পুরুষত্বের জন্য সবচেয়ে প্রধান এবং মূল হরমোন হচ্ছে টেস্টোস্টেরন হরমোন। পুরুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এই টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার কারণে পুরুষের এন্ড্রোপজ হয়। টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাবে পুরুষের শরীরের যৌন ক্ষমতা কমে যাওয়া থেকে শুরু করে মানসিক শক্তিও ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে থাকে। আজ আমরা আমাদের এই পোস্টে টেস্টোস্টেরন হরমোন কি এবং এই টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়, টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ কি, এই হরমোন বেশি হলে কি হয়, কি খেলে শরীরে এটি বৃদ্ধি পায়, টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য ব্যায়াম, প্রয়োজনীয় ঔষধ ইত্যাদি নিয়ে আজকে আলোচনা করবো।
ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন কি? টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ কি ?
টেস্টোস্টেরন হলো পুরুষ যৌন হরমোন। টেস্টোস্টেরন হরমোন এর কাজ হল একজন পুরুষের যৌন চাহিদা বা সেক্সের প্রতি যে আগ্রহ সে আগ্রহ গঠনে এই টেস্টোস্টেরন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং শুক্রাণু এবং বীর্য উৎপাদনে সহায়তা করে।
এই হরমোন একজন ছেলের বয়সন্ধিকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন একজন ছেলের যখন বয়সন্ধিকাল হয় তখন তার পুরুষত্ব গঠনে সহায়তা করে। যেমন পুরুষের কণ্ঠস্বর গঠনের সহায়তা করে, মাংসপেশী গঠনের সহায়তা করে, লম্বা করতে সহায়তা করে, হাড়ে ক্যালসিয়াম ডিপোজিট করতে সহায়তা করে, ত্বকের কিছু পরিবর্তন করে যেমন ত্বকের পুরুত্ব বৃদ্ধি করে, পুরুষের গোঁফ দাড়ি গজাতে সহায়তা করে।
পুরুষের মেটাবলিক হার সঠিকভাবে নির্ণয়ে সহায়তা করে এছাড়া লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে অর্থাৎ রক্তের পরিমান বাড়াতে সহায়তা করে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে সেটি হল একজন পুরুষের পুরুষত্ব রক্ষায় পুরুষের শুক্রাণু এবং বীর্যের পরিমান বাড়াতে এই হরমোনের ভূমিকা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সায়াটিকা সম্পর্কে ও সারানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত পড়তে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে নিন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ট্যাবলেট
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় হিসেবে ট্যাবলেটগুলি সাধারণত টেস্টোস্টেরন আনডেকোনেট, টেস্টোস্টেরন ইথানাট, বা টেস্টোস্টেরন সাইপিওনেট নামে পরিচিত টেস্টোস্টেরনের দীর্ঘ-অভিনয়কারী লবণ দিয়ে তৈরি। এই লবণগুলি ধীরে ধীরে শরীরে শোষিত হয়, তাই সেগুলিকে সাধারণত সপ্তাহে একবার বা দুবার নেওয়া হয়।
এই হরমোন বৃদ্ধির ট্যাবলেটগুলির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমনঃ
- জল ধারণ;
- মুখের লোম বৃদ্ধি;
- ত্বকের ব্রণ;
- মাথার তালুর চুল পড়া;
- লিভারের সমস্যা।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ট্যাবলেট গ্রহণের আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ডাক্তার আপনার টেস্টোস্টেরন মাত্রা পরীক্ষা করে দেখবেন এবং আপনার জন্য সঠিক ওষুধ এবং ডোজ নির্ধারণ করবেন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষণ
টেস্টোস্টেরন হরমোন পুরুষের পুরুষত্ব গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। এই হরমোন কমে গেলে কিছু লক্ষন বুঝা যায় যেমনঃ
বিশিষ্ট ডা. শাহজাদা সেলিমের মতে, টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার ফলে পুরুষদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এই পরিবর্তনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাথমিক লক্ষণ হলো যৌনাকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া। এই পরিবর্তনটি ব্যক্তি নিজে বা তার সঙ্গী সহজেই বুঝতে পারে। টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার ফলে পুরুষদের শারীরিক শক্তিও কমে যায়। ফলে তারা আগের মতো কাজ করতে পারে না। খাওয়ার পর কাজ করার আগ্রহও কমে যায়।
তার ভাষ্যমতে, “তার হয়তো কোন কোন সময় আকাঙ্ক্ষা হয়, কিন্তু টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণে পারফর্মেন্স খুব কমে গেছে, তখন সে পার্ভার্টেড কিছু অ্যাক্টিভিটির দিকে ধাবিত হয়। এ সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায়, রাস্তা-ঘাটে যে হয়রানিগুলো হচ্ছে, বাসে, ট্রেনে, যেকোন কিছু হতে পারে।”
অনেক ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির ফলে পুরুষদের চামড়া ঝুলে পড়তে পারে। কারণ পেশীর ঘনত্ব টেস্টোস্টেরনের উপর নির্ভর করে। টেস্টোস্টেরন কমে গেলে পেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ফলে চামড়া ঝুলে পড়ে।
শাহজাদা সেলিম আরও উল্লেখ করেছেন যে, পুরুষদের বিকৃত যৌন আচরণের একটি কারণ হতে পারে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি অলাভজনক অ্যাকাডেমিক মেডিকেল সেন্টার ‘ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক‘ এর তথ্যমতে, কম টেস্টোস্টেরনের জন্য যেসব উপসর্গ দেখা যায়, সেগুলো হলোঃ
যৌন তাড়না কমে যায়
টেস্টোস্টেরন হলো পুরুষদের মধ্যে প্রধান যৌন হরমোন। এই হরমোনটি যৌন ইচ্ছা, শারীরিক শক্তি, এবং লিবিডো বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই, টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গেলে যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া স্বাভাবিক।
যৌনাঙ্গ উত্থানে অক্ষমতা দেখা যায়
টেস্টোস্টেরন যৌনাঙ্গে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে, যা উত্থানের জন্য অত্যন্ত জরুরী। এছাড়াও এই যৌন হরমোন নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে, যা রক্তবাহিকাগুলোকে শিথিল করে এবং রক্ত প্রবাহ বাড়ায়। এই হরমোন স্নায়ুতন্ত্রকেও প্রভাবিত করে, যা যৌন উত্তেজনা এবং উত্থানের জন্য দায়ী।
রক্তশূন্যতা
শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে রক্তশূন্যতা বা রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, টেস্টোস্টেরন কম হওয়ার কারণে শরীরে প্রদাহ বাড়তে পারে এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে রক্তশূন্যতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে, রক্তশূন্যতার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। কারণগুলোর মধ্যে আয়রন, ভিটামিন বি১২ বা ফোলেটের অভাব, রক্তক্ষরণ ইত্যাদি।
অন্ডকোষ ছোট হয়ে যায়
অণ্ডকোষ টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরি বা উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে। তাই শরীরে যদি টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায় তাহলে অন্ডকোষ ছোট হয়ে যেতে শুরু করে।
স্মৃতিশক্তি কমে যায়
যদি ধীরে ধীরে আপনার স্মৃতিশক্তি কমে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রায় ঘাটতি রয়েছে।বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যেতে পারে এটা স্বাভাবিক কিন্তু যদি দেখেন যে অল্প বয়সে আপনার স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রার ঘাটতি রয়েছে ।
শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যায়
টেস্টোস্টেরন শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় একটি হরমোন। এটি শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে। টেস্টোস্টেরন শুক্রাণুর গুণগত মানকেও প্রভাবিত করে। এটি শুক্রাণুর গতিশীলতা এবং স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধিকে সহায়তা করে।
মহিলাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি পড়ে নিন।
পুরুষের টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর জন্য কয়েকটি কার্যকরী ব্যায়াম
টেস্টোস্টেরন হরমোন শরীরে বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে দৌড়ানো উচিত। এতে করে শরীরের পেশি শক্তিশালী হয়।
স্কোয়াড: প্রতিদিন নিয়ম করে মিনিট পাঁচেক স্কোয়াড করার চেষ্টা করুন। কোমর এবং পায়ের পেশীকে শক্ত সামর্থ্য করে স্কোয়াড।
এই হরমোন কমে যাওয়ার কারণে পুরুষের ইরেক্টাইল ডিসফাংশন এবংপ্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক লাইফস্টাইল, খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে এই হরমোন এর মাত্রা ঠিক রাখার চেষ্টা করুন।
যেসব খাবারে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি হয়
বিভিন্ন কারণে শরীরে এই হরমোনের মাত্রা কমে যেতে পার। আপনার লাইফস্টাইল বা আপনার জেনেটিক কারনেও আপনার শরীরের টেস্টোস্টেরনের হরমোনের মাত্রা কমে যেতে পারে। আবার অনেক সময় খাদ্যাভ্যাসের কারণেও এই হরমোন কমে যেতে পারে। যেসব খাবারগুলো খেলে আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে আলোচনা করবো-
রসুন
রসুন খেতে পারেন কারন আমরা জানি রসুনের অনেক উপকারিতা। রসুন শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
মধু
প্রাকৃতিক নিরাময়কারী উপাদান বোরোন যা মধুতে থাকে। এই খনিজ উপাদান টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়াতে খুবই কার্যকরী সেই সাথে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রাও ঠিক রাখে। যা ধমনী সম্প্রসারণ করে এবং লিঙ্গোত্থানে শক্তি সঞ্চালন করে থাকে। মধু টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে তবে এক্ষেত্রে একদম খাঁটি মধু হতে হবে। মধুর সাথে আদা কুচি করে সরাসরি সেটি খেতে হবে, এতে পানি মিশানোর প্রয়োজন নেই।
ফল
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, ব়্যাপসবেরি জাতীয় ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে এ ছাড়া টেস্ট্রোস্টেরনের জন্য খুই উপকারি। এছাড়াও একাধিক ছোট-বড় রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় এ খাবারে। সন্তান জন্ম দেওয়ার স্বপ্ন পূরণ করার ইচ্ছা থাকলে প্রতি নিয়ত টক জাতীয় ফল খেতে ভুলবেন না।
সবুজ শাক
শাকপাতা না খাওয়ার ফলে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে নতুন প্রজন্মে ছেলে-মেয়েদের। যার ফলে তারা নানাবিধ সমস্যার ফাঁদে পড়ে যান। এমনকী সবুজ শাক-সবজি না খাওয়ার ফলে খুব কম বয়সে তাঁদের দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও কমতে থাকে। শরীরে হরমোনের পরিমাণ বাড়াতে নিয়মিত সবুজ শাক-সবজি খাওখা অত্যান্ত প্রয়োজন। এই সকল শাক-সবজিতে ম্য়াগনেশিয়াম সহ এমন কিছু মাইক্রোনিয়েট্রিয়েন্ট রয়েছে যা টেস্টোস্টেরন লেভেল প্রচুর পরিমানে বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়েটে শাকপাতা থাকাটা খুবই জরুরী বলা যায় অত্যাবশ্যকীয়।
সিজনাল সবজি
বিভিন্ন ধরনের সিজনাল সবজি আছে তার মধ্যে শীতকালীন একটি সবজি যেমন বাঁধাকপি কিন্তু শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়াতে সহায়তা করে। তাই শীতকালে খাবারের তালিকায় অবশ্যই বাঁধাকপি রাখার চেষ্টা করবেন। পুই শাক এবং পালং শাকের কথা আমরা সবাই জানি। পুই শাক এবং পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে জিংক রয়েছে আর এই জিংক টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে অনেক কার্যকরী।
বাঁধাকপি
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে এই সবুজ বাঁধাকপিতে এ ছাড়াও ইনডোল থ্রি-কার্বিনল রয়েছে। এই উপাদান স্ত্রী হরমোন ওয়েস্ট্রজেনের পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে টেস্টোস্টেরন বেশি কার্যকরী করে তোলে।
ডিম
ওমেগা থ্রিএস, স্যাচারেইটেড ফ্যাট, কলেস্টেরল, ভিটামিন ডি এবং প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ডিমে। টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরীতে খুই কার্যকরি এই ডিমের উপাদান।
কলা
এই ফলের ব্রোমেলেইন এনজাইম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। আর দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি সরবরাহের উৎস হিসেবে কাজ করে।
কাঠবাদাম
সেলেনিয়াম, কপার, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং রিবোফ্লাভিন আছে বাদামে। ভিটামিন-বি, নিয়াসিন, থায়ামিন ও ফোলেটের পুষ্টিগুণ রয়েছে বাদামে। প্রোটিন এবং ফাইবারে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এই কাঠ কাদামে যা টেস্টোস্টেরন বাড়াতে অনেক কার্যকরি।
ঝিনুক
ঝিনুকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খনিজ ও জিংক উপাদান। যা টেস্টোস্টেরন বাড়াতে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে। যদি ঝিনুক অপছন্দনীয় হয় তাহলে বিকল্প হিসেবে চিজ বা পনির খেতে পারেন। বিশেষ করে সুইস এবং রিকোত্তা চিজ।
লাল মাংস বা রেডমিট
আমরা অনেকেই ডায়াবেটিস বা হাই প্রেসার এর কারণে লাল মাংস এভোয়েড করি। কিন্তু এই লাল মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক আর এই জিংক টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই খাদ্য তালিকায় সপ্তাহে একদিন লাল মাংস রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়াও, বাদাম বা বীজ জাতীয় ফল শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ছেলেদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ জানতে আমাদের এই বিস্তারিত পোস্টটি পড়ুন।
বাড়িতে টেস্টোস্টেরন পরীক্ষা
বাড়িতে টেস্টোস্টেরন পরীক্ষা হলো একটি সহজ পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি নিজে আপনার রক্ত বা লালা দিয়ে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা নির্ণয় করতে পারেন। এই পরীক্ষার জন্য সাধারণত একটি কিট ব্যবহার করা হয়, যেটি আপনি অনলাইনে বা কিছু ফার্মেসিতে কিনতে পাবেন। বাড়িতে একটি আঙুলের প্রিক টেস্টের মাধ্যমে আপনি নিজে নিজেই এই পরীক্ষাটি করতে পারেন।
বাড়িতে টেস্টোস্টেরন পরীক্ষার পদ্ধতি
- রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেঃ কিটে দেওয়া সুই দিয়ে আপনার আঙুল থেকে একটি ছোট্ট রক্তের নমুনা নেওয়া হয়। নিয়ে সেটি পরীক্ষা করলেই ফলাফল পেয়ে যাবেন।
- মুখের লালা পরীক্ষার মাধ্যমেঃ একইভাবে কিটে দেওয়া একটি কন্টেইনারে আপনার লালা দিতে হবে ও পরীক্ষা করতে হবে।
বাসায় পরীক্ষা করলে সাধারণত এর ফলাফল গ্রাফিক বা সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
কিছু সীমাবদ্ধতা
ল্যাবে করা পরীক্ষার তুলনায় বাড়িতে করা পরীক্ষার ফলাফল সবসময় সঠিক নাও হতে পারে। বাড়িতে করা পরীক্ষা শুধুমাত্র টেস্টোস্টেরনের মাত্রা নির্ণয় করে, অন্যান্য সমস্যার কারণ নির্ণয় করতে পারে না। এজন্য, ফলাফল পাওয়ার পরেও একজন দক্ষ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তথ্যসূত্র
Healthline- 8 Proven Ways to Increase Testosterone Levels Naturally
WebMD- Natural Ways to Boost Testosterone
Houston Methodist- 5 All-Natural Ways to Boost Your Testosterone
Health- 7 Ways to Increase Testosterone
Metropolis Healthcare- 10 Foods That May Help Boost Testosterone Levels Naturally
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
কিভাবে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করা যায়?
টেস্টোস্টেরন হলো পুরুষ যৌন হরমোন। টেস্টোস্টেরন হরমোন এর কাজ হল একজন পুরুষের যৌন চাহিদা বা সেক্সের প্রতি যে আগ্রহ সে আগ্রহ গঠনে এই টেস্টোস্টেরন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন আরও কিভাবে বাড়ানো যায়?
ওজন কমানোর মাধ্যমে শরীরের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা এবং নিয়মিত শরীর চর্চা করার মাধ্যমে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করা যায়।
ভিটামিন ডি এবং জিংক কি টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি করে?
ভিটামিন ডি এবং জিংক সমৃদ্ধ খাবার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
ধন্যবাদান্তে-
ডাঃ সৌরভ রহমান, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ), এম ডি এম আর (এস এস টি)
ইনচার্জ এন্ড সিনিয়র ফিজিওথেরাপিষ্ট,
ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার ।
পরামর্শ পেতে কল করুন – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা) এবং এপয়েন্টম্যান্ট নিতে ক্লিক করুন Visionphysiotherapy.com
আমাদের ফেসবুক পেইজ- ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার