প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার কারন

প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার কারণ বা প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা হঠাৎ করে নিজের অজান্তে মল এবং প্রস্রাব বের হয়ে আসা, বিবাহিত মেয়েদের শারীরিক সম্পর্কের সময় তলপেটে এবং যোনিতে তীব্র ব্যথা অনুভব হওয়া। সাধারণত এই সমস্যাগুলো যে কারণে হয়ে থাকে তার কিছু কারনের মাঝে একটি হলো আমাদের পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতা অর্থাৎ পেলভিক ফ্লোর যখন দুর্বল হয়ে যায় তখন এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। আজকে আমরা জানব পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতা অর্থাৎ পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন সম্পর্কে।

Table of Contents

পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন কি?

পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন হল, পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতার একটি সাধারণ অবস্থা যেখানে আমাদের প্রস্রাব করার জন্য বা মলত্যাগের জন্য আমাদের পেলভিক ফ্লোরের পেশীগুলিকে সঠিকভাবে শিথিল করতে এবং সমন্বয় করতে না পারা। আপনি যদি একজন মহিলা হন তাহলে আপনি যৌনতার সময়ও ব্যথা অনুভব করতে পারেন এবং আপনি যদি একজন পুরুষ হন তাহলে আপনার ইরেকশন (ইরেক্টাইল) ধরে রাখতে সমস্যা হতে পারে। আমাদের পেলভিক ফ্লোর হল একদল মাংসপেশী যা আমাদের পেলভিসের মেঝেতে (বেস) পাওয়া যায়।

প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারার কারণ

আরো সহজ করে বোঝতে গেলে আমরা আমাদের এই ভাবে মনে করতে পাড়ি যেমন- মূত্রাশয়, জরায়ু বা প্রোস্টেট এবং মলদ্বারের মতো আমাদের অঙ্গগুলিকে যদি আবাস বলে মনে করি তাহলে পেলভিক ফ্লোরের পেশীগুলি হবে আমাদের বাড়ির ভিত্তি। এই পেশীগুলি আমাদের শরীরের মধ্যে সবকিছু ঠিক রাখতে সমর্থন কাঠামো হিসাবে কাজ করে। আমাদের পেলভিক ফ্লোর পেশীগুলি আমাদের পেলভিক হাড়ের চারপাশে মোড়ানোর থাকে,যার মাধ্যমে আমাদের বেশ কয়েকটি অঙ্গকে সমর্থন করে। এই পেশীগুলির মধ্যে কিছু আমাদের মলদ্বারের চারপাশে একটি স্লিং গঠন করে আরও স্থিতিশীলতা যোগ করে।

আমাদের পেলভিক অঙ্গগুলির মধ্যে রয়েছে:

★ মূত্রাশয় (আমাদের প্রস্রাব ধরে রাখার থলি)।

★ জরায়ু এবং যোনি (মহিলাদের মধ্যে) / প্রোস্টেট (পুরুষদের মধ্যে)।

★ মলদ্বার (আমাদের বৃহৎ অন্ত্রের শেষের অংশ যেখানে আমাদের শরীরের বর্জ্য সঞ্চয় করে)।

সাধারণত, আমরা কোনও সমস্যা ছাড়াই বাথরুমে যেতে পারি কারণ আমাদের শরীর তার পেলভিক ফ্লোর পেশীগুলিকে শক্ত করে এবং শিথিল করে। এটি অন্যান্য পেশীর ক্রিয়াগুলির মতোই, যেমন আমরা যখন একটি ভারী বাক্স তুলতে যায় তখন আমাদের মুঠিটি ক্লেঞ্চ করার সময় আমাদের বাইসেপ মাংসপেসি শক্ত করি।

কিন্তু যদি আমাদের পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন থাকে, তাহলে আমাদের শরীর এই পেশীগুলোকে শিথিল করার পরিবর্তে শক্ত করে রাখে। এর ফলে আমাদের হতে পারে:

  • মলত্যাগে সমস্যা
  • একটি অসম্পূর্ণ মলত্যাগ।
  • প্রস্রাব বা মল যা ফোটায় ফোটায় বের হয়।

পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতার কারণ কী?

পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতার সম্পূর্ণ কারণ এখনও অজানা। কিন্তু কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে যার জন্য পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন হয়ে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে:

১.আমাদের পেলভিক এলাকায় আঘাত (যেমন একটি গাড়ী দুর্ঘটনা)।

২.গর্ভাবস্থা।

৩.আমাদের পেলভিক পেশীগুলির অতিরিক্ত ব্যবহার (যেমন খুব ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়া বা খুব জোরে ধাক্কা দেওয়া)।

৪.পেলভিক সার্জারি।

পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতায় কেমন অনুভব করে?

  • বারবার বাথরুমে যেতে হয়। আমাদের এমনও মনে হতে পারে যে – বাথরুমে যাওয়ার পরে আমাদের “জোর করে মল বের করতে হচ্ছে” বা অনেকবার থামতে এবং শুরু করতে চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য, মলত্যাগের সময় একটি স্ট্রেনিং ব্যথা অনুভব হওয়া। মনে করা হয় যে যারা দীর্ঘ সময় ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন তাদের অর্ধেকের এই সমস্যা হয় পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশনের কারনে।
  • মলত্যাগের জন্য স্ট্রেন করা বা ধাক্কা দেওয়া। অনেক সময় পায়খানার অবস্থান পরিবর্তন করতে বা মল দূর করতে হাত ব্যবহার করতে হয়।
  • ফুটো মল বা প্রস্রাব (অসংযম)।
  • বেদনাদায়ক প্রস্রাব।
  • কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের পিঠের নিচের অংশে ব্যথা অনুভব করা।
  • আমাদের পেলভিক অঞ্চলে, যৌনাঙ্গে বা মলদ্বারে চলমান ব্যথা অনুভব করা — (মলত্যাগের সময়)

পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন কি পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা?

বিভিন্ন পেলভিক অবস্থা রয়েছে যা পুরুষদের (AMAB) এবং মহিলাদের (AFAB) জন্য অনন্য।

পুরুষদের মধ্যে পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতা

প্রতি বছর, বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ পুরুষ পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন অনুভব করেন। যেহেতু পেলভিক ফ্লোরের পেশীগুলি প্রস্রাব এবং সেক্সের সময় বর্জ্য (মলমূত্র) এবং প্রজনন সিস্টেমের অংশ হিসাবে কাজ করে, তাই পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতা পুরুষদের প্রভাবিত করে, যার মধ্যে রয়েছে:

১. পুরুষের প্রস্রাবের কর্মহীনতা: প্রস্রাব করার পরে প্রস্রাব বের হওয়া, বাথরুমে দৌড়ানো (অসংযম) এবং অন্যান্য মূত্রাশয় এবং অন্ত্রের সমস্যা জড়িত থাকতে পারে।

২. ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (ED): ED হল যখন আপনি যৌনতার সময় ইরেকশন পেতে বা বজায় রাখতে পারেন না এবং কখনও কখনও, পেলভিক পেশীতে টান বা ব্যথা হওয়া।

৩. প্রোস্টাটাইটিস: প্রোস্টেটের (একটি পুরুষ প্রজনন গ্রন্থি) পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতার লক্ষণগুলি প্রোস্টাটাইটিসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে অনুরূপ।

মহিলাদের মধ্যে পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতা

পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতা জরায়ু এবং যোনিকে প্রভাবিত করে এবং একজন মহিলার প্রজনন স্বাস্থ্যের সাথে হস্তক্ষেপ করতে পারে। যে মহিলাদের পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন অবস্থায় থাকে তাদের ক্ষত্রে একটি সাধারণ উপসর্গ পাওয়া যায়,তা হল সেক্সের সময় ব্যথা অনুভব করা।

আরো পড়ুন : মহিলাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ

আরো পড়ুন : ছেলেদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারন

পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন এবং পেলভিক অর্গান প্রোল্যাপস একি ধরণের সমস্যা?

পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন পেলভিক অর্গান প্রোল্যাপস থেকে খুব আলাদা, এক ধরণের সমস্যা না। পেলভিক অর্গান প্রোল্যাপস ঘটে যখন আমাদের পেলভিক অঙ্গগুলি (যেমন – জরায়ু, মলশয় এবং মূত্রাশয়) যে জায়গায় থাকে ঐ জায়গার পেশীগুলি আলগা হয়ে যায় এবং খুব বেশি প্রসারিত হয়ে যায়। এই অবস্থায় আমাদের অঙ্গগুলি প্রসারিত হয়ে আউট হযে যায়/বাহিরে বেরিয়ে আসে।

পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতা কি ইন্টারস্টিশিয়াল সিস্টাইটিসের সাথে সম্পর্কিত?

ইন্টারস্টিশিয়াল সিস্টাইটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী মূত্রাশয় অবস্থা যার কারনেও আমাদের পেলভিস বা মূত্রাশয়ে ব্যথা হয়,পেশীর শিথিলতা এবং শক্তি হ্রাস হয়ে থাকে। যা পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশনের লক্ষনের সাথে মিলে যায়। সুতরাং, ইন্টারস্টিশিয়াল সিস্টাইটিস হওয়ার মানেয় পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতা হওয়ার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া।

রোগ নির্ণয় এবং পরীক্ষা

পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন কিভাবে নির্ণয় করা হয়?

একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সাধারণত আমাদের উপসর্গ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে।

আমাদের নিম্নলিখিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে:

১.আমাদের মূত্রনালীর সংক্রমণের ইতিহাস কি ?

২.আমি যদি মহিলা হই, আমি মা হয়েছি কি/ সন্তান জন্ম দিযিছে কি?

৩.মহিলা হলে, যৌন মিলনের সময় কি ব্যথা হয়?

৪.আমাদের কি ইন্টারস্টিশিয়াল সিস্টাইটিস (আপনার মূত্রাশয়ের প্রাচীরের দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ) বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আপনার নিম্ন অন্ত্রের একটি ব্যাধি) আছে?

৫.আমরা আমাদের পেলভিক ফ্লোর পেশীগুলি কতটা ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তা পরীক্ষা করার জন্য আমাদের চিকিৎসক একটি শারীরিক পরীক্ষাও করতে পারেন।

ব্যবস্থাপনা এবং চিকিৎসা

আমরা কিভাবে আমাদের পেলভিক ফ্লোর কর্মহীনতার চিকিৎসা করব?

সৌভাগ্যবশত, পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন অনেক ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে সহজে চিকিৎসা করা যায়।
পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন সার্জারি ছাড়াই চিকিৎসা করা যায়। ননসার্জিক্যাল চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

বায়োফিডব্যাক

এটি হল সবচেয়ে সাধারণ চিকিৎসা, এই চিকিৎসা একজন ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্যে করা হয়। বায়োফিডব্যাক বেদনাদায়ক নয়। একজন ফিজিওথেরাপিস্ট আমাদের পেশী পুনরায় প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন উপায়ে বায়োফিডব্যাক ব্যবহার করতে পারে।

পেলভিক ফ্লোর ফিজিক্যাল থেরাপি

শারীরিক থেরাপি সাধারণত বায়োফিডব্যাক থেরাপির মতো একই সময়ে করা হয়। আপনার থেরাপিস্ট আপনার পিঠের নীচের অংশে, পেলভিস এবং পেলভিক ফ্লোরের কোন পেশীগুলি সত্যিই টানটান আছে কি না তা নির্ধারণ করবেন এবং আমাদের এই পেশীগুলিকে প্রসারিত করার ব্যায়াম শেখাবেন যাতে আমরা আমাদের পেশির প্রসারন উন্নত করতে পারি।

আরো জানতে দেখতে পারেন : ঘন ঘন প্রসাব থেকে মুক্তির উপায় | ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি করবো | প্রস্রাবের সমস্যা ও সমাধান

আরো জানতে দেখতে পারেন : ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয় এবং এর সঠিক চিকিৎসা/ ঘন ঘন প্রস্রাব হলে করনীয়/ ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার উপায়

আরো জানতে দেখতে পারেন : ঘন ঘন প্রস্রাবের স্থায়ী সমাধান / প্রস্রাব ধরে রাখার সমস্যায় করনীয় কি / প্রস্রাব আটকে রাখতে না পারা

ঔষধ বা মেডিসিন

প্রতিদিনের ওষুধ যা আপনার অন্ত্রের নড়াচড়া নরম এবং নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে তা হল পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশনের চিকিৎসার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এই বেপারে এক জন ডাক্তার বা একজন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টের পরামর্শ নিতে পারি।চিকিৎসক আমাদের সাহায্য করতে পারেন কোন ওষুধগুলি আমাদের মল নরম রাখতে সবচেয়ে সহায়ক।

শিথিলকরণ কৌশল

এট জন্য আমরা এক জন ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্য নিতে পারি। তারা আমাদের বিভিন্ন ব্যায়াম,কেগেল ব্যায়ামের কৌশল, আকুপাংচারের মতো শিথিলকরণ কৌশলগুলি ব্যবহার করার পরামর্শ দিবেন।

পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতার চিকিৎসার জন্য আমাদের কি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে?

পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতার চিকিৎসার জন্য কোনও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই, কারণ এটি আমাদের পেশীগুলির সাথে সম্পর্কিত একটি সমস্যা। তবে বিরল পরিস্থিতিতে, যখন ফিজিওথেরাপি এবং বায়োফিডব্যাক কাজ করে না তখন আপনাদের চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক আমাদের একজন ব্যথা ইনজেকশন বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করার পরামর্শ দিতে পারে, এই চিকিৎসকরা ব্যথা সৃষ্টিকারী নির্দিষ্ট পেশীগুলির স্থানীয়করণে বিশেষজ্ঞ। তারা একটি ছোট সুই ব্যবহার করে পেশীকে অসাড় করার ওষুধ এবং আরামদায়ক ওষুধ দিয়ে ইনজেকশন দিতে পারে। একে ট্রিগার পয়েন্ট ইনজেকশন বলে।

পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতা আরও খারাপ হবে কখন?

পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতার লক্ষণগুলি উন্নত হতে শুরু করার পর্যন্ত আমাদের কয়েক মাস নিয়মিত অন্ত্র বা প্রস্রাবের ওষুধ এবং পেলভিক ফ্লোর ফিজিক্যাল থেরাপি নিতে হযে। আমরা অনেকেই চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় হাল ছেড়ে দেয়,কিন্তু এই কাজ করা জাবেনা। প্রতিদিন আপনার ওষুধ খেতে ভুলে গেলে লক্ষণগুলি বাড়তে থাকবে এবং সম্ভবত আরও খারাপ হবে। এছাড়াও, শারীরিক থেরাপির অ্যাপয়েন্টমেন্ট এড়িয়ে যাওয়া বা অনুশীলন না করলে ভাল হওয়ার গতি কমে যেতে পারে

আমাদের পেলভিক ফ্লোর পেশীতে উত্তেজনা বা ব্যথা বাড়াবে এমন কোনো কার্যকলাপ করলে, লক্ষণগুলি আরও খারাপ হয়ে যাবে। উদাহরণস্বরূপ, ভারী ভারোত্তোলন বা পুনরাবৃত্তিমূলক জাম্পিং করা যাবে না কারন এই ধরনের কাজ আমাদের পেলভিক ফ্লোরের উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে।

কঠিন মলত্যাগের কারণে যেমন – পেট ফুলে যাওয়া এবং গ্যাসের ব্যথার কারণে যদি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, তাহলে আমদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত এবং আমাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি নিবিড়ভাবে নজর রাখা উচিত।
যেমন – প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করব (৮ গ্লাস), যেসব খাবারে ফাইবার বেশি ঔ ধরনের খাবার বা খেতে চেষ্টা করব বা ফাইবার সাপ্লিমেন্ট নিব।

পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতার চিকিৎসা কাকে দিয়ে করাব?

আমরা উপসর্গ এবং কতটা ব্যথা অনুভব করি তার উপর নির্ভর করে আমরা একজন শারীরিক থেরাপিস্ট, একজন গাইনোকোলজিস্ট, একজন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট, একজন পেলভিক ব্যথা অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট বা একজন পেলভিক ফ্লোর সার্জনের দ্বারা চিকিৎসা করাতে পারি।

পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন কি নিরাময়যোগ্য?

সৌভাগ্যবশত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন সাধারণত বায়োফিডব্যাক, শারীরিক থেরাপি এবং ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসার করলে নিরাময়যোগ্য। আমরা যদি পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশনের কোনো লক্ষণ অনুভব করতে শুরু করি, তাহলে একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করব। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং অসুবিধাজনক এবং অস্বস্তিকর উপসর্গগুলির কমাতে সাহায্য করবে।

পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন কি?

পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন হল আমাদের পেলভিক ফ্লোর পেশীগুলো যখন মলত্যাগের জন্য সঠিকভাবে শিথিল এবং সমন্বয় হতে পারে না। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য, মলত্যাগের জন্য চাপ, প্রস্রাব বা মল নিজের অনিচ্ছাকৃত ভাবে বের হয়ে আসা, এবং ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন অনুভব করা। প্রাথমিক ভাবে এই সমস্যা সমাধানে জন্য চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে বায়োফিডব্যাক, পেলভিক ফ্লোর ফিজিক্যাল থেরাপি এবং ওষুধ।

গর্ভাবস্থা কি পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতার কারণ?

গর্ভাবস্থা হল পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতার একটি সাধারণ কারণ। প্রায়শই মহিলা বা মানুষ AFAB সন্তানের জন্মের পরে পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন অনুভব করেন। গর্ভাবস্থায় মেয়েদের পেলভিক ফ্লোরের পেশী এবং টিস্যুগুলি স্ট্রেন হতে পারে, ফলে পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন হতে পারে।

পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতা কি বংশগত?

পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন আমাদের পরিবারে যদি এক জনের থাকে তাহলে অন্যদেরও হতে পারে এই কারনে একে বংশগত অবস্থা বলা হয়। গবেষকরা পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশনের সম্ভাব্য জেনেটিক কারণ অনুসন্ধান করছেন।

ধন্যবাদান্তে_
ডাঃ মাসুমা খানম, ফিজিওথেরাপিষ্ট
সিনিয়র ফিজিওথেরাপিস্ট, ইনচার্জ (ফিমেল ইউনিট)
ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার
বাসা # ৪২, লেক ড্রাইভ রোড, সেক্টর # ৭,
উত্তরা, ঢাকা -১২৩০

পরামর্শ পেতে – 01760-636324 , 01932-797229 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা) 
ফেসবুকঃ ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার 

এপয়েন্টম্যান্ট নিতে ক্লিক করুনঃ Visionphysiotherapy.com

visionphysiotherapy
visionphysiotherapy
Articles: 82