এক ব্যথা যা সহজে মুক্তি দিতে চায় না। উঠতে, বসতে, এমনকি ঘুমোতে গেলেও ব্যথা থেকেই যায়। এই ব্যাথা অনুভব করার সম্ভাবনা বয়স ৩০-৫০ বছর বয়সে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী পৃথিবীর শতকরা ৮০ ভাগ লোক জীবনে কোন না কোন সময় কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হোন। আধুনিক এই যুগেও কোমর ব্যথা একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বাস্থ্য সমস্যা।
কোমর ব্যথা যে কারণে হয়?
★ লিগামেন্ট, জোড়ার আবরণ, পেশি, হাড়, জোড়া, স্নায়ুর ও ডিস্ক রোগ , পেট , বুক ও তলপেটের মাঝে বিভিন্ন অঙ্গের সমস্যার জন্য কোমরব্যথা ব্যথার উৎপত্তি পারে ।
★ যাঁরা অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে একই ভাবে কাজ করেন তাদের কোমরে ব্যথা প্রচণ্ড বেড়ে যায় বা ব্যথার উৎপত্তি পারে।।
★ চেয়ার টেবিল ঠিকমতো বসার উপোযোগী না হলে বা ঠিকমতো না বসলে কোমরে প্রচণ্ড ব্যথার উৎপত্তি পারে।
★ বেশি সামনে ঝুঁকে গাড়ি চালালে বা দীর্ঘক্ষণ ড্রাইভিং করলে কোমর ব্যথার উৎপত্তি পারে। ড্রাইভিংয়ের সময় পেছনে কিছু ব্যাক সাপোর্ট নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন :কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যথার কারণ
কোমর ব্যাথা নিরাময়ে আকুপাংচার পিঠের ব্যথা প্রতিরোধে আকুপাংচার এর ভূমিকা?
পিঠের ব্যথা প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা হিসাবে আকুপাংচার বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। মানব শরীরের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইমপালসকে বিভিন্নভাবে অবহিত করার মাধ্যমে আকুপাংচার পিঠের ব্যথা এবং অন্যান্য ব্যথা নিবারণে যথেষ্ট কার্যকর বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। আকুপাংচার এর মাধ্যমে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায় এবং শরীর অধিক কার্যক্ষম হয়। এছাড়া এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আকুপাংচার শরীরের বিভিন্ন অংশের মধ্যে এক ধরনের উদ্দীপনা তৈরি করে। যার কারণে ব্যথাযুক্ত স্থানগুলোর মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা তৈরি হয় এবং ব্যথা ধীরে ধীরে প্রশমিত হতে থাকে। সুতরাং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত আকুপাংচার বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। আকুপাংচার চিকিৎসার মূল ভিত্তি হলো শরীরের মাংসপেশি, ব্লাড ভেসেল, রক্তনালী, ইত্যাদি। আকুপাংচার পদ্ধতিতে রোগীর কশেরুকার যে লেভেলে সমস্যা আছে, আকুপাংচার পদ্ধতিটি সেই স্থানের আশেপাশে অবস্থিত চ্যানেলগুলোকে এর মাধ্যমে ইলেকট্রিক শক দিয়ে উদ্দীপিত করে। এতে সেই স্থানে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং বিভিন্ন রকম হরমোন নিঃসরণ হয়। এর ফলে উক্ত স্থানের ব্যথা উপশম হতে থাকে। আকুপাংচার পদ্ধতি প্রায় তিন হাজার বছরের পুরনো একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে ব্যথা জাতীয় বিভিন্ন রোগের উপশম পাওয়া যায়। বর্তমান বিশ্বে আকুপাংচার একটি নিদারুণ চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই চিকিৎসা পদ্ধতির সব থেকে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো এটা পুরোপুরি ঔষধ ছাড়া একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা। যেখানে রোগীকে কিছুসংখ্যক থেরাপি এবং আকুপাংচার ছাড়া অন্য কোন ঔষধ দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে ঔষধ না গ্রহণের ফলে রোগীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পায়। আকুপাংচার এর ফলে শরীরের ব্যক্তিগত স্থানগুলোর মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি হয় এবং শরীরের ব্যথা উপশম হতে থাকে, রোগী সুস্থ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন :হাঁটু ব্যথার আধুনিক চিকিৎসা (ফিজিওথেরাপি)
এছাড়া কোমর ব্যাথা নিরাময়ে আকুপাংচার আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নায়নে ভুমিকা রাখে।
তাছাড়া, পুরুষত্ব বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে, মাথা ব্যাথা ও মহিলাদের মেনোপজের পরবর্তী সমস্যা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।
বাংলাদেশের আকুপাংচার চিকিৎসার জন্য যতগুলো বিশেষায়িত সেন্টার রয়েছে তার মধ্যে প্রসিদ্ধ একটি সেন্টার হচ্ছে ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার, উত্তরা।
আরও পড়ুন :হাটুর জয়েন্টে ব্যথা কেন হয় এবং এর সঠিক চিকিৎসা কি?
আরও পড়ুন :উরু বা রানের পেশিতে ব্যথা
ধন্যবাদ –
ডাঃ আরাফাত হোসেন (পিটি)
ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট
ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার, উত্তরা শাখা
পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা)
ফেসবুকঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার
এপয়েন্টম্যান্ট নিতে ক্লিক করুনঃ Visionphysiotherapy.com